পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८मत्र હર মনুষ্য-জীবম ধারণ করা সহজ হইত ? অসুখ অশাস্তির গভীর গাঢ় বিষাদে কোথায় ভূবিয়া নিশ্বাস-প্রশ্বাস-বিহীন হইয়া মরিয়া রহিতাম । কিন্তু ধন্য । যে সেই | প্রাণের প্রার্ণ আপনি আপনাকে দান করিয়া আমাদের সকল অভাব মোচন করিয়াছেন। সকল দানের অপেক্ষ এই তাহার প্রধান । দান । ঈশ্বর এই জগতের স্রষ্টা, তিনি সকলের মুলাধার, তিনি তাহার মধ্যে ওতপ্রোত হইয়া বাস করিতেছেন এবং তাহার অনুপম জ্যোতি ও সৌন্দর্ষ্য এই বিশ্বের সর্বত্র পরিব্যাপ্ত হইয়া রহিয়াছে, তাহার প্রত্যেক অণু পরমাণুতে অনুপ্রবিঃ হইয়া রহিয়াছে। এই সত্যটি আমারদের প্রতিজনের মজ্জায় । মজ্জায় এবং এই স্বতঃসিদ্ধ প্রত্যয়ের বলেই আমরা তাহার অচিন্ত্য মহিমাকেও চিন্তাতে ধারণা করিতে পারি। একবার উৰ্দ্ধনেত্রে ঐ বিতত দুলোকের প্রতি দৃষ্টি-পাত করিলে র্তাহার মহিমার জ্বলন্ত চিহ্ন সৰ্ব্বত্র দেখিতে পাই, এই পৃথিবীর উপরেই তাহার ख्न শক্তির কত অগণ্য পরিচয় রহিয়াছে! মনুষ্য- | সৃষ্টির তারম্ভ হইতে, মনুষ্য-হৃদয়ে জ্ঞান বুদ্ধির ও বিশ্বাসের উপক্রম হইতে, সকল দেশের সকল জাতীয় লোকই তাঁহার উপাসনা করিয়া আসিতেছে। ঈশ্বর-জ্ঞান মনুষ্যহৃদয়ে সহজ ও সরল। অতএব ঈশ্বর তাপনিই আসিয়া আমারদের নিকট আপনাকে প্রকাশ করেন – অামারদের জ্ঞান চিস্তায় আবিভূতি হন। উপনিষদে ঈশ্বরের তিনটি হৃদয়ের মৰ্ম্মস্পর্শী বিশেষণ আছে—আবিঃ তিনি সৰ্ব্বত্র প্রকাশমান । “সন্নিহিতং তিনি আমাদের অতি নিকটে সঙ্গে সঙ্গেই আছেন। গুহাচরদ তিনি আমারদের হৃদয়ের গুহার মধ্যে বিচরণ করিতেছেন । এই গুলি সরলবিশ্বাস-প্রণোদিত অতি সত্য কথা । ঈশ্বরকে সকল প্রকার চিন্তার অবসান ! যখন আমরা এই প্রকারে সাক্ষাৎ দর্শন করি, তাহার সর্বত্র প্রকাশ উপলব্ধি করি, তখন তাহার মহান ভাব আমরা বুঝিতে পারি এবং ংসারকর্ডার সহিত সাংসারিক জীবের যে সম্বন্ধ তাহা স্থাপিত হয় । মানুয্যের সহিত তাহার যতটুকু সম্পর্ক তাহা এই । তাই বলিয়া এই জগতের সঙ্গেই যে র্তাহার সকল সম্বন্ধ আবদ্ধ রহিয়াছে, তাহা নহে । তিনি যেমন এই জগতের কারণ, জগতের পাতা, ধাতা বিধাতা ; তেমনি তিনি আবার স্বতন্ত্র নিরবদ্য শুদ্ধ বুদ্ধ ও মুক্ত এবং আপনার মহিমাতে আপনি বিরাজ করিতেছেন । র্তাহার বাহিরে যেমন এই এক জগৎ-রাজ্য, তেমনি তাহার অস্তরে তাহার নিজের সেই এক স্বতন্ত্র রাজ্য । এখানে যেমন তিনি এই জগতের মঙ্গল করিতেছেন সেখানে তেমনি তিনি নিজানন্দে আপনার মঙ্গল ভাবে পূর্ণ রহিয়াছেন। আমরা স্বঃ পরিমিত জীব, এবং পরিমিত ভাবেই আমারদের তবে তাহার সেই অখণ্ড পূর্ণ জ্ঞান, পূর্ণ প্রেম, পূর্ণ মঙ্গলকে আমরা কি ও কারে বুদ্ধির আয়ত্ত করিতে পারি ? চিম্ভা-তেন্তে ভাসিয়া কি প্রকারে তাছার পারে যাইতে পারি ? সেখানে তিনি আমাদের অচিন্তা—সেখানে তিনি আমাদিগের নিকট হইতে আপনাকে লুকাইয় রাখেন । র্তাহার সেখানকার অনন্ত ভাব আমরা কিছু বুঝিয়া উঠিতে পারি না। 'ন তত্ৰ চক্ষুগচ্ছতি ন বাগগচ্ছতি নো মন । সেখানে চক্ষু যায় না, বাক্য যায় না, মন যায় না। কিন্তু এখানে তিনি আমারদিগের সৰ্ব্বস্ব। এখানে, সিনোবন্ধুর্জনিত সবিধাতা—তিনি আমারদের বন্ধু, পিতা এবং বিধাতা। আমরা জগৎপিতার শিশু সন্তান। আমরা তাহাকে পিতা মাতা বন্ধু বলিয়া জানি। এবং আমাদের সকল অবস্থাতে