পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

్స్ఫసిలి বৃষ্টির কারণ-ইছ আমরা নিশ্চিত জানি না অথচ মনে করি তাহা আমরা নিশ্চিত জালি ; ব্যবহার-কালে এরূপ মনে করতে কোন হানির সম্ভাবন নাই, কিন্তু তত্ত্বমীমাংসা-স্থলে ও-রূপ মনে করিলে চলিবে না,—এখানে স্পষ্ট কথা বলাই শেয়,— এখানে এই বলা উচিত যে, বৃষ্টির কারণ আছেই আছে ইয়! আমার নিকট সুবক্ত, বৃষ্টির কারণ কি —তাহ আমার নিকট অব্যক্ত। পূৰ্ব্বে বলিয়ছি যে, মূল তত্ত্বের একদিকে স্থল তত্ত্ব, ক্রীর একদিকে পরাতত্ত্ব,—মূলতত্ত্ব উভয়ের সন্ধি স্থলে ; মূলতত্ত্ব এবং স্থলতত্ত্ব সম্বন্ধে যাহা বক্তব্য তাই বলিয়াছি,~~ঐক্ষণে পরতত্ত্ব কিরূপ তাহার প্রতি প্রণিধান করা যাউক ;–আকাশ এবং কাল এই দুইটি শূন্য উপাণি মুর ন ত্ব-সকলের বিচরণ ক্ষেত্র, এবং আমাদের আত্ম সেই দুইটি উপাধির মহবন্তী, এই জন্য আমাদের আত্ম সোপাধিক শব্দের 75 । যদি ঐ দুইটি উপাধিকে ভাবলীহইতে সরাইয় ফেলা যায়, তবে কার্যকারণাদি সমুদায় তত্ত্ব এক নিরুপাধিক জ্ঞান-তত্ত্বে পরিণত হয় ; আমাদের বুদ্ধি-বৃত্তি এক ধী-শক্তিরে--সত্ত্ব-গুণে --পর্য্যবসিত হয়; আকাশের সহিত সমুদায় বাহ্য জগৎ এক জড় শক্তিতে বা আবরণ শক্তিতে (তমোগুণে) পর্প্যবসিত হয় ; কালের সহিত সমুদায় মানসিক জগৎ এক কল্পনা-শক্তিতে বা বিক্ষেপ শক্ষিতে (রজো-গুণে) পৰ্য্যবসিত হয় ; এবং তিনই এক অব্যক্ত ঐশী-শক্তিতে পর্য্যবসিত হয় । পুৰ্ব্বোক্ত নিরুপাণিক বা নিরালম্ব জ্ঞানকে তাঞ্জয় করিয়া শেষোক্ত অব্যক্ত ঐশী-শক্তি দীপ্তি পায়-ইহাই পরতত্ত্ব । মূলতত্ত্বের সহিত পরতত্ত্বের যে কিরূপ অপশ্যম্ভাবী অবিচ্ছেদ্য সম্বন্ধ-নিম্নে তাহার একটি উদাহরণ প্রদর্শন করিতেছি ;– তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা १० रूछ, ९ छ* এ তত্ত্বে আমাদের জ্ঞানের প্রভাব স্পষ্ট্রই প্রকাশ পাইতেছে—কিন্তু সে কারণ যে, বি, তাহা আমাদের নিকট অব্যক্ত-ইহাতে আমাদের জ্ঞানের অভাব স্পষ্টই প্রকাশ পাইতেছে ;-কারণ যে কি তাঙ্গা আমাদের এই সোপাধিক জ্ঞানের নিকটেই आदTद्ध ; কিন্তু তাহ কি কোন জ্ঞানেই প্রকাশ নাই?-- তাহা যদি হয় তবে সে কারণ ‘মূলেই নাই” এরূপ বলিবার কেন বাধা থাকে না ; তবে আর “কারণ আছেই আছে” এই প্রবলতম নিশ্চয়তার অর্থ কি ? - এ নিশ্চয়তা তবে ফাকি !—সত তবে মিথা ! যদি কোন ব্যক্তি বলে যে, “ত্রিশিরা মনুষ্য আছেই আছে, কিন্তু কেনি-একটি ত্রিশির মনুষ্যই কাহারো জ্ঞানে প্রকাশ নাই, না আমার জ্ঞানে-ন অনের জ্ঞানে -এমন কি ত্রিশিরা-মনুষ্যের নিজের জ্ঞানেও তাই অপ্রকাশ, তবে এই নূতন সংবাদটি দে, কতদূর বিশ্বাস-যোগ্য, তাহ বুঝাই যাইতেছে! আত্মপ্রতায়ের কথা কি এইরূপ অমূলক ? তাহ যদি হয় তবে অভ্রান্ত সত্যই অমূলদ এইরূপ এক অদ্ভূত সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে হয় ; কেনন। আত্মপ্রত্যয়সিদ্ধ সতোর নামই অভ্রান্ত সত্য । অতএব আমাদের সোপাধিক আত্মপ্রত্যয় নিরুপাধিক পূর্ণ জ্ঞানের উপরে-ঐশ্বরিক জ্ঞানের উপরে—প্রতিষ্ঠিত, এ বিষয়ে অার কাহারে ংশয় হইতে পারে না। র্যাহারা আত্মপ্রত্যয়সিদ্ধ তত্ত্বের সত্যতার প্রমাণ জিজ্ঞাসা করেন র্তাহাদের প্রতি দর্শন-কারের এইরূপ বলেন "মানং প্রবোধয়স্তং বোধং যে মানেন বুভুৎসত্তে । এধোভিরেব দহুল দখুং বাহুভি স্তে মহা-সুধিয়ঃ " প্রমাণকে প্রবোধিত করিতেছে যে মূলজ্ঞান তাহাকে যাহারা প্রমাণ দ্বারা জীনিতে ইচ্ছা করেন, সেই মহা পণ্ডিতেরা কি করেন ? না ইন্ধন-কাষ্ঠকে দহন করিবে ঘটনা মাত্রেরই কারণ আছেই আছে— | যে অগ্নি সেই অগ্নিকে ইন্ধন-কাষ্ঠ দ্বারা