পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

اهميstr মনরোমমোযদ্বাচোহ বাচং সউ প্রাণস্য প্রাণশকুযশ্চক্ষুঃ” ধিনি শ্রোত্রের শ্রোত্র, মনের মন, বাক্যের বাক্য, তিনি প্রাণের প্রাণ, চক্ষুর চক্ষু, তাহার সন্তা সন্নিকর্ষ উজ্জ্বলতররূপে প্রত্যক্ষ প্রতীতি করিতে পার না ? তিনি জড়ের ন্যায় চৰ্ম্ম-চক্ষুর সম্মুখে প্রকাশিত হয়েন না বলিয়া কি তাহাকৈ সন্দর্শন করিতে চেষ্টা কর না ? তিনি যে এই শরীরে প্রাণের প্রাণ, আত্মার অন্ত রাত্মা হইয়া অহৰ্নিশি বিরাজ করিতেছেন, । তিনি যে এই বাহ্য জগতের প্রতিপদার্থের অস্তরালে যন্ত্রী নিয়ন্ত্রীরূপে দেদীপ্যমান রহিয়াছেন। একবার অন্তশ্চক্ষু উন্মীলন করিয়া কি তাহাকে দেখিবে না ? চৰ্ম্মচক্ষেই যে জড় পদার্থ অবলোকন করিতেছ, এক দৃষ্টিতেই কোন তাহার অন্তর-বাহ্য সন্দর্শন করিতে সমর্থ হও? ফল পুপ হস্তে ধারণ করিয়া তো কেবল তাহার উপরিভাগ, তাহার বাহ্য-শোভাই নিরীক্ষণ করিয়া থাক ; ফলের যাহা সত্ত, পূপের যাহা সার, তাহা তো এই চৰ্ম্ম-চক্ষে প্রতিভাত হয় না। যতক্ষণ না তাহা ভেদ কর, যতক্ষণ না তাহা তন্ন তন্ন করিয়া ছেঙ্গ কর, ততক্ষণ আর প্রকৃত পদার্থে দৃষ্টি নিপতিত হয় না। ধিনি জগতের সভা, ব্ৰহ্মাণ্ডের সার ; কৌশলের কর্তা, প্রাণের প্রাণ ; নিয়মের নিয়ন্তা, আত্মার জীবন ; র্তাহাকে ক্ষুদ্র বুদ্ধি-নেত্র উন্মীলন করিয়া আর কি দেখিবে ? যেমন তিলে তৈল, দধিতে ঘৃত, অন্তঃসলিলা নদীয় গৰ্ত্তে জল, কাষ্ঠে অগ্নি প্রচ্ছন্ন ভাবে অবস্থান করে ব লিয় তাহ সহসা দৃষ্ট হয় না, যে ব্যক্তি । যন্ত্রযোগে তাহ নিপীড়ন, মন্থন, খনন ও ংঘর্ষণ করেন, তিনি তাহাদিগের অন্তভূত সার-পদার্থ সকল দেখিতে পান ; তেমনি ধিনি শুদ্ধসত্ত্ব পবিত্র হুইয়া সত্যের দ্বারা, স্নান দ্বারা, মনের একাগ্রতা দ্বারা তপস্যা ! ভবানীপুর দ্বত্রিংশ স্বাৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ b$A দ্বারা ভঁাহাকে সকল আবরণ আচ্ছাদন ভেদ করিয়া দেখিতে চেষ্টা করেন, তাহারই নিৰ্ম্মল অস্তশ্চক্ষুতে তিনি প্রণ্ডিত হয়েন। । তিলেবু ভৈলং দধিনীৰ সপিরাপ; স্রোতঃস্বরণীয়ু চাগ্নিঃ । এবং আত্মনি গৃহ্যতেই সে। সত্ত্যেনৈনাং তপসা ষোহমুপশ্যতি | এইরূপে যিনি তাহাকে সকল সত্তার সত্তা, সকল শক্তির শক্তি, সকল প্রাণের প্রাণ রূপে সৰ্ব্বত্র জাগ্রত জীবন্ত ভাবে সন্দশন করিতে যত্নশীল হয়েন, তিনিই তাছার সাক্ষাৎকার লাভ করিয়া কৃতাৰ্থ হয়েন । কেবল চৰ্ম্ম-চক্ষে বাহ্য বস্তু দেখিয়া ব্ৰহ্মদর্শনে নিরাশ হইও না । কেবল বৃক্ষ লতা, পশু পক্ষীর জীবন মৃতু্য দেখিয়া আপনার আশা ভরসা এই পৃথিবীতে আবদ্ধ করিও না। আত্মার প্রকৃতি, উন্নতিশীল অমর আত্মার আশা আধিকার, বলবীর্ষ্য সন্দর্শন করিয়া অাত্মার স্রষ্ট। পাতা ও আশ্রয়দাতা সেই পরমাত্মাকে আত্মাতে ওতিষ্ঠিত দেখিয় সকলে কৃতপূণ্য হও । সেই নেতা নিয়স্তার অতুলন স্নেহ-প্রেম প্রতি নিমেষে, প্রতি নিঃশ্বাসে প্রত্যক্ষ অনুভব করত তঁহার প্রীতি সাধনে এবং তাহার প্রিয় কার্ষ্য সম্পাদনে নিযুক্ত থাক। তিনিই আমারদের সর্বস্ব। তাহারই উপাসনা এই শোক-তাপ-জরামৃত্যু-পূর্ণ সংসারে শান্তি মঙ্গল লাভের সোপান। তাঁহারই উপাসনা শোকীর্ত তাপার্তের সাস্ত না, তাহারই উপাসনা পাপাওঁ ব্যক্তির দুৰ্ব্বিসহ অন্তর-জ্বালার একমাত্র মহৌষধ। তাহারই উপাসনা সাধকের ইহলোকের বল, পরলোকের সম্বল । হে জ্যোতির জ্যোতি ! এখন যেমন ভূমি অামারদের অন্তরাকাশ আলে। বাঁয়। প্রকাশ পাইতেছ, তেমনি আমাদের আত্মাতে তুমি চির-প্রকাশিত থাক, তোমার সমিধানে এই অামারদের আস্তরিক প্রার্থন । ও একমেবাদ্বিতীয়ং ।