পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবার মিটেছে সাধ,লভিয়াছে আশীৰ্ব্বাদ ঈশ্বর চিন্ত্য এবং অচিন্ত্য। সম্বৎসর - 命 " محصص ه - g স্বৎসর আনন্দে কাটিবে। 慢 পূৰ্ব্বকালে বিদেহপতি রাজর্ষি জনক বছরাগিণী মিশ্র -তাল বীপতাল । দক্ষিণ নামক একটা যজ্ঞ করিয়াছিলেন। সেই এ কি স্বগন্ধ-হিল্লেীল বহিল মহাযজ্ঞে কুরু ও পাঞ্চাল দেশ হইতে অনেআজি প্রভাতে, জগত মাতিল তায় । কানেক ব্রাহ্মণ নিমন্ত্রিত হইয়া আইসেন। হৃদয়-মধুকর ধাইছে দিশি দিশি র্তাহাদিগের মধ্যে বহু তর্ক ও বাদামুবাদ পাগল প্রায় ! উপস্থিত হয়। এই অবসরে উষপ্তশ্চাক্রায়ণ বরণ বরণ পুষ্প রাজি, হৃদয় খুলিয়াছে আজি, সেই সুরভি-মুধা করিছে পান, পূরিয়া প্রাণ, সে সুধা করিছে দান, সে সুধা আনিলে উথলি যায়। রাগিণী টোড়ি-১াল বীপতাল । আজি এনেছে তাহারি তাশীৰ্ব্বাদ প্রভাত কিরণে । পবিত্র কর-পরশ পেয়ে ধরী লুঠিছে তাহারি চরণে । আনন্দে তরুলতা নোয়াইছে মাথ৷ কুম্ম ফোটাইছে শত বরণে । আশা উল্লাসে চরাচর হাসে কি ভয় কি ভয় দুখ তাপ মরণে । রাগিণী আশা ভৈরবী—তাল ঠুংরি বরিষ ধরামাঝে শান্তির বারি। শুক হৃদয় লয়ে আছে দাড়াইয়ে উৰ্দ্ধমুখে নরনারী। মা থাকে অন্ধকার, না থাকে মোহ পাপ, না থাকে শোক পরিতাপ । হৃদয় বিমল হোক, প্রাণ সবল হোক, বিঘ্ন দাও তাপসারি। কেন এ হিংস দ্বেয, কেন এ ছদ্মবেশ, কেন এ মান অভিমান ! বিতর বিতর প্রেম পাষাণ হৃদয়ে জয় জয় হোক তোমারি । নামক একজন ঋষি তেজস্বী যাজ্ঞবল্ক্যকে এই প্রশ্ন করেন যে, যাজ্ঞবল্ক্য ! যেমন এই অশ্ব, এই গো, বলিয়া প্রত্যক্ষ গো-অশ্বকে জানা যায়, তদ্রুপ ব্রহ্মকে প্রত্যক্ষ করিয়া উপদেশ কর । ইহার উত্তরে সেই প্রশান্ত যাজ্ঞবল্ক্য এই বলিলেন যে—ন দৃষ্ট্রে ৪ারং পশ্যেঃ দৃষ্টির যিনি দ্রষ্টা তাহাকে দর্শন করা যায় না। ‘ন শ্রীতেঃ শ্রোতারং শৃণুয়াৎ শ্রুতির যিনি শ্রোতা তাহাকে শুনা যায় না। ‘ন মতেশ্মস্তারং সান্ধীথী মনের যিনি মননকর্তা তাহাকে মনন করা যায় না। ন বিজ্ঞাতের্বিজ্ঞাতার বিজানীয়া বিজ্ঞানের যিনি বিজ্ঞাত তাহাকে জানা যায় না। যাজ্ঞবল্ক্য ঈশ্বরকে প্রথমে এইরূপে দুর্দশ ও দুজ্ঞেয় বলিয়াই অমনি তাহার সঙ্গে সঙ্গে ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ নির্দেশ করিয়া বলিলেন ‘এযত আত্মা সৰ্ব্বাস্তরোহতোহনদাৰ্ত্তং এই তোমার আত্মার আত্মা সকলের অস্তরে গুঢ়-রূপে রহিয়াছেন; র্তাহ ছাড়া আর সকলেই শোক-দুঃখে প্রপীড়িত । যাজ্ঞবল্কোর এই উত্তর অতি সরল ও । স্বাভাবিক। সৰ্ব্বাস্তুর ব্রহ্ম আমারদের চক্ষুকর্ণের, বাক্য-মনের জ্ঞান-বিজ্ঞানের যতই অগম্য হউন, আমাদের ধ্যান ও চিস্তার অতল প্রদেশে যতই লুক্কায়িত থাকুন, আমরা যদি তাহাকে “ সহজ জ্ঞানে সহজ চিন্তায় না পাইতাম, আমারদের জন্মদাতা পিতার ন্যায় সৰ্ব্বদা নিকটবর্তী বলিয়া তাহাকে প্রত্যক্ষ না করিতাম তবে কি আমার