পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: بهvو چst ঐহিক অতিক্রম করিয়া আর কিছুই দেখিতে পায় না, আর কিছুর উপরেই বিশ্বাস স্থাপন করে না । কেনই বা করিবে ? তাহার। দেখিতেছে, এইখানেই সমস্ত হিসাব মিলিয়া যায়, অন্যত্র অনুসন্ধানের আবশ্যকই করে ন। কিন্তু অমরত কখন দেখিতে পাই ? পৃথিবীর মাটি হইতে উদ্ভূত হইয়া পৃথিবীতেই মিলাইয়া সাইব, এ সন্দেহ কখন দর হয় ? যখন দেখিতে পাই, আমাদের মধ্যে এমন একটি পদার্থ আছে, যে ঐহিকের সকল নিয়ম মানে না। আমরা আপনার মুখ চাই না, আমরা আনন্দের সহিত আত্মবিসর্জন করিতে পারি, আমরা পরের সুখের জন্য নিজেকে দুঃখ দিতে কাতর হই না । কো থাও ইহার “কেন” খুজিয়া পাই না। কেবল হৃদয়ের মধ্যে অনুভব করিতে পারি যে, নিজের ক্ষুধায় কাতর, সংগ্রাম-পরায়ণ এই জগৎ অতিক্রম করিয়া অার এক জগৎ আছে, ইহা সেইখানকার নিয়ম । সুতরাং এই খানেই পরিণাম দেখিতেছি না। চারিদিকে এই যে বস্তু-জগতের ঘোর কারাগার-ভিত্তি উঠিয়াছে, ইহাই আমাদের অনন্ত কবরভূমি নহে । অতএব যখনি আমরা আত্মবিসর্জন করিতে শিখিলাম, তখনি আমাদের গুরুভার ঐহিক দেহের উপরে দুটি পখি। উঠিল। পৃথিবীর মাটিতে চলিবার সময় সে পাখাদুটির কোন অর্থ বুঝা গেল না। কিন্তু ইহা বুঝা গেল যে ঐ পাখা দুটি কেবল মাত্র তাহার শোভা নহে উহার কার্য্য আছে। তবে যাহাদের এই পাখা জন্মায় নাই তাঁহাদেরও কি আকাশে উঠিবার অধিকার আছে? (4) . আমাদের মধ্যে যে সকল উচ্চ আশা, যে সকল মহত্ত্ব বিরাজ করিতেছে তাহারাই স্থায়ী, আর যাহারা তাহাদিগকে বাধা দিয়াছে, তাহাদিগকে ক্লার্ষ্যে পরিণত হইতে দেয় আত্মা - צול নাই, তাহারা নশ্বর । তাহারা এইখানকারই জিনিষ, তাহারা কিছু সঙ্গে সঙ্গে যাইবে না । আমার মধ্যে যে সকল নিত্য পদার্থ বিরাজ করিতেছে, তাহা তোমরা দেখিতে পাইতেছ না; তাছাদের চারিদিকে যে জড়স্তপ উথিত হইয়া কিছুদিনের মত তাহাদিগকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছে, তাহাই তোমর দেখিতেছ। আমার মনের মধ্যে যে ধর্শের আদর্শ বর্তমান রহিয়াছে তাহারই উপর আমার স্থায়িত্ব নির্ভর করিতেছে । যখন কাষ্ঠলোষ্ট্রের মত সমস্ত পড়িয়া থাকে তখন ধৰ্ম্মই আমাদের অনুগমন করে । যাচার আত্মায় এ আদর্শ নাই, দেহের সহিত তাছার সম্পূর্ণ মৃত্যু হয়। জড়ত্বই তাছার পরিণাম । যে গেছে, সে তাছার জীবনের সার পদার্থ লইয় গেছে, তাহার যা যথার্থ জীবন তাহাই লইয়া গেছে, আর তাহার ছুদিনের স্বপ দুঃখ, দুদিনের কাজ-কৰ্ম্ম আমাদের কাছে রাখিয়া গেছে । তাহার জীবনে অনেক সময়ে আজিকার কাজের সহিত কালিকার কাজের বিরোধ দেখিয়াছি; আজিকার মতের সহিত কালিকার মতের অনৈক্য দেপিয়াছি, এমন কি, তাহার মত একরূপ শুনা গিয়াছে, তাহার কাজ আর এক রূপ দেখা গিয়াছে –এই সকল বিরোধ অ নৈক্য চঞ্চলত তাহার আত্মার জড় আবরণের মত এই খানেই পড়িয়া রছিল, ইহাকে অতিক্রম করিয়। যে ঐক্য যে অমরত অধিষ্ঠিত ছিল, তাহাই কেবল চলয় গেল। যখন তাহার দেহ দগ্ধ করিয়া ফেলিলাম, তখন এগুলিও দগ্ধ করিয়া শ্মশানে ফেলিয়া আসা যাক। তাহার সেই মৃত অমিতাগুলিকে লইয়া অনর্থক সমালোচনা করিয়া কেন তাহার প্রতি অসম্মান করি ? তাহার মধ্যে যে সত্য, যে দেবতা, ছিল, যে থাকিবে, সেই আমাদের হৃদয়ের মধ্যে অধিষ্ঠান করুক !