পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ o عیحہته جتاتے سے مہ ও ঐ শব্দ উচ্চারিত হইয়া থাকে, তবে বাঙ্গালির পিতাকে বাবা বলিয়া অভ্যস্ত, সুতরাং বাঙ্গালি বালক সত্বর সেই বাবা শব্দ শিখিয় লয়। ইংরেজি পাপ শব্দের সহিত বাঙ্গালি বাবা শব্দুের সাদৃশ্য আছে বলিয়া ই রাজ বাঙ্গালির সহোদর এ সিদ্ধান্ত নিতান্ত উপহাসকর।” আমাদের পূর্ব পার্শ্বস্থ কতকগুলি পাৰ্ব্বত্য অসভ্য জাতির সহিত ইংরেজি পাপ শব্দের সাদৃশ্য আছে। অসভ্য ত্রিপুরা জাতি পিতাকে “ফা’ মরুজাতি “পা” মগজাতি "(আঃ) ফা” পেন্ধুজাতি “পা” বলিয়া থাকে ; সুতরাং ভাষাতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণের মতনু- | এই সকল অসভ্য মঙ্গোলিয়ান জাতিগুলিকে ইংরাজের সহো | পারে ? I বিদ্যাভূষণ মহাশয় বলিতেছেন—“ইয়োরোপীয় ভধ!৩ত্বিং পণ্ডিতেরা আর্য সস্তানগণের যে সময়ে ইয়োরোপে ও ভারতে গমনের কথা বলেন সে সময়ে পপ ও বাবা শব্দ ছিল না। এ দুটা শব্দই আধুনিক। অতএপ যাহার এই আধুনিক শব্দ দ্বারায় সাদৃশ্য দর্শনে সিদ্ধান্ত করেন বাঙ্গালী ও ইংরাজ উভয়ই এক, তাহাদিগের বাক্য যে অমুলক, তাড়। সমজেই প্রমাণ হইতেছে। আমরা জগতের অতি অল্প ভাষারই খবর রাখি | মনুবংশীয় মানব কিম্বা আদম বংশীয় আদমি- মনুষ্য সকলই একজাতীয় জীব। তাছাদের ভাযার কয়েকট শব্দের সাদৃশ্য থাক। কিছুই আমাদের নিকট বিস্ময়কর বোধ হয় না।” e বিদ্যাভূষণ মহাশয় বলিতেছেন,-“ভিন্ন ভিন্ন ভাষার শব্দ-সাদৃশ্য ধাকিলেও যে এক জাতীয় হয় না, আমরা ব্যতিরেক উদাহরণ দ্বার। তাছা সপ্রমাণ করিতেছি । যুথ। বাঙ্গাল নাম শব্দ। সংস্কৃতে ইহাকে ..) -Yo יבי ব সম্ভ ・シ २१चन्छ र काभ নামে ; জৰ্ম্মণি নেমি ; লাটিন নযেন ; ডেনিস নামিস ; ফরাসী মমিশ, সুইডিস নম, চীন নন ; আরব্য নম, পুরাতন ইটালী নম। আমরা অব্যবহিত পূৰ্ব্বেই যে কছিয়াছি, শব্দ-সাদৃশ্য থাকিলেই ষে এক জাতীয় হয়, তাহা নহে। ভাষাতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতের নাম শব্দের সাদৃশ্য প্রদর্শন করিতে গিয়৷ এমনি মুগ্ধ হইয়াছেন যে চীন ভাষার “নন” ( ও তারবি নম ) শব্দের সহিত নাম শব্দের সাদৃশ্য প্রদর্শনে বিমুখ হন নাই। কিন্তু ভাষাতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণের মতেই চীন ও আরবিগণ গ্ৰীক পারসি ও ভারতবাসির সঙ্কিত এক জাতীয় নহে ।” “পাঠক আরো একটু চমৎকার দেখুন, সংস্কৃতের সহিত মিলাইয়া অন্য অন্য ভাষার শব্দের সাদৃশ্য প্রদর্শিত হইয়াছে, কিন্তু কতকগুলি পাশ্চাত্য পণ্ডিতের মতে সংস্কৃত কখন ও কোনও জাতির চলিত ভাষা ছিল না । এমতটা যদি সত্য বলিয় পরিগুঙ্গীত হয়, তাছা হইলে ভাষাতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণের উল্লেখিত পত্তন-ভূমি বালুকারাশির উপরে স্থাপিত ভিষ্টির ন্যায় ক্ষণভঙ্গুর হইল।” সংস্কৃত কখনই কোন জাতির প্রচলিত গ্রাম্য ভাষা ছিল না। আমাদের প্রাচীন কাব্য ও নাটক হইতে তাহার ভূরি ভুরি প্রমাণ সংগ্রহ করা যাইতে পারে। জৰ্ম্মাণ পণ্ডিত বেবার ভারতীয় সাহিত্যের ইতিহাস লিখিতে যাইয়া প্রথমেই বলিয়াছেন ষে সংস্কৃত, ভারতীয় আর্ষাদিগের প্রথম অবস্থার ভাষা ছিল না। প্রকৃত পক্ষে ভারতীয় আর্ষ্যগণ যখন আর্য্য আখ্যা ধারণ করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন, তখন তাছারা তাহাদের সংস্কারপ্রাপ্ত ভাষাকে সংস্কৃত শাখা প্রদান করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন। , . . ক্রমশঃ !