পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪ যিনি মনের সহিত বলিতে পারেন, “লোকেশ চৈত্তস্তময়াধিদেব,মঙ্গল্য বিঞ্চে ভৰদাজয়ৈব । হিতায় লোকগ্য তব প্রিয়ার্থং সংসারধাত্রামস্থবৰ্ত্তয়িয্যে। “ছে লোকের অধিপতি, চৈতন্যময় অণিদেব, হে মঙ্গলময় সৰ্ব্বময় বিভো, লোকের হিতের জন্য এবং তোমার প্রিয় অভিপ্রায় সাধনের জন্য আমি সংসার-যাত্রার অনুবর্তী হইব ।” তিনিই যথার্থ পরমার্থ-সাধনে ব্রতী হইয়াছেন ;-যেখানে ঈশ্বরের প্রতি প্রীতিভক্তি আমাদের মনকে আদ্র করিবে, হায়, সেখানে আমাদের আপনাদের প্রভুত্ব, আত্মশ্লাঘা, অলীক গৰ্ব্ব আস্ফালন, উপহাস জনক ম্পর্ক, আমাদের হৃদয়কে কঠোর পাষাণে আবৃত করে—ইছ আমাদের কিরূপে সহ্য হয় । ষেখানে মনুয্যেরা সম্ভাবে সাধুভাবে ' মিলিত হইয়া পরস্পরের হিতের জন্য সৰ্ব্বদ নিযুক্ত থাকিবে, হায়, সেখানে বিবাদ-কলহ দ্বেধ-হিংসা কঠিন দুর্গ প্রতিষ্ঠা করে-ইছাই বা কিরূপে আমাদের সহ্য হয় ! আমরা কি পরমর্থ সাধন করিব না-পরমার্থ-সাধনের ভানই করিব – ভান-ই করিব ! কার্য্যে বিসজঁন দিয়া—দিন-রাত্রী কেবল আড়ম্বরেই নিযুক্ত থাকিব ! ঈশ্বর আমাদিগকে এ বিপদ হইতে উদ্ধার করুন । হে পরমাত্মম্‌ ! তুমি আমাদের সহায় হও—নেতা হও,-তুমি আমাদিগকে বল দেও, যখন আমাদের সম্মুখে বিস্তু বিপত্তির তরঙ্গ উত্থিত হয়, তখন ষেন আমরা চতুর্দিক অন্ধকার না দেখি ; তোমার অপরাজিত বল আমাদের হৃদয়ে জাগ্রত হইয়৷ উঠক— সহস্র বিস্তু প্রতিহত হুইয়া ধরাশায়ী স্কুল s তোমার বিমল প্রেমামৃত সিঞ্চনে আর্মিাদের মনের সমস্ত মলিনত প্রক্ষালিত হইয়া যা ক-নূতন প্রাণ আসিয়া আমাদের হৃদয়কে অধিকার করুত্ব! তোমার আজ্ঞায় সমস্ত তত্ত্ববোধিনী পত্রিক তের প্রতি প্রেম-ইহাই পরমার্থের মুল । | >>亨隅电粤博 জগৎ আমাদিগকে প্রাণ দান করিতেছেআমরাও যেন সমস্ত লোকের ছিতের জন্য আমাদের প্রাণ মন উৎসর্গ করিতে পারি,— আমরা যেন তোমার কার্ষ্যে চির দিন নিযুক্ত থাকি—তোমার জ্যোতিতে বাস করি।--তোমার ক্রোড়ে বিশ্রাম করি –তুমি আমাদিগের এই প্রার্থনা পূরণ কর। ও একমেবাদ্বিতীয়ং । হুগলী দশম সাৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ । ২৭ জ্যৈষ্ঠ রবিবার। সায়ান্ত । বঙ্গের চতুর্দিকে কেবলই রোগ-শোকের নিদারুণ আৰ্ত্তনাদ, অভাব-অনটন-জনিত হৃদয়-বিদারক কোলাহলই অহৰ্নিশি উত্থিত হইতেছে। দুই জনে একত্রিত হইলে ... য়ই পরম্পরের দুঃখের কাহিনী শ্রুত হওয়৷ যায়। দশ জন সদাশয় বাক্তি সম্মিলিত হইলে, দেশের বর্তমান দুৰ্গতি দুর্দশা এবং ভবিষ্যতের মহা অমঙ্গল অনিষ্ট্রের কথাই উত্থাপিত হইয়া থাকে। শরীরের বল নাই, মনের বীর্গ নাই, যে তৎসমুহের প্রতিবিধান জন্য কেহ সাহস-পূর্বক দণ্ডায়মান হইবে । ভারত-ভাণ্ডারে ধন নাই, ভারত-বাসী-বঙ্গবামীদিগের মধ্যে একতা নাই যে, স্বাধীনভাবে সৎশিক্ষা ও সছুপদেশ দানের কোন স্নব্যবস্থা হইবে। তাছার উপরে আবার নান৷ কারণে ভারতের দুনিৰ্ব্বার্ধ্য সমাজ-শাসন এবং পরম কল্যাণকর পারিবারিক-বন্ধন পর্য্যন্তও শিথিল হইয়া পড়িতেছে সুতরাং এই পুরাতন ধৰ্ম্ম-ক্ষেত্রে, পবিত্র আর্য্য-পরবারের মধ্যে নানাবিধ পাপ-শ্রোত অনায়াসেই প্রশ্রয় পাইতেছে। এখন নগর গ্রাম পল্লী যেখানে গমন করা যায়, সেই খানেই