পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জার্শিদ ১* , এক দিকে পারমার্থিক ;--অথবা, তাহার। ঠিক যে ব্যবহারিক তাহাও নহে-ঠক যে পারমার্থিক তাহাও নহে-কিন্তু মাঝামাঝি, -এক কথায় বলিতে হইলে—মূলতত্ত্ব-সকল বৈজ্ঞানিক শব্দের বাচ্য ! বিজ্ঞান-রাজ্য— পারমার্থিক এবং ব্যবহারিক এই দুই রাজ্যের মধ্যবর্তী; বিজ্ঞান প্রথমতঃ লৌকিক ব্যবহারের প্রতি উপেক্ষা করিয়া ঠিক সত্য কি-তাহার অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হয়, এই হিসাবেই তাহা পারমার্থিক ; কিন্তু তাহাতে যথোচিত কৃতকার্য্য না হওয়াতে ব্যবহারিক রাজ্যে ফিরিয়া আসে ও সেইখানেই আপনার শিবির সংস্থাপন করে—এই হিসাবে ব্যবহারিক । এমন কি—তীব্র বৈজ্ঞানিকেরা পারমার্থিক রাজ্যের সহিত একেবারেই আপনাদের সম্পর্ক রহিত করিতে ইচ্ছ। করেন ; ইচ্ছা করিলে হইবে কি—মনুষ্য পারমার্থিক রাজ্যের আকর্ষণ কিছুতেই এড়াইতে পারে না—আবার সেই-বৈজ্ঞানিকেরা পারমার্থিকের সহিত সম্বন্ধ বাধাইবার জনা অর্ণকুবাকু করিতে থাকেন, – তাছাদের মহা বিপদ উপস্থিত হয় – প্রথম উদায়ে তাহারা পারমার্থিক রাজ্যকে উড়াইয়া দিয়ছেন— এখন কোন লজ্জায় উাহার। তাছার দিকে অগ্রসর হইবেন ? এই জনা প্রকৃত পারমা, র্থিক রাজ্যের পরিবর্ভে তাহার একরূপ মনগড়া পারমার্থিক রাজা হুষ্টি করিতে বিস্তর আয়াস পানি-- তাহারা ধৰ্ম্মের ভিঞ্জিমূল উড়াইয়া দিয়া ধর্শের প্রকাণ্ড প্রকাগু অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করিতে থাকেন-বৃক্ষের গোড়া কাটিয়া আগায় জলসিঞ্চন করিতে থাকেন। ইংলণ্ড-দেশীয় স্থবিপাত পণ্ডিত স্পেন্সর যদিও ঐ শ্রেণীরই একজন–কিন্তু তিনি স্পষ্টবাদী ; তিনি স্পষ্টই স্বীকার করেন যে, পারমার্থিক রাজ্য উপেক্ষণীয় নছে ; তিনি বলেল যে গোড়ায় এক অদ্বিতীয় মূল-সত্য জ্ঞান-রক্ষ } | ృ్ఫ বা সৎপদার্থ বর্তমাম আছে – বিজ্ঞান এবং ধৰ্ম্ম উভয়ই এ তত্ত্বটি অকাট্যরূপে সমর্থন করিতেছে—এ তত্ত্বটিকে কেহই অতিক্রম করিতে পারে না –“নৈনং সেতুমহোরাত্রে তরতঃ ন জর ন মৃত্যু ন শোকঃ" এই সেতুকে রাত্রি দিন জর মৃত্যু শোক কেহই অতিক্রম করিতে পারে না। প্রকৃত কথ। এই যে, একদিকে ব্যবহারিক রাজ্য অীর একদিকে পারমার্থিক রাসা, গাত্মা উভয়ের সন্ধি স্থলে ; তথবা, একদিকে তাঁর একদিকে ঈশ্বর, আত্মা উভয়ের সন্ধি স্থলে । দেশ-কাল-ঘটিত যোগাযোগ যাহা আত্মাপ ব্যবহারিক সভার পরিচয় প্রদান করে--তাহাই মুলতত্ত্ব সকলের বিচরণ-ক্ষেত্র, এবং দেশ-কালের অতীত নিরুপাধিক জ্ঞান ঘাহা পারমার্থিক সত্তর পরিচয় প্রদান করে—তাহাই মূলতত্ত্ব-সকলের নিভূত নিলয় ; এই নিভৃত নিলয়ের গুণে মূল তত্ত্ব-সকল পারমার্থিক—এবং ঐ বিচরণ ক্ষেত্রের গুণে উছারা ব্যবহারিক,এক কথায় —মূল তত্ত্ব-সকল বৈজ্ঞানিক। এখন বিশুদ্ধ পরমার্থ তন্তু (সংক্ষেপে পর-তত্ত্ব ) কিরূপ তাহার প্রতি প্রণিধান করা যাউক ;– এক দিকে স্থল তত্ত্ব আর এক দিকে পর তত্ত্ব—মূল তত্ত্ব উভয়ের মধ্য স্থলে । (১) মূল তত্ত্ব-সকলের সাশ্রয় জীবাত্ম, (২) স্থল-তত্ত্ব-সকলের আশ্রয় অব্যক্ত প্রকৃতি, এবং (৩) পর-তত্ত্বের আশ্রয় পরমায় । এই তিনটি বিষয় ভাল করিয়া বুঝিতে হইলে— কিরূপে আত্মা হইতে মূল-তত্ত্ব-সকল ক্ষুদ্রত হয়— এবং সেই মূল-তত্ত্ব-গুলির সাংখ্যাই বা বা কত--তাহা জানা আবশ্যক ; অতএব প্রথমে তাহারই আলোচনায় প্রবৃত্ত হওয়া যাইতেছে 3ー পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, মূলতত্ত্ব-সকল আত্মপ্রত্যয়-মুলক ; বহির্বিষয়ের উপলক্ষে আত্মা আপন হইতে যে সকল তত্ত্ব উদ্ভাবন করে