পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w , * * * , d | 帝 o a . - reழி: কখন প্রকাশিত হয় কেবল তাঁহাই কি সাধারণে পাঠ করেন ? অার আচার্যোর উপদেশ প্রভৃতি ধর্মবিষয়ক যে সকল উৎকৃষ্ট প্রস্তাব প্রতি মাসে প্রকাশিত হইতেছে তাহ! কি কেহ পাঠ করেন না ? ইহা অতি অযথার্থ কথা । * . ‘ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসা” প্রবন্ধলেখক তাছার প্রস্তাবের শেষে বলিয়াছেন “যে ধর্শের তত্ত্বজ্ঞানে অধিক সত্য, উপাসনা যে ধৰ্ম্মে সৰ্ব্বাপেক্ষা চিত্তশুদ্ধিকর এবং মনোবৃত্তি সকলের স্ফৰ্বিদায়ক, যে ধর্শের নীতি সৰ্ব্বাপেক্ষা ব্যক্তিগত এবং জাতিগত উন্নতির নব্য হিন্দু-সম্প্রদায় উপযোগী সেই ধৰ্ম্মই অবলম্বন করিবে। সেই ধৰ্ম্ম সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ।” হিন্দুধৰ্ম্মের সার ব্রাহ্মধৰ্ম্মই এই সকল লক্ষণাক্রান্ত। আমাদিগের ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে তত্ত্বজ্ঞান বিষয়ক যে সকল শ্লোক আছে তাছা সকলই সত্য । ব্রহ্মোপাসনা যেমন চিত্ত-শুদ্ধিকর ও মনোবৃত্তি সকলের শ্বসূর্তিদায়ক এমন অন্য কোন ধৰ্ম্মের উপাসনা নহে। ঐ ধর্মের নীতি যেমন ব্যক্তিগত ও জাতিগত উন্নতির উপযোগী এমন অন্য কোন ধৰ্ম্মের নীতি নহে । । ব্রাহ্মধৰ্ম্মই বঙ্গদেশের শিক্ষিত লোক মাত্রেরই গ্রহণযোগ্য। তাহাতে জাতীয় ভাব ও সত্য উভয়ই রক্ষিত হইয়াছে। উহ! দেশের উন্নতির সঙ্গে সুসঙ্গত। উহ। সমস্ত বঙ্গদেশের লোক গ্রহণ করিলে বঙ্গদেশের অশেষ কল্যাণ সাধিত হইবে । बदा হিন্দু-সম্প্রদায়। নবজীবনের প্রথম সংখ্যায় এক প্রকার নূতন হিন্দুধর্মের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হইয়াছেএবং তাহা প্রশ্নোত্তর আকারে ব্যাখ্যাত হইতেছে।. স্ত্রীযুক্ত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাহার লেখক-সুতরাং তাছা উপেক্ষণীয় | | | ᎼᎼ – আবার তাহ ধর্ণের মৰ্ম্মে আঘাত করিতে উদ্যত—সুতরাং আমাদের নীরব থাকা অকৰ্ত্তব্য । শ্ৰীযুক্ত বঙ্কিম বাবু আমাদের দেশের একজন প্রধান লেখক এবং তিনি স্বয়ং আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র; তবে যে, আমরা তাহার প্রতিবাদে প্রবৃত্ত হইতেছি— সে কেবল কর্তব্যের অনুরোধে । গ্ৰীক দেশীয় একটি পুরাতন প্রবাদ অাছে যে, এক ব্যক্তি মন্দ৷ ছাগল দুহিতেছে এবং আর-এক ব্যক্তি দুগ্ধ লইবার জন্য চালনী ধরিয়া আছে ; সুবিখ্যাত দর্শনকার কাস্ট এই প্রবাদটির উল্লেখ করিয়া বলিয়াছেন যে, এস্থলে যেমন দোগ্ধা এবং দুগ্ধগৃহীত উভয়েরই সমান অনবধানত প্রকাশ পাইতেছে, সেইরূপ প্রশ্নের গোড়াতেই যদি দোষ থাকে তবে, যেমন সে প্রশ্নের জিজ্ঞাস্ব তেমনি সে প্রশ্নের উত্তরদাতা উভয়েই সে দোষে কলঙ্কিত হ’ন । নিতান্ত পল্লীগ্রামস্থিত এক জন চাম| বড়মানুষ যদি একজন নব্য কলিকাতা-বাসীকে জিজ্ঞাস করেন যে “সোণার পাথরবাটী কোন দোকানে পাওয়া যায় ?” তার উত্তর-দায়ক যদি বলেন যে “অসলরের দোকানে নানাবিধ স্বর্ণপাত্র বিক্রীত হয়সেইখানে একবার তত্ত্ব করিয়া দেখুন’ তাহ হইলে ঐ দুই ব্যক্তির মধ্যে কাহার অনভিজ্ঞতা অধিক ইহা বলা দুকর। সেইরূপ ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসা করিতে গিয়া কেহ যদি জিজ্ঞাস করেন যে, “ঈশ্বর-বর্জিত পরকাল বর্জিত ধৰ্ম্ম কি এবং উত্তর-প্রদান যদি বলেন ধে “স্থখই ধৰ্ম্ম’ তাহা হইলে প্রশ্ন-জিজ্ঞাস্বও যেমন—উত্তরপ্রদাতাও তেমনি—উভয়েই আপনার অনভিজ্ঞতার পরিচয় প্রদান করেন ;–কেননা ঈশ্বরবর্জিত পরকাল-বর্জিত ধৰ্ম্ম আর সোণার পাথরবাটী দুয়ের একই তাৎপর্যা । সুখের অর্থ যদি কেবল-মাত্র বিষয়-সুখ হয়, তবে ঈশ্বরকে