পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৫৩ আধুনিক। আর্য্যগণ যে ভিন্ন দেশ হইতে ভারতে আলিয়াছেন, এরূপ কোন প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় না। * অপর পক্ষে ইহাই প্রমাণিত হইয়াছে যে আধ্যগণ ভারতে অবস্থান পূর্বক সমাজের, ধর্মের ও সভ্যতার উৎকর্ষ সাধন করিয়াছিলেন । এবং ইছাই আংশিক রূপে তাহাদিগের হইতে সস্তুত অন্যান্য জাতির নিকট বিতরণ করিয়াছিলেন।” । পৌরাণিক মতে মহর্ষি কশ্যপ দেব, দানব ও মানবের পিতৃপুরুষ । কাশ্মীরের বিখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থ রাজতরঙ্গিণীতে লিখিত আছে ধে “বর্তমান কল্পারম্ভে ব্রহ্মার পৌত্র মরীচির পুত্র প্রজাস্রষ্টা কশ্যপ, ব্রহ্ম, বিষ্ণু ও মহাদেব প্রভূতি দেবগণের সাহায্যে সতীসরের অভ্যস্তরস্থিত ভূভাগের উদ্ধার সাধন পূৰ্ব্বক কাশ্মীর প্রদেশ স্থষ্টি করিয়াছিলেন ইহ দ্বার অনুমিত হয় যে কাশ্মীর উপত্যকায় পরিণত হইলে প্রজাস্রষ্ট। মহর্ষি কশ্যপ পৰ্ব্বতশৃঙ্গ হইতে অবরোহণ করিয়৷ এস্থানেই বাস করিয়াছিলেন । সুতরাং কাশ্মীর প্রদেশকে আৰ্য্যজাতির সূতিকা-গৃহ বলা যাইতে পারে । কাশ্মীরের ন্যায় প্রকৃতির উদ্যানসদৃশ একটা মনোহর স্থানে আর্য্য-জাতির শৈশব কাল অতিবাহিত হই, য়াছিল বলিয়া অনুমান করা কোন মতেই অসঙ্গত বোধ হইতেছে ন তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । | | C改F l ফরাণী পরিব্রাজক ভক্তির ধ ি রার কাশ্মীরের সৌন্দর্ষ্যে এমনই মোহিত হইয়াছিলেন যে তিনি তাহ বারংবার উল্লেখ না করিয়া বিরত হইতে পারেন নাই বর্ণিয়ার এক স্থানে লিখিয়াছেন "জামি যথার্থই কাশ্মীরের সৌন্দর্ঘ্যে মোহিত হইয়াছি, কল্পনায় এই রাজ্যটকে আমি যত সুন্দর বিবেচনা করিয়াছিলাম, প্রকৃত পক্ষে কাশ্মীর তাহ হইতেও অধিক সুন্দর। এ সৌন্দর্ঘ্যের তুলনা নাই ।” তৎপরে ফোঞ্জার সাহেব যিনি স্থলপথে কলিকাতা হইতে সেন্টপিটাসর্বর্গে গমন করিয়াছিলেন, আসিয়া ও ইয়োরোপের অধিকাংশ স্থান র্যাহার নয়নগোচর হুইয়াছিল, সেই ফোষ্টারও কাশ্মীরের অতুল সৌন্দর্ঘ্যের উল্লেখ করিয়াছেন । মেজর রেনেল বলেন “কাশ্মীর প্রদেশ, অলৌকিক সৌন্দর্য্য-ভূমির উর্বরতা ও বায়ু মণ্ডলের তাপের সাম্যভাবের জন্য অসিয়ার সৰ্ব্বত্র বিখ্যাত; উল্লিখিত বিষয় সমুহের কারণ বিবেচনা দ্বার। এরূপ অনুমিত হয় যে, ইহা একটা সুবিস্তীর্ণ উচ্চ উপত্যকা, তাহার চতুদিকে অভ্রংলিহ পৰ্ব্বত-মালা নীহার-মণ্ডিত প্রদেশ-সীমা ভেদ করিয়া ঋজু ভাবে দণ্ডায়মান রছিয়াছে । একটা বৃহৎ নদীর সঞ্চিত কর্দমরাশিতে এই উপত্যক গঠিত হই মোগলেরা য়াছে । সেই নদী সৰ্ব্ব-উপত্যকাব্যাপি ङझ কাশ্মীর প্রদেশকে ভূস্বৰ্গ বলিয়া উল্লেখ হইতে উদ্ভূত ইয়া স্বয় বলে পৰ্ব্বত বিদাকরিয়াছেন। ভারতবাসীর চক্ষে কাশ্মীর । রণ পুৰ্ব্বক বহির্গত হইয়াছে। তাছাতেই চিরকালই ভূস্বর্গ। বৈদেশিক ভ্রমণকারীগণও কাশ্মীরের সৌন্দর্যে মোহিত হইয়া

  • পণ্ডিত মোক্ষমূলার ইয়োরোপনিবাসী “মাধ্য" দিগের সেই দেশে গমন লক্ষ্য করিয়া লিখিয়াছেন, “No historian can tell us by what impulse those adventerous Natnads were driven on through Asia towards the isles and shores of Europe. 歌 0.

উৰ্ব্বর উপত্যক অল্প পরিশ্রমে অপর্ষ্যাপ্ত ফলপ্রসু এবং বহুকাল-প্রসিদ্ধ কাশ্মীরের প্রাচীন স্বর্থী অধিবাসীদিগের স্বচ্ছন্দে জীবিক নির্বাহ উপযোগী হইয়া রহিয়াছে।” ষে কাশ্মীর, এই প্রকার প্রকৃতির রমণীর উদ্যান, যে স্থানে মানবের জীবন-যাত্রা-নিবাহ-উপযোগী ধন-ভাণ্ডার হস্তে লইয়াপ্রে