পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২৩ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক__ 33 ויזש אישי দ্ভগবদগীতাকার !” द्धी कर्थ क्षत्रिश्न भुरु পাতিয়া গ্রহণ করিতেছি । কিন্তু ভগবদগী তার আদিতে পরকালের অস্তিত্ব সমর্থিত | হইয়াছে, ও আদি হইতে অন্তু পৰ্যন্ত সৰ্ব্বস্নেই আত্মার মাহাত্ম্য কীর্তিত হইয়াছে—পরকালকে আত্মীকে এবং পরমাত্মাকে ছাড়িয়া দিয়াও যে, ধৰ্ম্ম-সাধন হইতে পারে, এ কথ। ভগবদগীতার কথা মছে। পাঠকদিগের ভ্রম নিধারণার্থ আমর ভগবদগীতার গোট। কত শ্লোক নিম্নে উদ্ধৃত করিলাম। “দেখিনে ২শ্মিৰ যথা দেহে কৌমারং যৌবনং জবা তথা দেহান্তরপ্রাপ্তির্ষীরস্তত্ৰ ন মুহ্যভি । বাসাংলি জীর্ণানি যখ! বিহায় নবানি গুহ্বতি নরোই পরাণি । তথ। শরীরাণি বিস্থায় জীর্ণন্যনালি সংযাতি নবনি দেহী যেমন দেহাভিমানী জীবের এই স্কুল দেহে কেমার যৌবন ও জরা এই তিন অবস্থা সেইরূপ তাহার দেহান্তর প্রাপ্তি। ধীর ব্যক্তি দেহের এই বিনাশে মুগ্ধ হন মা । মনুষ্য যেমন জীর্ণবস্ত্র পরিত্যাগ করিয়া অন্য নূতন বস্ত্র গ্রহণ করে সেইরূপ জীব জীর্ণ শরীর পরিত্যাগ করিয়া অন্য নূতন শরীর গ্রহণ করিয়া থাকে। o (১) এই গেল পরকাল । রাগ-দ্বেষবিষুক্তৈপ্ত বিষয়ানিন্দ্ৰিযৈশ্চরন । আত্মবশ্যৈবিধেয়াত্মা প্রসাদমধিগচ্ছতি | প্রসাদে সৰ্ব্বদু:খানাং হানিরস্যোপজায়তে । প্রসর হুসো হাণ্ড বুদ্ধি: পৰ্য্যবতিষ্ঠতে । যে ব্যক্তির মন স্ববশ তিনি–রাগ-দ্বেষবিমুক্ত, বশীভূত, ইন্দ্রিয় দ্বারা বিষয়-রাজ্যে বিচরণ করিয়া আত্মপ্রসাদ লাভ করেন । "আত্মপ্রসাদ হইলে ঐ ব্যক্তির সমস্ত দুঃখের বিনাশ হয়, যেহেতু প্রসন্নচেতার বুদ্ধি শীঘ্ৰ সৰ্ব্বতোভাবে স্থির হুইয়া থাকে। (২) এই গেল আত্মপ্রসাদ । श्रु८ज्ांब८ब्t fन्ोश्छझरिे बिश्ठश्लश्चाश्ङ्गि१.' , ততস্তুতো নিয়ম্যৈতদাম্বুমের বশং নয়েৎ প্রশান্ত-মনসং হেনং ষোগিনং সুখমুত্তমং खेद्नेछाडि भाज्यभन९ बकडूउभकनषt to * যুঞ্জৱেবং সদানিং যোগী বিগতকল্মষঃ। शाश्वम जक्रनश्”र्नयडाड* श्थमईtज् । চঞ্চল অস্থির মন যে যে বিষয়ে জীগঞ্জ হয় তাছাকে তত্তং বিষয় হইতে প্রত্যাহার করিয়া আত্মাতেই স্থির স্নাধিৰে । মিরতিশয় মুখ এই প্রশান্তমনা অপগত-মোহ জীব ತ್ নিষ্পাপযোগীকে প্রাপ্ত হয়। নিম্পাপ যোগী এইরূপে আত্মাকে সৰ্ব্বদ ৰোগযুক্ত করিয়া অনায়াসে ব্রহ্ম-সংস্পর্শ রূপ অত্যন্ত মুখ উপভোগ করেন। (৩) এই গেল ব্রহ্মানন্দ । @ বঙ্কিম বাৰুর ন্যায় শ্রদ্ধাবান ব্যক্তির এই সব শ্লোকে প্রতি সবিশেষ দৃষ্টিপাত করা এবং তাছার গম্ভীর মর্য্যাদা পাঠকবর্গকে আবগত করা সৰ্ব্বাগ্রে কর্তব্য । এখন-পৰ্ম্ম কি ? তাহা এক কথায় বলিয়া দেওয়া যাইতে পারে। স্বার্থকে পরমার্থের বশে নিয়োগ করাই ধৰ্ম্ম । স্বাৰ্থ কাহাকে বলে ? না এ-প্রবৃত্তির বা ও-প্রবৃত্তির নহে কিন্তু সকল প্রবৃত্তির যথোচিত চরিতার্থতা। পরমার্থ কাঁহাকে বলে ? না একা-কেবল আমার স্বাৰ্থ বা তোমার স্থার্থ মহে কিন্তু সকল জগতের স্বার্থএক কথায় ঈশ্বরের উদ্দেশ্য। স্বার্থের কেন্দ্র কে-ভিত্তি-মূল কে ? না আমি আপনি ; আপনাকে স্মরণ করিয়া তদুপযুক্ত কাৰ্য্য কৰিলেই সকল প্রবৃত্তির সমুচিত চরিতার্থতা সাধন করা হয়, স্বার্থ-সাধন করা হয়। পরমার্থের কেন্দ্র কে ? না ঈশ্বর। ঈশ্বরকে স্মরণ করিয়৷ তদুপযুক্ত কার্যা করিলেই, সাধ্যানুসারে সকূল জগতের প্রকৃত স্বার্থ সাধন করা হয়-পরমার্থ সাধন করা হয়। পরমার্থ সাধন করিলে-সকল জগতের স্বাখ সাধন