পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* хунт " ، o ===این ناحیحیت جیتیجیجی جیعتحع تحتجاج=میچینج حجت ৰতি সেরূপ নহে। শাখা-বৃত্তির চরিতার্থতা স্বতন্ত্র এবং সমুদায় মলে ফি-গমতি সমগ্র আত্মার চরিতার্থত৷ স্বতন্ত্র । শেষোক্ত প্রকার সমগ্র চরিতার্থতাই অধ্যাঞ্জযোগের উদ্দেশ্য ;-ইহার তাৎপর্ষ্য একটু বিস্তার করিয়া বলা আবশ্যক ;–

  • যখন আমরা শুষ্ক বিজ্ঞানের আলোচনায় মনঃ-সমাধান করি তখন আমাদের বুদ্ধিবৃত্তি সবিশেষ চরিতার্থতা লাভ করে— কিন্তু প্রীতি ভক্তি প্রভূতি আর আর অনেক মনোবৃত্তি পশ্চাতে পড়িয়া থাকে ; যখন আমরা রামায়ণ প্রভূতি কাবা শাস্ত্রে মনঃ-সমাধান করি, তখন আমাদের হৃদয়ের প্রীতি- ভক্তি স্নেহ-করুণ প্রভৃতি সবিশেষ চরিতাথতা লাভ করে, কিন্তু বুদ্ধি-বৃত্তি তাহার অনেক পশ্চাতে পড়িয়া থাকে ; যখন আমরা কোন বীর-চরিত পাঠ করি তখন আমাদেব জয়েচ্ছা সবিশেষ চরিতার্থতা লাভ করে, কিন্তু অব আর বহুতব মনোরক্তি পশ্চাতে পড়িয় থাকে। বিশেষ বিশেষ বিষয়েতে মনের যোগ সাধন দ্বারা বিশেষ বিশেষ মনোরক্তির চরিতার্থতাই সাধিত হয়, সমুদায় মনের চরিতার্থতা সাধিত হয় না ; সম্মুখবর্তি বিষয় দ্বারা যে মনোবৃত্তি উত্তেজিত হয় সেই মনোবৃত্তিই চরিতার্থতা লাভ করে- যে বৃত্তিগুলি প্রস্বগু থাকে সে-গুলি অবশিষ্ট থাকিয়া যায়। ক্ষণোত্তেজিত উপস্থিত মনোবৃত্তির চরিতার্থতা সাধন অধ্যাক্সযোগের উদ্দেশ্য নহে—অধ্যাত্ম-যোগের উদ্দেশ্য অতীব মহান ; পবিত্র-জ্ঞান-প্রেমধৰ্ম্ম-সমন্বিত যে আত্মা সেই আত্মার সম্যক চরিতার্থতাই আধ্যাজুযোগের উদ্দেশ্য ; বিষয়েতে মনঃসমপর্ণ দ্বারা সে উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইতে পারে না, সত্য-মুন্দর-মঙ্গল পরমাজাতে আত্মসমপণ করাই সে উদ্দেশ্য-সাধনের একমাত্র উপায়। পশু পকীদিগের মন

মনের ক্ষণোত্তেজিত । থাকে -- তাহাঁদের মনের এক কোণও আকশিষ্ট্র থাকে না,-গায়ক বিহঙ্গের সমুদায় মনের সহিত গান করে, সিংহ ব্যাঘ্র সমুদায় মনের সহিত জীব হিংসা করে, মধ্যক্ষিক সমুদায় মনের সহিত মধুচক্ৰ নিৰ্ম্ম । করে ; কিন্তু মনুষ্য পার্থিব বিষয়ে যতই কেন মনের সহিত নিযুক্ত থাকুক না--তাহার ভিতরে অসীম গভীরতা অবশিষ্ট্র থাকিয়৷ যায়—সেখানকার সেই গম্ভার নিস্তব্ধ শূন্যতা পরমাত্মা ভিন্ন আর কিছুরই দ্বারা পূর্ণ হইবার নহে,—পরমাত্ম৷ ভিন্ন আর কিছুতেই আত্মার ক্ষোভ শাস্তি হইতে পারে না । মনের সহিত বিষয় অবলম্বন করিয়া যেমন আমরা মনের ক্ষণিক তৃপ্তি সাধন করিয়া থাকি, আইস আমরা, সেইরূপ সমুদায় আত্মার সহিত পরমাত্মাকে অবলম্বন করিয়া আত্মার চিরন্তন শাস্তির সোপান প্রতিষ্ঠা করি । সমস্ত সংসার—সমস্ত ব্রস্বাও—স্থিত হইয়া, এই স্বন্দর মুহুর্তে অr ইস অtযবা সৰ্ব্বান্তঃকরণের সহিত পরমাত্মাতে সংযুক্ত হই—আমাদের আত্মার অস্তুরতম গভীরতম প্রার্থণার উৎস আইস আমরা তাহার প্রতি উন্মুক্ত করিয়া দিই তিনি অজস্র ধারে তাহার প্রসাদ বারি বর্ষণ করিবেন। হে পরমাত্মন! তুমি আমাদের আত্মাতে আবিভূত হও, সমুদায় ব্রহ্মাণ্ডে তোমার নাম ধ্বনিত হউক, তোমার মহিমা প্রভালিত হউক—তোমার প্রেমমুখ যেন আমাদের মোহ-মেঘ . দ্বারা আচ্ছন্ন না থাকে,—তোমার সহিত যুক্ত হই । আমরা যেন তোমার প্রেমে উৎফুল্ল হল—তোমার আদেশে তোমাকে অবলম্বন করিয়া যেন সমুদায় কর্তব্য কাৰ্য্য নির্বাহ করি—ও সংসারের সমুদায় বিত্ব বিপত্তি অতিক্রম করিয়া