পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. t ബ് ബ് uSAt S TT ASASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSS S eSee SAS SSAS SSAS SSAS এবং পরকালকে ছাড়িয়া দিলেও সে श्झैद्र সাধন-কার্য শুদ্ধ কেবল বিষয়ের যোগাযোগদ্বারা অবাধে চলিতে পারে, ইহা আমরা মুক্ত কণ্ঠে স্বীকার করিতেছি । কিন্তু বিষয়-মুখ প্রকৃত মুখ কি না সে-বিষয়ে বঙ্কিম বাবু ংশয় প্রকাশ করিয়াছেন ; যদিচ স্বগের তত্ত্ব মীমাংসা করিতে গিয়া প্রথমেই তিনি বলিয়ছেন “পিপাসা পাইলে জল খাইলেই সুখ” কিন্তু এরূপ মুখ তাহার মতে নিকৃষ্ট সুখ; তিনি বলেন “ইন্দ্রিয়ের পরিমিত এবং যথা-কর্তৃক পরিতৃপ্তি সুখ হইলে হইতে পারে --কিন্তু ইহা মুখের অল্পাংশ; একটা নিকৃষ্ট । প্রকারের সুখ মাত্র”। “স্লখ”এ শব্দটির দোষ বঁাচাইবার জন্য বঙ্কিম বাবু “প্রকৃত” এই শব্দ-টিকে পারত-পক্ষে তাহার কাছ-ছাড়া করেন না ; তিনি কখনও বলেন না যে, সামান্য সুখের উপায় ধৰ্ম্ম, তিনি কেবল বলেন “প্রকৃত সুখের উপায় ধৰ্ম্ম”; প্রকৃত স্থখ যে, কাহাকে বলে তাহীও তিনি খুলিয়। বলিয়াছেন, যথা, "মনুষ্য-প্রকৃতিকে কতকগুলি শারীরিক মানসিক ও আন্তরিক (?) বৃত্তির সমষ্টি মনে করা যাইতে পারে ; সেই গুলির সম্পূর্ণ স্ফৰ্ত্তি, সামপ্লস্য, এবং উপযুক্ত পরিতৃপ্তিই স্থপ” তবে কি—ঐ বৃত্তি-গুলির আংশিক ক্ষঞ্জি বা বিশৃঙ্খল স্ফৰ্ত্তি বা অনুপযুক্ত পরিতৃপ্তি মুখ নহে ? পারিজাতের স্বগন্ধ সকল-সুগন্ধ অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ—তাহা বলিয়৷ জুই ফুলের স্বগন্ধ কি সুগন্ধই নহে? আমরা বলি আংশিক মুখ অবশ্য পুর্ণ মুখের মত মাত্রার বেশী নহে, কিন্তু উভয়েই জাতিতে এক,— বঙ্কিম বাবু মুখে বলেন “স্থখই ধৰ্ম্ম” ভাবে বলেন আংশিক সুখ বা নিকৃঃ সুখ ধৰ্ম্ম নহে? তাহা হইলেই হইল যে, তাহার মতে আংশিক মুখ সুখই নহে । বঙ্কিম বাবুর মতে দুই রূপ সুখ দাড়াইতেছে-(১) সামান্য

    • कछ, ९चत्र

سياسيسج মুখ—অর্থাৎ যে সুখ বৃত্তি-সকলের আংশিক অথবা অনিয়মিত স্ফর্তি মাত্র, ও ষে মুখ অনুপযুক্ত তৃপ্তির সহবর্তী, আর (২) প্রকৃত মুখ—অর্থাৎ বৃত্তি-সকলের সম্পূর্ণ এবং স্বশ্বস্থল স্ফৰ্ত্তি ও সমুচিত তৃপ্তি ; এই দুই প্রকার সুখের মধ্যে সামান্য সুখকে বঙ্কিমবাবু মুখ বলিতে নারাজ-ভঁাছার মতে প্রকৃত সুখই মুখ। কাব্যের অলঙ্কার-চ্ছল যদি বলা যায় যে, আরব অশ্বই অশ্ব তবে তাহাতে কাহারে কোন আপত্তি থাকে না, কিন্তু অশ্ব কাছাকে বলে এই তত্ত্বটির মীমাংসা স্থলে যদি বলা যায় যে, আরব অশ্বই অশ্ব-অথবা যে চতুস্পদ জন্তু দান। খায় এবং গাড়ি টানে ও যাহার আদিম নিবাস আরব দেশ সেই জন্তুই অশ্ব,তবে অশ্বের সংজ্ঞানির্দেশ করিতে গিয়া এক-দেশীয় অশ্বেরই সংজ্ঞা নির্দেশ করা হয়, সুতরাং সে সংজ্ঞা অব্যাপ্তি-দোষে দূষিত। তত্ত্ব মীমাংসা স্থলে সুখের এরূপ একটি লক্ষণ নির্দেশ করা আবশ্যক যাহা সামান্য সুখ এবং প্রকৃত মুখ উভয়েরই পক্ষে খাটে ; অথবা যদি এরূপ বোঝে যে, তুমি যাহাকে প্রকৃত মুখ বল, তাহ! সামান্য সুখের সঙ্গে এক পংক্তিতে বসিবার যোগ্য নহে, তবে তাহাকে স্থখ ন৷ বলিয়া আর কিছু বল—ক্সাত্মপ্রসাদ বল— আধ্যাত্মিক আনন্দ বল—তাহাতে কাহারে। কোন আপত্তি থাকিবে না । বিড়াল যদি ব্যাস্ত্রের সঙ্গে এক পংক্তিতে বসিবার যোগ্য হইত, তবে আমরা ব্যাঘ্রকে উৎকৃষ্ট বিড়াল এবং বিড়ালকে নিকৃষ্ট ব্যাঘ্র বলিলে তাহ দোষের হইত না; কিন্তু বিড়াল যেহেতু মানুষ খায় না ও ব্যাঘ্ৰ যেহেতু মৎস্যে সন্তুষ্ট হয় না—এজন্য দুয়ের দুইটি পৃথক্ নাম রাখা হইয়াছে ভালই হইয়াছে; বিদেশী নাবিক-লোক-যাহার ব্যাঘ্ৰ কি তাহ জানে না-তাহার যদি গুনে