পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** कभ, १ छात्र এই মাত্র। তাহ হইলেও বনের ভাবের সহিত তাপসাশ্রম ভাবের ঐ যে যোগ-বন্ধন ృoy) না আমরা কিছুই স্থির করিতে পারিয়াছিলাম ততক্ষণ আমাদের মনে নানা ভাব আসি৷ যাওয়া করিতেছিল বটে কিন্তু তাহাদের মধ্যে নিশ্চয়তার বন্ধন ছিল না,--(১) ব্যাঘ্র ভল্লুক, (২) সুগন্ধ পুষ্প, সুকোমল লতা,—একবার এটা একবার ওটা নাড়াচাড়া হইতেছিল – ক্ষণে ক্ষণে আমাদের মনে ভাব-পরিবর্তন হইতেছিল ; কিন্তু যখন বল্কল-ধারী বালক ও শাখাপত্রের ধূম-মালিন্য এই দুই বিষয় প্রত্যক্ষ করিলাম, তখন সংশয় একবারেই মন চুইতে আপনীত হইল, তখন “বন-কানন” এই যে একটি ভাব – ইহার সহিত “খুষির আবাস” এই আর একটি ভাব এবং ত স্থার আনুষঙ্গিক আর আর অনেক-গুলি ভাব অকাট্য যোগ-সূত্রে বঁশিয়া গেল এবং " এই বনটি তপোবন” এই তত্ত্বটি আমাদের বুদ্ধিতে স্থিরীভূত হইল। এই জন্য আমাদের দর্শন-কারের অন্তঃকরণকে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন (১)মন-কিনা সংশযন্ত্র" বা বিমর্শাত্মক অন্তঃকরণ-বৃত্তি, আর (১)বৃদ্ধি-কিনা নিশ্চয়াত্মক আন্তঃকরণ-বৃত্তি । (১) মনোমধ্যে ভাবের ওলট পালট হয়,(২) বুদ্ধিতে তত্ত্বের অবধারণ হয়। “বুদ্ধি নিশ্চয়াত্মিক বৃড়ি" ইহা শুনিবামাত্র কেছ মনে করিতে পারেন যে, বুদ্ধির তত্ত্ব তবে একবারেই অভ্রান্ত ; কিন্তু এখনকার তাৎপর্য্য তাহা নহে ; “নিশ্চয়াত্মিক বৃদ্ধি” অর্থাৎ যে বুদ্ভি দ্বারা আমরা এক ভাবের সহিত অীর এক ভাব অকাট্যরূপে বন্ধন করি,— উপরে যেমন বনের ভাবের সহিত ঋষিনিকেতনের ভাব অকাট্যরূপে যুড়িয় দিলাম: হইলেও হইতে পারে যে, বাস্তবিক তাছ তপোবন নহে,—পথিকের বৃক্ষ-তলে রন্ধন করিয়া খাওয়াতে শাখাপত্র ধূমে বিবর্ণ ইয়াছে—ও নিকটস্থ আশ্রম হইতে বল্কলধারী গুনি লক ফল আহরণ করিতে অtসিয়াছে, এই বন তপোবন এই যে নিশ্চয় ক্রিয়া— ইহাকে নিশ্চয়াত্মিক অস্তঃকরণ-বৃত্তি বলিবার কিছুমাত্র বাধা নাই। পূৰ্ব্বে বলিয়াছি (১)আবির্ভাব আকাশে অবস্থিতি করে(২) ভাব কালে অবস্থিতি করে,(৩)তত্ত্ব যোগে অবস্থিতি করে,—“যোগ” অর্থাৎ ভাবের সহিত ভাবের যোগ ; বনের ভাব আমাদের মনে বর্তমান আছে, তপঃসদনের ভাবও আমাদের মনে বর্তমান আছে, এই দুই ভাবের যোগে আমরা এই তত্ত্বটি অবধারণ করি যে, এই বন তপোবন । অতএব ভাবের সহিত ভাবের যোগ হইতে তত্ত্বের উৎপত্তি হয় । ভাবের সহিত ভাবের যোগ দুই রূপে ঘটিতে পারে – (১) সংস্কার-প্রভাবে ঘটিতে পারে, (২) আত্মার প্রভাবে ঘটিতে পারে ; এতদনুসারে তত্ত্ব দুই শ্রেণীতে বিভক্ত-(১) সংস্কার-মুলক এবং (২) আত্ম-প্রতায় মূলক । সংস্কারমূলক তত্ত্বের দৃষ্টান্ত যেখানে সেখানে পড়িয়া আছে ;–“সংস্কার’ কি না পুনঃ পুনঃ দেখাশুনা-জনিত—অভ্যাস-জনিত-ব্যুৎপত্তি ;পুনঃ পুনঃ দেখিয়াছি যে, ধুম লাগিলে বস্তু বিবর্ণ হয়—পুনঃ পুনঃ শুনিয়াছি যে, ঋষির হোম করিয়া থাকেন – ইহাতে করিয়া শাখাপত্রের ধূম-যালিন্যের সহিত তাপসাশ্রমের সহিত যোগ বাধিয়া গিয়াছে—অতএব “এই বন ঋষি-আশ্রম” এ তত্ত্বটি সংস্কার-মুলক। যে কোন তত্ত্ব আমরা বহির্বস্তুর দেখা-শুনা হইতে উপার্জন করি সেই তত্ত্বই সংস্কারমূলক ; আর যে-কোন তত্ত্ব আমরা আত্মার স্বকীয় প্রভাব হইতে উদ্ভাবন করি সেই তভূই আত্ম প্রত্যয়-মূলক। বহিবন্ত উপলক্ষে আত্মা আপনার ভিতর হইতে তত্ত্ব উত্তাবন করিতে পারে কি না-এ বিষয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করিয়া থাকেন,”