পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাগ্রত হইয়া নিকৃষ্ট ভাবের উপর কার্ষ্য করে--তখন সে কার্ষ্য আমাদের জ্ঞাত-সারে সম্পন্ন হইয়া থাকে, তখন আমরা আমাদের জাগ্ৰত অন্তশ্চক্ষুর সমক্ষে আমরা আপনার আপনাদের অভ্যন্তরে কার্য্য করি—সুতরাং সে কাৰ্য্য আমরা মুস্পষ্ট্ররূপে দেখিতে পাই। সুর্য পৃথিবীর অভ্যস্তরে কার্সা করিতেছে— ইহ। আমরা জানিতেছি বটে – কিন্তু প্রত্যক্ষ দেখিতেছি না, – কিন্তু যখন আমাদের মনুষ্যত্ব জাগ্রত হইয়া আমাদের পশুবৃত্তি সকলের অভ্যন্তরে কার্য্য করে-তখন সে কার্য্য আমির। আমাদের চক্ষের সামনে প্রত্যক্ষ অবলোকন করি । যে একতা-সূত্র সমস্ত জগতের অভ্যন্তরে বর্তমান রহিয়াছে – সে একতা-সূত্র আমাদের প্রতিজনেরই অভ্যন্তরে বর্তমান রহিয়াছে—কিন্তু সে মহান একত| _ to — £: ജ ،مین* ۔ ہو۔ ---- مام s সন্ত্রকে প্রতাক্ষ উপলব্ধি করা সাধন বাতি- ; রেকে কখনই হইতে পরে না । যখন আমাদের মনুষ্যত্ব জাগ্রত হইয়া পশু-ভাব সকলের অভ্যন্তরে অন্তর্যামী হইয়৷ কাৰ্য্য করে—তখনই তামাদের জ্ঞান-নেত্র উন্মীলিত হয়, - তখনই আমরা আমাদের অভ্যস্তুর-স্থিত একত-সূত্র প্রত্যক্ষ দেখিতে পাই, ও সমস্ত জগতের একত-সূত্রকে সেই বিমল দর্পণে প্রতিবিম্বিত দেখিতে পাই । অমাদের নিজের অভ্যন্তরে ষে একতা-সূত্র অব সেই আত্মাতে বৈজ্ঞাসিকেরা যেখানে । কেবল এক ঘুযস্ত একতা-সূত্র অবলোকন করে-জাগ্ৰত আত্মা সেখানে জাগ্রত পরমাত্মাকে অবলোকন করেন । আমাদের কৰ্ত্তব্য এই ষে, আমরা কুসংস্কার উন্মলন করিয়াই তৃপ্ত না হই কিন্তু অন্তঃকরণের পশুভাব সকলকে,—বিষয়-লালসা – গৰ্ব্ব অহঙ্কার প্ৰমত্ততা—ঔদ্ধত্য কুটিলতা আস্তরিক স্বশঃস্পৃহা ও মৌখিক ধাৰ্ম্মিকতা—এ সকলকে দমন করিয়| আত্মাকে জাগ্ৰত করিয়া তুলি; তাছা হইলেই ভক্ত পৌত্তলিকেরা যেমন তাহাদের ইষ্ট দেবতাকে হৃদয়াভান্তরে প্রত্যক্ষ করেন, তাহা অপেক্ষাও জাজ্বল্যরূপে আমরা পরমাত্মাকে আত্মার অভ্যস্তরে প্রত্যক্ষ ক রিব ;- জগতের ঘুমন্ত একতা-সূত্র বৈজ্ঞানিক i | | স্থিতি করিতেছে--তিনি জীবাত্ম।--পশু-ভাব । সকলের উপর যখন তাহার প্রভাব পরিস্ফুট হয়, তখনই তাহার জ্ঞান-নেত্র উম্মীশিত হয়—তখনই তিনি জাগ্রত হ’ন, “যোগী জাগে ভোগী রোগী কোথা জাগে’ আত্মা এইরূপ জাগ্রত হইলেই আপনার একতা এবং ধ্রুবত্ব স্পষ্ট প্রত্যক্ষ করেন-- আপনাকে আপনি প্রত্যক্ষ করেন—এবং সমস্ত জগতের একতা-সূত্র যে পরমাত্মা তাছাকে প্রত্যক্ষবৎ প্রতিবিম্বিত দেখেন। দিগের বিজ্ঞানান্ধ নয়নে অস্ট্ররূপে প্রতিভাত হউক।--রান্সের জাগ্ৰত আত্মাতে জাগ্রত পরমাতু অন্তরে বাহিরে প্রকাশমান হইবেন —বৈজ্ঞানিফের জ্ঞানের বিস্তার এবং পৌত্তলিকের প্রেমের গভীরতা- দুইই একাধারে মিলিত হইবে । আর্য্যজাতি । (পূৰ্ব্বপ্রকাশিতের পর ।) এক্ষণে আমরা পণ্ডিতপ্রবর কোরজোন সাহেবের প্রকাশিত মন্তব্য সম্বন্ধে বিবেচনা করিব । তিনি সুন্দর যুক্তি ও প্রমাণ প্রয়োগ দ্বারা অবধারণ করিয়াছেন যে ‘আর্য্যাবর্তই প্রাচীন আর্য্যদিগের নিবাস-ভূমি।” . "Arya vartta, the land of the ancient Aryans, that is to say, to India proper, the land the true Indians.” to আধাদিগের প্রাচীন নিবাস-ভূমি নির্ণয় করিবার জন্য কোরজোন সাহেব প্রধানত্ত মানব ধৰ্ম্ম শাস্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছেন । স্বতরাং আমরাও যখন সেই জগৎপূদ্ব্য