পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bペ রকে পূজা করিতে পাবলেই তাহার মনস্বামন সিদ্ধ হয় ; সুতরাং অধ্যাত্মযোগের অবলম্বন দ্বারা পরব্রহ্মের সাক্ষাৎকার তাহার পক্ষে নিতান্ত কর্তব্য । বিষয়েতে মনের যোগ করাকে মনো যোগ কহে, পরমাত্মাতে আত্মার যোগ করাকে অধ্যাত্ম-যোগ কহে । মনোযোগ ব্যতিরেকে বাহ্য-বিষয় কাহারো উপলব্ধিগম্য হয় না, অধ্যাত্মযোগ ব্যতিরেকে পরমাত্মা কাহারে উপলব্ধিগম্য হন না । কত সময়ে এরূপ দেখা যায় যে, নিদ্রিত বাক্তর চক্ষু উন্মীলিত রহিয়াছে, তাহার শ্বাস প্রশ্বাস চলিতেছে, অথচ সম্মুখবর্তী একটি বিষয়ও তাহার দৃষ্টি-গোচর হইতেছে না ;-ইহার কারণ কেবল এই যে, তাতার চক্ষুরিল্লিয়ের দ্বারে যন উপস্থিত নাই ! আমাদের মলোযোগের অভাবে কোন বস্তু যদি আমাদের চক্ষু এড়াইয়া যায়, তবে সেই-মাত্র প্রমাণের বলে আমরা বলিতে পারি না যে, সে বস্তু প্রত্যক্ষের অগোচর ; নৈশ আকাশ-মগুলে তত্ত্ববোধিনী পঞ্জি १* कल, ९ छोत्र ধ্যাত্ম-যোগ ; এমন কি--প্তাহারা এ পর্য্যস্তও বলিতে ত্রুটি করেন না যে, অধ্যায়যোগে– মনঃস্থৈৰ্য্যই সার সংকল্প, ঈশ্বরোপাসন তাহার একতম উপায়— মনঃস্থৈৰ্য্যই সাধকের মুখ্য প্রয়োজনীয়, ঈশ্বরোপাসনা কেবল একটা উপলক্ষ্য মাত্র;”—ইহঁাদের কি ঘোরতর মতি-ভ্ৰম --তন্মন-ভাবে কোন ব্যক্তি যখন উপন্যাস পাঠ করেন, তখন তাছার মনের এমনি স্থিরত হয় যে, তাহীকে ডাকিলে সাড়া পাওয়া যায় না,-তাহা বলিয়া র্তাহার সেই মনের স্থৈর্যাকে কি আমরা অধ্যাত্ম-যোগ বলিব ? মনঃ-স্থৈৰ্য্যই যদি আমরা যদি ধ্রুব নক্ষত্র খুজিয়া না পাই, : তবে তাহাতে ইহাই বুঝাইবে যে, আমাদের মনোযোগের ক্রটি হইয়াছে, ইহা প্রমাণ র ; সেইরূপ যদি আমরা আত্মাতে পর মন্ত্রর উপলব্ধি করিতে না পারি তবে । তাহাতে কেবল ইহাই প্রকাশ পাইবে সে, আমাদের অধ্যাত্ম-যোগের ক্রটি হইয়াছে, তদ্ভিন্ন তাহাতে এমন কিছু প্রমাণ হইবে ন যে, পরমাত্মা আমাদের উপলব্ধিগম্য মহেন । বিষয়-বিশেষ প্রত্যক্ষ করিতে ছইলে মনোযোগই যেমন তাহার একমাত্র উপায়, সেইরূপ পরমাত্মাকে অস্তরে উপলব্ধি করিতে হইলে, অধ্যাত্মযোগই তাহার একমাত্র উপায় । অনেকে বলেন যে, মনের স্থৈৰ্য্যই অ হুইবে না যে, ধ্রুব নক্ষত্র মানব-চক্ষুর অগো- ৷ 石 সাধকের একমাত্র উদ্দেশ্য হয়, তবে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উপদেশ শ্রবণ করা অপেক্ষা আরব্য উপন্যাস পাঠ করা তাহার পক্ষে আগু-ফলসংগ্রাম বাতিরেকে সেপোলিয়নের মন কিছুতেই স্থৈৰ্য্য মানিত না—কেবল সংগ্রাম-কোলাহলের মধ্যেই তাহার মন অটল স্থৈৰ্য্য লাভ করিত,-সে স্থৈৰ্য্যকে কি আমরা অধ্যাত্ম-যোগ বলিব ? বিষয়ের মোহিনী শক্তি দ্বারা আমাদের মন যখন তাছাতে প্রবল বেগে আকৃষ্ট হয়, তখন অামাদের মনের খুবই একাগ্রতা ईश्न, খুবই স্থৈর্যা হয়—কিন্তু তাহাতে অধ্যাত্ম-যোগের ব্যাঘাত ভিন্ন সাহায্য কিছুই হয় না। অতএব সাধকের এইটি মনে রাখা নিতান্ত আবশ্যক যে, বিষয়ের প্রতি মনের যে যোগ তাহা অধ্যাক্স-যোগ নছে – তাহা মনোযোগ মাত্র ; পরমাত্মাতে আত্মার যে, যোগ, তাহাই অধ্যায় যোগ। . . . মন স্বভাবতঃ চঞ্চল,বিষয়-বিশেষের অবলম্বন পাইলে তাছা কিয়ৎক্ষণের জন্য স্বৈর্য্য লাভ করিতে পারে ; ইহা দেখিয় পণ্ডিত ব্যক্তিয়াও দেবদেবীর প্রতিমাকে সম্মুখে রাখিয় তাহার প্রতি মনঃসমাধা করিয়া থাকেন ; কিন্তু অধ্যাত্ম-যোগের সাধন-প గ్రW