পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:isso من از همینی* श्रवणे 箕 ". i. • . o, “; , * - - 'r SAAAAAA SAAAAA SAAAAA AAASS م-. --~ حصی-صمسسسہ مصمہ محد سے গ্রাঙ্গকে জিজ্ঞাসা করি যে, ভক্ত পেত্ত , কিন্তু প্রকৃত কথা এই যে, জ্ঞানের বিরোধী দিক যেমন ভাষার ইঃ দেবতাকে হৃদয়াভা- ভক্তিও ব্রাহ্মকে শোভা পায় না, ভক্তির ওরে প্রত্যক্ষবং অবলোকন করিয়৷ তদগত চিত্তে ছিার ধ্যান করেন,ভক্তি-তরে উহার পূজা করিয়া আপনাকে কৃতাৰ্থ মনে করেন, ঈশ্বরকে তিনি ততদূর একমনে ধান করেন কি—ততদূর ভক্তির সহিত আরাধনা করেন কি ? পোত্তলিক অপেক্ষ তাহার জ্ঞানের বিস্তার অধিক হইতে পারে—কিন্তু তাহার জ্ঞানের বিস্তার যে পরিমাণে অধিক তাহার প্রেমের গভীরতা কি সেই পরিমাণে অধিক, না সেই পরিমাণে অল্প ? কালের গতি দেখিলে বোধ হয় শেষোক্তেরই অধিক সস্তাবনা । ভক্ত পৌত্তলিকের ত্রাহ্মের প্রতি এইরূপ উত্তর প্রদান করেন যে, “অনন্ত । পরব্রহ্ম” আমাদের মনে ধারণা হয় না, কিন্তু আমাদের ইঃ দেবতাকে আমরা হৃদয়াভ্যস্তরে প্রত্যক্ষ দেখিতে পাই ; প্রত্যক্ষ ছাড়িয়া আমর কেন অনিৰ্দেশ্য দুরাসাদ্য বস্তুর অনুসরণ করব ? অার সেরূপ মৃগতৃঞ্চিকার পশ্চাতে ধাবমান হইয়াই ব৷ কিরূপে আয়াদের হৃদয়ের পিপাসা শান্তি করিব ? একথার আমরা কি প্রত্যুত্তর দিব ? আমরা বৈজ্ঞা নিকদিগের পথ অনুসরণ করিয়া সমস্ত জগতের মধ্যে একতা-সূত্র দেখিতে পাই । সে একতা-সূত্র পরমাত্মার ছায়। মাত্র-কিন্তু ভক্ত পৌত্তলিক যেমন আপনার হৃদয়-মন্দিরের জাগ্রত দেবতাকে উপলব্ধি করেন, আমরা কি , সেরূপ জাগ্রত পরমাত্মাকে উপলব্ধি করি ? অনেক ব্রাহ্ম অনন্ত অপার পরব্রহ্মকে হৃদয়ে উপলব্ধি করিতে পরাভব মানিয়া প্রকারাস্তরে পৌত্তলিকদিগের ন্যায় আচরণ করিয়া থাকেন-হৃদয়ের অনুরোধে জ্ঞাণের বিরোধী পক্ষ অবলম্বন করেন—কেহ বা ব্রাহ্ম-ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া অভাবনীয় অভিনীয় নূতন ধর্মের আশ্রয়গ্ৰহণ করেন। . বিরোধী জ্ঞানও ব্রাহ্মকে শোভা পায় সj, ভক্তি এবং জ্ঞান দুয়ের সামঞ্জস্যই ব্রাহ্মের শিরোভূষণ ; ব্রাহ্মের ভক্তি এবং জ্ঞান— দুইই কিরূপে রক্ষিত হইতে পারে তাহা দেখা যাউক । সমস্ত জগতের সমস্ত পদার্থের মধ্যে এক আশ্চর্য্য একতা বর্তমান রক্রিয়াছে--uন একতার নিকট আয়-পর নাই—দুর-নিকট নাই—ছোট-বড় নাই--অন্তর-বাহির নাই ; সেই একতা-সূত্র অবলম্বন করিয়া আমরা আপনার অন্যদের অভ্যস্তরে কার্য্য করি, অন্যেরা আমাদের অভ্যস্তরে কার্য্য করে,— যাহা দূরস্থ তাহ নিকটস্থের অভ্যস্তরে কাৰ্য্য করে, যাহা নিকটস্থ তাহা দুরস্থের অভ্যস্তরে কার্ষ্য করে,—যাহা ছোটো তাহা বড়'র অভ্যন্তরে কার্য্য করে, যাহা বড় তাহা ছোটোর অভ্যন্তরে কার্য্য করে,-যাহা অন্তর স্থিত তাহ বাহ্য বিষয়ের অভ্যস্তরে বর্গি করে, ধাহা বহিস্থিত ত{হ আন্তঃকরণের অভ্যস্তরে কার্ষ্য করে ;--সেই একতা-সূত্রে আবদ্ধ হইয়। সকল বস্তুই সঙ্কল বস্তুর অভ্যন্তরে কাৰ্য্য করতেছে—সমস্ত জগৎ আপনি আপনার অভ্যন্তরে কার্য্য করতেছে; কিন্তু আমরা সে একতার ভাব আমাদের আত্মাতে যেমন সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ দেখিতে পাই--অন্য কোন স্থানেই তেমন নহে। সকল বস্তু সকল বস্তুর অভ্যস্তরে কার্য্য করিতেছে—ইহা সত্য ; কিন্তু সেরূপ কার্য্যের অধিকাংশই আমাদের অজ্ঞাত-সারে নির্বাহিত হইয় থাকে,– এমন কি আমাদের মস্তক আমাদের হৃদয়ের উপর কখন কিরূপে কাৰ্য্য করে—আমাদের হৃদয়ই বা আমাদের মস্তকের উপর কখন কিরূপে কার্য্য করে—তাহাও আমরা জানিতে পারি না। কিন্তু যখন আমাদের মনের মহম্ভাব