পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯyჯ. যেমন মৃত্যুঞ্জয় ঔষধ ঘোর-বিকার-প্রাপ্ত অচেতনপ্রায় মৃত-কল্প ব্যক্তির শরীরের দূষিত বিষয়াশি বিনষ্ট করিয়া আবার সংজ্ঞা চৈতন্য আনয়ন করে,—নব জীবন আনিয়া দেয়, তেমনি সেই অজর অমর পরমেশ্বর জাতিগত আত্ম-বিকার ও আধ্যাত্মিক দুৰ্ব্বলতা বিদূরিত তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

    • कन्न, १ स्थान

করিতে পারে। এই সত্যট যখন আমরা পরীক্ষায় প্রত্যক্ষ জানিয়াছি, তখন যেন আর ইহার প্রতি উদাসীন ন হই । যে ঔষধকণা অল্প দিন মাত্র সেবন করিলে ঘোর বিকারীর উপদ্রব-রাশি প্রশমিত হয়, সে কি তাহার পূর্ণমাত্রা ব্যবহার করিতে ঔদাস্য করিবার জন্য অব্যর্থ স্থত-সঞ্জীবন পবিত্র | প্রদর্শন করিয়া থাকে? যে পবিত্র ধর্মের মৃত ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে আমাদের মধ্যে প্রেরণ করিয়া আমাদিগকে মহা বিনাশ হইতে রক্ষা করিয়াছেন । সেরূপে তাহা সেবন করিতে হয়, আমরা তাহা করি না, যেরূপে তাহা হৃদয়ে | ধরণ করিতে হয়, তাহার প্রতি আমারদের বিশেষ দৃষ্টি নাই, যে নিয়মে সেই দুর্লভ র তুকে গৃহ-পরিবারের মধ্যে রক্ষা করিতে হয় তাহার প্রতি আমারদের ষত্ব নাই, তথাচ দেখ,তাহার কি স্বগীয় প্রভাব। মলয়-সমীরণসংস্পর্শে যেমন শুষ্ক তরু ও মঞ্জরিত হইয়া উঠে, আমরা প্রকৃত ওস্তাবে সেই পবিত্ৰ ধৰ্ম্ম যাজন না করিলেও দেখ তেমনি তাহার স্বতঃ বিক্ষিপ্ত স্বৰ্গীয় জোতিতে আমাদের মধ্যে অনেকেরই মোহ-নিন্দ ভঙ্গ হইয়া যাইতেছে, । অনেকেরই মৃত-কল্প আত্মা নব জীবন ও }প্ত । হইতেছে, মেয়ে আশা-পথ প্রমুক্ত হই । হইবে ? তেছে, অনেকেই আপনারদিগের প্রকৃত ! তখন দি ! অবস্থা বুঝিতে পারিতেছেন। মর এই দেবসেব্য পবিত্র ধৰ্ম্মের যথাবিধি সেবা করিতাম, ইহার যথাযথ আদেশ ও তামুশাসন ক্রমে সংসার-পথে পদ-বিক্ষেপ করিতাম, তাহ হইলে এতদিনে এই ভারত এই বঙ্গ-ভূমি ভিন্ন তাকার ধারণ করিত। ইহার রোগ-শোক পাপ-তাপ অকাল-মৃত্যু প্রভৃতি বস্তু পরিমাণে খৰ্ব্ব হইয়া যাইত। আমারদিগের শরীরের বল, মানের বীর্যাও অধিকাধিকরূপে বৃদ্ধি পাইত । “স্বল্পমপাসা ধৰ্ম্মস্য ত্রায়তে মহতোভয়াং” এই পবিত্র ধৰ্ম্মের অল্পমাত্রও মহৎ ভয় হক্টতে পরিত্রাণ সঞ্জীবন-জোতি অতাল্প কালের মধ্যে পাপের প্রকৃত বিকট মূৰ্ত্তি এবং পুণ্যের প্রকৃত শোভাসৌন্দর্য্য অামারদিগের সন্নিধানে প্রদর্শন করত অধৰ্ম্মের প্রতি ভয় বিতৃষ্ণা ও পুণ্যের প্রতি যথেষ্ট্র পরিমাণে আস্থা অনুরাগ উদ্দীপ্ত করিয়া দিয়াছে, সকলে সম্পূর্ণরূপে যথাশক্তি সেই পবিত্র ধৰ্ম্মের শরণাপন্ন হও । সমুদায় শরীর মন আত্মার সহিত সেই স্কৃত-সঞ্জীবন ধৰ্ম্মের সেবা কর। কেবল মেই পবিত্র ধৰ্ম্মেল স্বৰ্গীয় বল-প্রভাব মুখে কীৰ্ত্তন করিলে কি হইবে ? এক দিন কি একঘণ্টা কালের জন্য সেই পবিত্র ধর্মের অনুষ্ঠান করিলে তদ্বারা কি বাক্তিগত না জাতিগত পাপ-তাপ দুঃখ দুর্দশার পরিহার হইবে ? না আত্মার চির নির্মলতা ও চির-পবিত্রতা সংসাধিত “ফলং কস্তক বৃক্ষস যদ্যপায়ুপ্রসাধকং । ন নামগ্রহণদেব ত্তস্য বারি প্রসীদতি । মনুসংহিতা । নিৰ্ম্মলী বৃক্ষের ফল, জলে নিক্ষেপ করি, লেই তবে জলের মলক্লেদ সকল অধঃপতিত হয়, কিন্তু কেবল তাহার নাম গ্রহণ করিলে কদাচ জল নিৰ্ম্মল হয় না । তেমনি সেই মৃত-সঞ্জীবন ধৰ্ম্মকে আত্মাতে ধারণ কারলেই আত্মার দুস্কৃতি সকল অপসারিত হয়, গৃহেতে প্রতিষ্ঠিত করিলেই গৃহ-পরিবারের শাস্তি-মঙ্গল প্রীতি সদ্ভাব বর্ধিত হয়, দেশেতে প্রতিষ্ঠিত করিলেই জাতিগত দুঃখ-দৌৰ্ব্বল্য, দেশব্যাপী অকল্যাণ অশান্তি তিরোহিত হইয়৷