পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাধির্মis دvمد . . জ্ঞান-রক্ষ , ృు নিজের দৃষ্টান্তর্টির প্রক্তি উাহার মনোনিবেশ শক্তি উভয়কেই আমরা ইন্দ্রিয় দ্বারা উপকরুন;— । ... • লন্ধি করিয়া অবশেষে উভয়ের মধ্যে যোগ ংস্কার মূলক তত্ত্বের একটি-দৃষ্টান্ত এই যে, বোম্বাই আম্র মিঃ ; আত্ম-প্রত্যয় মূলক তত্ত্বের একটি দৃষ্টাস্ত এই যে, ঘটনা-মাত্রই কারণাধীন। আমরা যতবার বোম্বাই আম্র আস্বাদন করিয়াছি ততবার মিষ্টত্ব অনুভব করিয়াছি, এইরূপ আভাসের গুণেই আমাদের মনে এই সংস্কারটি বদ্ধমূল হইয়াছে যে “বোম্বাই আম্র মিষ্ট্র”; আবার যদি কতকগুলি বোম্বাই আমি আস্বাদন করিয়া দেখি যে, সমস্ত গুলিই টক, তবে আমাদের পূৰ্ব্বতন সংস্কারের পরিবর্তন হইয়া যাইবে ; তাহা হইলে “বোম্বাই আমি মিষ্ট্র” এ তত্ত্বটির পরিবর্তে আমাদের বুদ্ধিতে এই আর-একটি তত্ত্ব উৎপন্ন হইবে যে, “কোন কোন বোম্বাই আমি মিঃ, কোন কোন বোম্বাই আত্ম টঙ্ক ।” সংস্কার-মূলক তত্ত্বের এইরূপ বিকল্প সম্ভবে-আত্মপ্রত্যয়-মূলক তত্ত্ব নির্বিকল্প ; “ঘটনা-মাত্রই কারণাধীন” এ তত্ত্বের বিকল্প সম্ভবে না ; অর্থাৎ এমন হইতে পারে না ধে, কোন কোন ঘটনা কারণাধীন, কোন কান ঘটন| কারণাধীন নহে ৷ বেম্বাই আম্র আমরা চক্ষে দেখিয়াছি — এবং তাহার মিষ্টত্ব আমরা জিহবায় আস্বাদন করিয়াছি ; তাহার পরে আমরা চক্ষে-দেখা বোম্বাই আম্রের সহিত—জিহবায় আম্বাদন করা মিঃত্বের যোগ-বন্ধন করিয়৷ এই তত্ত্বটি স্থির করিয়াছি যে, বোম্বাই আম্র মিষ্ট ; কি “ঘটনা মাত্রই কারণাধীন” ইহাও কি আমরা সেইরূপ করিয়া পাইয়াছি ? বোম্বাই আম্র এবং তাছার মিষ্ট্ৰত্ব উভয়কেই আমরা ইন্দ্রিয় দ্বারা উপলব্ধি করিয়া অবশেষে উভয়ের মধ্যে ধোগ-বন্ধন পূৰ্ব্বক এই তত্ত্বটি পাইয়াছি ষে, বোম্বাই জাম্র মিষ্ট্র; তেমনি কি— বন্ধন পূৰ্ব্বক এই তত্ত্বটি পাইয়াছি যে, ঘটনা মাত্রই কারণাধীন ? কখনই না ; ঘটনাকেই আমরা প্রত্যক্ষ করিতে পারি কিন্তু তাহার কারণাধীনত্ব বা উৎপাদিকা শক্তি আমাদের প্রত্যক্ষের অগোচর । আমরা ঘটনামাত্রেরই সহিত যে, কারণাধীনত্ব জুড়িয় দিই,-সে কারণাধীনত্ব আমরা কোথা হইতে পাইলাম ? আমরা কি পূর্ববর্তিত হইতে কারণত্ব টনিয়া আনি ? কৈ ? (১) কাক তাল-গাছে বসিল—(১) তাল গঢ়িল, একটার পর আর একটা ঘটিল, তহু হুইলেই কি পূৰ্ব্ববর্তী ঘটনাকে পরবর্তী ঘটনার কারণ বলিতে হইবে—কাকের উপবেশনকে তাল-পতনের কারণ বলিতে হইবে ? কখনই না;—কাকের উপবেশন-বশত তাল পড়িল, কিন্স। তালের পরিপক্কতা-বশত তাল পড়িল, তাছা আমর জানি না ; কি কারণবশত তাল পড়িল, তাহা আমরা চক্ষে দেখিও ন—চক্ষে দেখিবার সম্ভাবনাও নাই,—কাকের উপবেশনবশত ও তাল পড়িতে পারে—পরিপক্কতা বশতও পড়িতে পারে—বৃন্ত ক্ষয় বশতও পড়িতে পারে,—যে কারণ হইতেই তাল পড়ব না কেন, সে কারণ কেবল যে, তাল-পতনের পূর্ববর্তী তাহ নছে—পরন্তু তাহা তাল-পতনের নিয়ামক। পূৰ্ব্ববৰ্ত্তিতাতেই ষদি কারণের কারণত্ব হইত তবে কাকের উপবেশনকেই আমরা তাল-পতনের কারণ বলিতে বাধ্য হইতাম—অতএব তাহ নহে—নিয়ামকত্বেই কারণের কারণত্ব হয় ; পূৰ্ব্ববর্তী এবং পরবর্তী ঘটনা আমাদের প্রত্যক্ষের গোচর, কিন্তু কারণের নিয়ামকত্ব বা শক্তিমত্তা আমাদের প্রত্যক্ষের অগোচর ; স্বাহ গোড়াতেই প্রত্যক্ষের অগোচর তাহ] ঘটন} এবং তাহার কারণাধীনত্ব বা উৎপাদিকা কখন সংস্কার-মুলক হইতে পারে না; যাহ।