পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: پهن و چ “উংকৃষ্ট বিড়াল" তাছা হইলে তাহারা তাহার গায়ে হাত বুলাইতে ধাবিত হইতে পারে—কিন্তু “ব্যাত্র” শুনিলে তাহাদের কৌতুহলের বেগ তৎক্ষণাৎ শয়তা প্রাপ্ত হইবারই সম্ভাবনা । তাহা বলিয়া বৈজ্ঞানিক পণ্ডিতের স্বকায্যে ক্ষান্ত হইতে পারেন না ; তাহারা ব্যাঘ্র এবং বিড়ালকে এক শ্রেণীতে নিক্ষেপ করিতে কিছুযাত্র কুষ্ঠিত নহেন,— কিন্তু সে শ্রেণীকে তাহার। ব্যাঘ্রও বলেন না বিড়ালও বলেন না,—বলেন “মার্জারিক (Feline species) 's এইরূপ বৈজ্ঞানিক প্রণালীর অনুবত্তী হইয়া বিষয়-স্থখ এবং আত্মপ্রসাদ এ দুয়ের পৃথক পৃথক ভাব সত্তেও উভয়কে যদি এক শ্রেণীর মধ্যে নিক্ষিপ্ত করা যার এবং সে শ্রেণীর যদি নাম দেওয়া যায়—মুখ, তবে আমরা এই বলি যে, , আত্ম-প্রসাদরূপী যে আধ্যাত্মিক সুখ তাহাই ধৰ্ম্মসাধনের উদ্দেশ্য, বিষয়-মুখ ধৰ্ম্ম-সাধনের উদ্দেশ্য নহে। বঙ্কিম বাবু প্রকৃত-সুখ বলিতে কি আত্ম-প্রসাদ বোঝেন ? তাহ যদি হয় তবে তাহার সহিত আমাদের আর-কেনি বিবাদ নাই; কিন্তু আত্ম-প্রসাদের মূল হচ্চে আত্মার ধ্রুব অস্তিত্ব— আত্ম-প্রসাদের সঙ্গে ইহকাল এবং পরকাল দুইই অনুসৃত রহি য়াছে—বঙ্কিম বাবু বলেন যে ঈশ্বর এবং পর কালের সহিত ধন্মের কোন অবশ্যম্ভাবী সস্বন্ধ নাই, সুতরাং আত্মপ্রসাদ—যাহা অtয়। এবং পরমাত্মার পরম্পর-সম্বন্ধ-সাপেক্ষ— তাহা বঙ্কিম বাবুর মুখ-রাজ্যের সীমাভ্যন্তরে স্থান পাইতে পারে না। বঙ্কিম বাবুর প্রকৃতমুখ এবং.আমাদের আত্মপ্রসাদ —এ দুয়ের মধ্যে কিরূপ ইতর-বিশেষ তাহা একবার ভাল করিয়া প্রণিধান করিয়া দেখা আবশ্যক;— । বঙ্কিম বাৰু বলিয়াছেন “শারীরিক মানসিক সামঞ্জস্য এবং উপযুক্ত পরিতৃপ্তিই সুখ”— এবং সেই “মুখের যে উপায় তাহারই নাম ধৰ্ম্ম,”—এবং তিনি ইচ্ছা ও বলিতে ছুড়েন নাই যে, সেই “সুখই ধৰ্ম্ম ।” ওরূপ সুখ প্রথমতঃ পূর্ণ ফেবন-কালের ধৰ্ম্ম-মেন প্রাচীন বয়সে, বৃত্তি-সকলের সম্পূর্ণ ಸ್ಥಳ একেবারেই অসম্ভব; দ্বিতীয়তঃ উহা খুব এক জন সাবধানী প্রবীণ লোকের ধৰ্ম্ম ; কেননা, কতটুকু জ্ঞান-প্রসঙ্গের সঙ্গে কতটুকু প্রেমপ্রসঙ্গ চাই-কতটুকু ইহার সঙ্গে কতটুকু উহা চাই,--শাস্ত্রালাপ, সখ্যালাপ, এবং রাগ-রাগিণীর আলাপ, এ তিনের মধ্যে কোন আলাপ কি মাত্রায় চাই—এ সকল স্থির করিয়া-ওঠা একজন সুখ-পৰায়ণ খুব ব্যক্তির কৰ্ম্ম নহে। স্বখানুরাগী যুব ব্যক্তি তোল-দাড়ি হস্তে করিয়া স্ফৰ্ত্তি এবং সামঞ্জস্য দুইকে এই রূপে ওজন করিতে পারেন যথা,-— (১) চরিতার্থত)-সাধন । বৃত্তি-সকলের স্ফূৰ্ত্তিতে এবং আগু চরিতাৰ্থতাতে আপাতত নিষ্কণ্টকে মুখভোগ চলিতে পারে ; পরে - ভবিষ্যৎ কালেসকলেরই বৃত্তি নিস্তেজ হয়—আমার ময় একটু পূৰ্ব্বাহ্নে তাহা হইবে । অতএব উপস্থিত বৃত্তি-সকলের আগু চরিতার্থত৷ সাধন কর্তব্য ; যে বৃত্তি যখন উত্তেজিত হইবে সেই বৃত্তির তখনই চরিতার্থত৷ সাধন করা কর্তব্য (২) সামঞ্জস্য-সাধন । שי ש বৃত্তি-সকলের সামঞ্জস্য-সাধন বড়ই কৰ্ম্মভোগ--তাহাতে সুখের অনেক ব্যাঘাত হয়; অনেক কাল কষ্ট্রে যাপন করিতে হয় ; অগত্য। এক-সময়ে আমাকে সমস্ত ইন্দ্রিয়সুখে ৰঞ্চিত হইতে হুইবে—যখন হইবে তখন হইবে,-- এখন কেন সাধ করিয়া স্থখের মাত্রা কমাই – সামঞ্জস্য-সাপনের কষ্ট্র ও জাগুঞ্জি () বৃত্তি সকলের সম্পূর্ণফুৰ্বি দ্বার চরিতার্থতা সাধনের মুখকে কেন কল