পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

qo, ملے، . مستحس۔ سے • ,ی۔مسما۔ ہوم ، سی-سا নাবালক যে, তাহার বিষয় আশয় সমস্তই আছে বটে, কিন্তু সে বিষয়ের উপর তাহার অধিকার নাই—কারণ তাহার দানের অধিকার নাই। এই দানের অধিকারই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ অধিকার । যে ব্যক্তি পরকে দিতে পারে সেই ধনী। যে নিজেও খায় না পরকেও দেয় না কেবল মাত্র জমাহতে থাকে, তাছার নিজের সম্পত্তির উপর কতটুকুইবা অধিকার। যে নিজে খাইতে পারে কিন্তু পরকে দিতে পারে না সেও দরিদ্র-কিন্তু যে পরকে দিতে পারে নিজের সম্পত্তির উপরে তাহার সর্বঙ্গীণ অধিকার জন্মিয়াছে। কারণ, ইহাই চরম অধিকার। আমাদের পুরাণে যে বলে, যে বাক্তি ইহজন্মে দান করে নাই সে পরজন্মে দরিদ্র হইয়া জন্মিরে, তাছার অর্থ এইরূপ হইতে পারে যে, টাকাত আর পরকালে সঙ্গে যাইবে না, সুতরাং টকাগত ধনিত্ব বৈতরণীর এ পার পর্যন্ত। যদি কিছু সঙ্গে যায় ত সে হৃদয়ের সম্পত্তি। যাহার সমস্ত টাকা কেবল নিজের জন্য—নিজের গাড়িটি ঘোড়াটির জন্যই লাগে, তাছার লাখ টাক থাকিলেও তাঁহাকে দরিদ্র বলা যায় এই কারণে—যে, তাহার এত সীমান্য আয় যে তাহতে কেবল তাহার নিজের পেটটাই ভরে তাও ভরে না বুঝি ! তাহার কিছুই বাকী থাকে না—যতই কিছু আসে তাহার নিজের অতি মহৎ শূন্যতা পুরাইতে, অতি বৃহৎ দুর্ভিক্ষ দারিদ্র্য দূর করিতেই খরচ হইয় যায় । সুতরাং যখন সে বিদায় হয়, তখন তাহার সেই প্রকাও শূন্যতা ও হৃদয়ের ছুর্ভিক্ষই তাহার সঙ্গে সঙ্গে যায়, আর কিছুই যায় না। লোকে বলে, ঢের টাকা রাখিয় মরিল ! ঠিক কথা, কিন্তু এক পয়সাও লইয়া মরিল না । (4) মুতরাং, আত্মকে যে দিতে পারিয়াছে 88 研寫* 譬緯 - .ة ده المسيحسمهم بمساهميسيسي, "Ti আস্থাসৰ্ব্বতোভাবেতারই। স্নায়ক্রমশই অভিব্যক্ত হইয়া উঠিতেছে। জড় হইত্ত্বে মনুষ্য-আত্মার অভিব্যক্তি ; মধ্যে কত কোক্টি কোটি বৎসরের ব্যবধান। তেমনি স্বার্থ সাধন-তৎপর আদিম মনুষ্য ও আত্মবিসর্জনরত মহদাশয়ের মধ্যে কত যুগের ব্যবধান । একজন নিজের আত্মাকে ভালরূপ পায় নাই, আর এক জনের আত্মা তাহার হাতে:অসি য়াছে। আত্মার উপরে যাহার অধিকার জন্মে নাই, সে যে আত্মাকে রক্ষা করিতে পারিবে তাছা কেমন করিয়া বলিব ? সকল মনুষ্য নহে-মনুষ্যদের মধ্যে যাহারা সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ যথার্থ হিসাবে তাহাদেরই আত্মা আছে। যেমন গুটিকতক ফল ফলাইবার জন্য শতসহস্ৰ নিষ্ফল মুকুলের আবশ্যক, তেমনি গুটিকতক অমর আত্মা অভিব্যক্ত হয়, এবং লক্ষ লক্ষ মানবাত্মা নিস্ফল হয়। o (v) আত্মা বিসর্জনের মধ্যেই স্বাত্মার আমরতার লক্ষণ দেখা যায়। যে আত্মায় তাহা দেখা যায় না, সে আত্মার যতই বর্ণ থাকুক ও যতই গন্ধ থাকুক তাহ বন্ধ্যা। একজন মানুষ কেনই বা আত্মবিসর্জন করিবে । পরের জন্য নিজেকে কেনইবা কণ্ঠ দিবে। ইহার কি যুক্তি আছে! যাহার সহিত সি তান্তই আমার স্বর্থের যোগ, তাহাই আমার অবলম্বা আর কিছুর জন্যই আমার মাথাব্যখ নাই, এইত ইহ-সংসারের শাস্ত্র । জগতের প্রত্যেক পরমাণুই আর সমস্ত উপেক্ষা করিয়৷ নিজে টিকিয়া থাকিবার জন্য প্রাণপ৭ে যুঝিতেছে, সুতরাং স্বার্থপরতার একটা যুক্তিসঙ্গত অর্থ দেখা যাইতেছে। কিন্তু এই স্বার্থ পরতার উপরে মরণের অভিশাপ দেখা যায়, কারণ ইহা সীমাবদ্ধ। ঐহিকের নিয়ম ছিকেই অবসান, সে নিয়ম কেবল এইখানেই, খাটে। সে নিয়মে যাহ্বারা চলে তাহারী