পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* - ..." ?? - Tr* * *", . . . . . 1 * م ." “r”, “” . ...” '...'. i

  • .. * 娥 م" 酸 '*', *॥" g * g
    • _ _ 畿 sr . e - - * w so

o - - - - *g o - ši শ্রদ্ধাস্পদ আচার্ঘ্য প্রযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই উপদেশ পাঠ করিলেন । ধিনি আমাদের অন্তরের অন্তরতম পর মাস্তু!—ষিনি আমাদের সর্বকালের আশ্রয়— বৎসরের এই মুখ্য সময়টি আইস আমরা তাহার পূজার উৎসর্গ করিয়া সম্বৎসরের সমস্ত শুভ কার্যের মূল প্রতিষ্ঠা করি । হে পরমাত্মন! অদ্য এই বৎসরের প্রথম দিবসে আমরা আমাদের হৃদয়-দ্বার উদঘাটন করিয়া তোমার মুখ-জ্যোতির প্রতীক্ষা করিতেছি তুমি আমাদিগকে দর্শন দেও। আজ আমরা নূতন বৎসরে প্রবেশ করিতেছি তোমার বিস্তু-বিনাশন আশ্রয় পাইলে কত না বল পাই—তোমার প্রেম-মুখ নিরীক্ষণ করিলে কত ন প্রাণ পাই ! নব সূর্য যেমন পৃথিবীর অবগুণ্ঠন অপসারিত করিয়া পূৰ্ব্বদিকে আবিভূতি হইয়াছে—তুমি সেইরূপ আমাদের মোহান্ধকার অপসারিত করিয়া হৃদয়ের অভ্যন্তরে আবিভূতি হও । হে নাথ ! এই মঙ্গল দিবসে তুমি তোমার মঙ্গল জ্যোতি আমাদের মস্তকে বিকীর্ণ কর, আমরা তোমাকে প্রণাম করিয়া হৃদয়কে পবিত্র করি ও জীবনকে সার্থক করি। তুমি সাক্ষাং সত্য—আমাদের আত্মার অভ্যন্তরে অবস্থিতি করিতেছ-তুমি আমাদের জ্ঞানের জ্ঞান—আমাদের সকল গুরুর পরম গুরু —তোমাকে আমরা প্রণাগ করি । তুমি সেন্দর্য্যের সুবিমল আদর্ণ-যাহার পিপাসায় নরনারী হ। হা করিতেছে—তুমিই তাহা স্বয়ং, তোমাকে আমর। প্রণাম করি ; তুমি অপরাজিত মঙ্গল—তোমার মঙ্গল ইচ্ছা জীবের প্রাণ-মৃত্যুর সংহী, আত্মার মুক্তিদাতা—তোমাকে আমন্ত্ৰা প্রণাম করি । হে পরমাত্মন। তুমি আমাদের চিরকালের পিত মাত, চিরকালের বন্ধু, চিরকালের আশ্রয় ; সকল কালেই যেন আমরা তোমাকে সৰ্ব্বত্র নববর্ষ ব্রাহ্মসমাজ । 'ર (t দেখিতে পাই, জগতের চক্ষু সূৰ্য্য যেন প্রতি দিন তোমাকে আমাদের চক্ষের সমক্ষে আন য়ন করে, জগতের প্রাণ সমীরণ যেন প্রতি ছিল্লোলে তোমার প্রেম-সুধা আমাদের হৃদয়ে বণ্টন করে। রোগে শোকে আক্রান্ত হইলে আমরা যেন তোমার ক্রোড়ে শয়ন করিতে পাই–সংসারারণে পথহার হইলে যেন তোমার বিমল মুখ-জ্যোতির দর্শন পাই, দীপ্তশিরা হইলে যেন তোমার মঙ্গল ছায়াতে বিশ্রাম করিতে পাই,—তুমি আমাদের হৃদয়মন্দিরের জাগ্রত দেবতা হইয়। বৎসর বৎসর আমাদিগকে তোমার মঙ্গল পথে রক্ষা কর— যেন মোহ-অন্ধকারে আবৃত হুষ্টয়া তোমা হইতে আমরা দুরে না পড়ি, তুমি প্রসন্ন | হইয় আমাদের এই মনস্কামনা পূর্ণ কুর । ও একযেবাদ্বিতীয় । ব্রহ্মসঙ্গীত । রাগিণী বিভাষ—তাল বীপতাল । রজনী পোছাইল, চলেছে যাত্রীদল আকাশ পূরিল কলরবে, সবাই যেতেছে মহোৎসবে। কুহুম ফুটেছে বনে, গাহিছে পার্থীগণে, এমন প্রভাত কি আর হলে ! নিদ্রা অার নাই চোখে, বিমল অরুণালোকে জাগিয় উঠেছে আজি সবে । চল গো পিতার ঘরে সারাবৎসরের তরে প্রসাদ-অমৃত ভিক্ষা লবে । ওই হের তার দ্বার, জগতের পরিবার হোথায় মিলেছে আজি সবে । ভাই বন্ধু সবে মিলি, করিতেছে কোলাকুলি মাতিয়াছে প্রেমের উৎসবে । যত চায় তত পায়, হৃদয় পুরিয়া যায় গৃহে ফিরে জয় জয় রবে,