পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২8 ৰ্ম্মের অশ্রয় গ্রহণ করিতে গিয়াছিলাম, কিন্তু তিনি আমাদিগকে অমানি অমৃতের তাস্বাদ দেখাইয়া তাহার মঙ্গল পথে আনয়ন করিয়াছেন । ধন্য সেই পিতা, ধন্য তার করুণ । তিনি পাপীকেও পরিত্যাগ করেন না। তিনি যেমন সাধুকে পুরস্কার দিয়া উন্নতির পথে অগ্রসর করিয়া দেন, তেমনি পাপীকেও দণ্ডবিপান করিস পাপ হইতে পুণ্যের পথে ফিরাইয়। আনেন । সেই নিত্য সত্য পুরুম যদিও আমাদিগকে এই অনিত্য সংসার-বক্ষে বিচরণ করিতে দিয়াছেন, কিন্তু তিনি ইহার বিনাশের সঙ্গে সঙ্গে, আমাদিগকে বিনষ্ট করেন না । তিনি এই চঞ্চল অস্থির ঘটনার মধ্যে বুখিয়া তামাদিগকে অমর করিয়াছেন। এই সংসারের বিপদ সম্পদ উভয়ই আমী- তোমার জয়, অগ্নিবায়ু তোমারি জয়, এই দের মঙ্গলের কারণ ! সম্পদে তাই র করুণ আমরা দেখিতে পাই, বিপদেও তাহার আমরা দেখিতে পাই । অতএব তাহার এই অসীম করুণার জন্য আইস আমরা গুরুশিষ্যে, ভ্ৰাতায় ভ্ৰাতায়, বন্ধু বান্ধলে, তাহাকে বারগার প্রণাম করি এবং কৃতজ্ঞ তাহারই চরণে আমারদের মন প্রাণ সৰ্ব্বস্ব অর্পণ করিয়া আমারদের দুৰ্ব্বল আত্মাকে সবল করিয়া তুলি । তিসি আমারদের পিতার ন্যায় পিতা এবং মাতার ন, মৃ মাতা । আমরা শিশুর নায় চারিদিক হইতে তাহকে বেঞ্জন করিয়! বলিতে থাকি ধে পিত! যখন তুমি আমাদের প্রাণের প্রাণ হুইয়া আমাদের পরমায়ু বৃদ্ধি করিতেড়, আত্মার আত্মা হইয় তাহার সদগতি বিধান করিতেস্থ, তোমাকে না দেখিলে যখন চক্ষু দৃষ্টিহারা হয়, কর্ণ শ্রবণশক্তি বিহীন হয় এবং সকল ইন্দ্রিয় নিবৃত্ত হয়, সকল প্রবৃত্তি কলুষিত হয়,তখন তোমাকেই আমাদের শরীর, মন, আত্মা ও সুখ সম্পত্তি সকল অর্পণ করিয়া শরীর, মন, s i করুণ! o হইয়। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা | | |

আত্মার ও সুখ সম্পত্তি সকলের সত্ত্বাকে উজ্জ্বল ও দৃঢ় করিয়া তুলি । ঙ্গে পরমাত্মন! যে নূতন বৎসরের উদয় কাল দেখিবার জন্য আমরা এত আশা করিতেছিলাম, সে দিন আমরা পাইলাম। তুমি এই নূতন উষাকালকে কি অমৃতময়, কি শোভাযয় করিয়া দিয়াছ। সূর্য্যের সেই প্রথম উদয় দিনে অসংখ্য নক্ষত্রেরা চারিদিক হইতে যেমন উলুবে প্রেম ও আনন্দ ঘোযণা করিয়াছিল তেমনি আজ এই বৎসরের নূতন প্রাতঃকালে এই পৃথিবীতে সমস্ত প্রকৃতি তোমারি জয় ঘোযণা করিবার জন্য জাগ্রৎ হইয়াছে। এখন বিহঙ্গ পশু তো মারি জয় ঘোষণা করিতেছে। নদী তড়াগ মধুঞ্চকুর মধু সমীরণ তোমারি জয় এবং নব | ! গ্রহণ কর । বল প্রেরণ কর যেন আমাদের আত্মার দৃষ্টি প্রস্ফুটিত এই কুসুমগুলি তোমারি জয় ঘোসণা করিতেছে! এখন মহাসমুদ্র তরঙ্গে তরঙ্গে তোমার জয় ঘোষণা করিতেছে । উক্ত ঙ্গ হিমাচল সহস্র মস্তক উত্তোলিত করিয়া ফুল পল্লবে, সমীর পরিমলে তোমার জয় ঘোষণা করিতেছে এবং আমরাও এই ক্ষুদ্র প্রাণে, ক্ষুদ্র কণ্ঠে তোমারি জয় ঘোষণ করিতে একত্রিত হইয়াছি। তুমি একবার দয়া করিয়া আমাদের হৃদয়ের ভাব ও ভক্তি তুমি আমাদের আত্মায় এমন এই সুখদুঃখময় সংসারের মধ্যেও তোমার প্রতি স্থির থাকে। বৎসরের এই প্রথম প্রাতে আমরা যেমন তোমার জয় ঘোষণা করিতেছি, এইরূপ প্রতিদিনই যেন তোমারি জয় ঘোষণা করিতে করিতে অনন্তকাল বিচ রণ করিতে পারি ও একমেবাদ্বিতীয় ।