পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ના . ر: , . . . " Ꮬ☾ বৃত্তি সামঞ্জস্যের উপদেশ দিতে পারেন— বিষয় এবং বিষয়ী এদুয়ের মধ্যে যে স্থানে তাহা ওঁহোঁদের কালোপযোগী—র্তাহার সম্বন্ধ-সেতু সেই স্থানে ইন্দ্রিয়-মুখ এবং বিষয়আপনার ভোগ-মুখে বঞ্চিত তাই তাহার। মুখ এই দুই মুখের আধিপত্য ; এই দুই অনাকেও ভোগ-মুখে বঞ্চিত করিতে চান— প্রকার মুখ হইতে দুই প্রকার কার্য উদ্ভূত কিন্তু যুবা ব্যক্তিরা উহাদের কথা শুনিয়া হয়—(১) ভোগ-সাধন, অর্থাৎ উত্তেজিত প্রকৃ উপস্থিত ছাড়িয়া অনুপস্থিতে অাশা স্থাপন ত্তির চরিতার্থত৷ সাধন ; এবং (২) স্বর্থ সাকরিতে পারে না—বিশেষতঃ যখন স্পষ্টই । ধন; অর্থাৎ উত্তেজিত অনুচেন্ত্রিত সকল প্র: দেখা যাইতেছে যে, সে অাশা মৃগতৃঞ্চিক | ষ্টির সামঞ্জস্য-বিধায়ক যে, বিসয়-বুদ্ধি— তা অপেক্ষাও অধম;—মৃত্যু সে আশার মস্তকে । হার অনুগত হইয়া চলা ;– এই গেল কাম যমদণ্ড নিক্ষেপ করিবার জন্য পথ আগুলিয়া এবং অর্থ এই দুয়ের রাজ্য। অতঃপর দণ্ডায়মান রহিয়াছে।” অতএব বঙ্কিম বাবু বক্তব্য এই যে, আত্মা এবং পদায় উভযে ধর্মের পথ প্রদর্শন করিতেছেন—যে ধৰ্ম্ম য়ের মধ্যে যে স্থানে সম্বন্ধ-সেতু সেই ঈশ্বর-বর্জিত এবং পরকাল-বর্জিত—সাম- স্থানে আত্মপ্রসাদ এবং ভূমানন্দ এই দুই প্রস্য সে ধৰ্ম্ম-পথের চক্ষের বিষ ; তথাপি প্রকার মুখের বাসস্থান। এই দুই প্রকার বঙ্কিম বাবুকে সেই বিষ-বৃক্ষ রোপণ করিতে মুখ হইতেও দুই প্রকার কার্য্য উদ্ভূত হইয়াছে; বিবেচনা করিয়া দেখিলে তাহার হয়, (৩) ধৰ্ম্ম-সাধন এব (৪) যোগ-সাধন। বিষ-ফলের বিষপানে বঙ্কিম বাবুর মতের উদাম মনো-অশ্বকে তাত্মা-রূপ সারণীর আত্ম-হত্য অনিবার্ষ্য । * বশে তানয়ন করিয়—নিষ্কাম-ভাবে—স্বাধীন হিন্দু-শাস্ত্রে 5ਢਂ বলিয়া একটা জীবন- | এবং স্ববশ ভাবে-কর্তব্য কার্য্য নিৰ্ব্বাহ যাত্রার পথ নির্দিষ্ট আছে—সে পথের চারিটি করাই ধৰ্ম্ম-সাধন ; আয়, পরমাত্মাতে তাস্থানে চারিটি আডডা—(১) ধৰ্ম্ম, (২) অর্থ, স্লাকে সংযুক্ত করাই যোগ-সাধন । এইরূপ, (৩) কাম, (৪) মোক্ষ। আমরা বলি যে, চারি | কাম অর্থ ধৰ্ম্ম এবং যোক্ষ এই চাপিটে তাআড়ডার স্লখও চারি জাতীয়, (১) কাম-সুখ উডায়—-ইন্দ্রিয়-সুখ, বিষয়-মুখ, অগ্নি প্রসাদ (২) অর্থ মুখ (৩) ধৰ্ম্ম-মুখ (৪) মোক্ষ-সুখ। । এবং ব্রহ্মানন্দ, এই চারি-জাতীয় সুখ, আর তাহার মধ্যে—অর্থ-সুখে উঠিতে হইলে কাম- ভোগ-সাধন, স্থার্থ-সাধন, ধৰ্ম্ম মাধন এবং মুখকে কিয়ৎ-পরিমাণে দমন করিতে হয়, যোগ সাধন, এই চাবি জাতীয় সাধন, অধিধৰ্ম্ম-মুখে উঠিতে হইলে কাম-মুখ এবং ঠান করে । অর্থ-মুখ উভয়কে যথা-পরিমাণে দমন ক- আত্মপ্রসাদ এবং ব্রহ্মানন্দ এই দুই রিতে ফু-যোঙ্ক-মুখে উঠলে মনুষের স্বাধ্যমিক স্বধওবশ্বসাধনাযোগদান সকল কামনার সম্যক চরিতার্থত হয়। এই দুই আধ্যাত্মিক সাধন হিন্দুশাস্ত্রে ভূয়ে। কামু শব্দে ভোগ-লালসা ; কাম-স্বখ সচরা- ভূয় উপদিষ্ট হইয়াছে—বিশেষতঃ ভগবদগীচর ইন্দ্রিয়-সুখ বলিয়া নির্দিষ্ট হইয় থাকে ; তায় অর্থ-সুখ সচরাচর বিষয়-সুখ বলিয়া নির্দিষ্ট বঙ্কিম বাবু বলেন “যদি কেছ মনুষ্ঠাহইয়া থাকে ; ধৰ্ম্ম-মুখ আত্মপ্রসাদ বলিয়৷ দেহ ধারণ করিয়া ধর্মের সম্পূর্ণ অবয়ব হৃনির্দিষ্ট হইয়া থাকে ; মোক্ষ-মুখ ব্ৰহ্মানন্দ দয়ে ধ্যান এবং মনুষ্য-লোকে প্রচারিত বা ভূমানন্দ বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়া থাকে। করিতে পারিয়া থাকেন তবে সে শ্ৰীম