পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বরে তারই জয়ঘোষণা করিয়া তাহাকে আন্তরিক শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রীতি কৃতজ্ঞতা অর্পণ পূর্বক অধিকতর উদ্যম উৎসাহের সহিত, র্তাহার উপাসনায়, তাহার প্রিয়কাৰ্য্য সাধনে অগ্রসর হইবার জন্য আবার নবতর কল্যাণতর সাহায্য প্রার্থনা কর । করুণানিধান পরমেশ্বর । সম্বৎসর কাল জীবিত থাকিয়—তোমার প্রদত্ত অন্ন-পানে জ্ঞান ধৰ্ম্মে শরীর মন আত্মাকে পোষণ করিয়া আজ এই বর্ষশেষ-রজনীতে তোমার দ্বারে কৃতজ্ঞতা-উপহার লইয়া সকলে সম্মিলিত ছইয়াছি । তোমার অতুলন স্নেহ-প্রেযের আমরা কি প্রতিক্রিয়া করিব । তোমার স্নেহঋণ অপরিশোধা, তোমার প্রেম-সিন্ধু তাতলস্পর্শ । তোমার দ্বারের নিত্য ভিখারী হইয়া তোমাকে কি দিয়া আর মনঃক্ষোভ নিবারণ করিব । হৃদয়নাথ ! তুমি হৃদয়ে থাকিয়। অামারদের আস্তরতম প্রদেশ পর্যান্ত অবলোকন করিতেছ। এ শরীর মন আত্মা তোমারই, তোমাকেই অর্পণ করিতেছি, তুমি তাহা গ্রহণ কর যে কৃতাৰ্থ হুই । ও একমেবাদ্বিতীয়ং ব্রহ্মসঙ্গীত । রাগিণী পূববী-ভাল আড়াঠেক । বর্ষ ওই গেল চলে । কত দোষ করেছি যে, ক্ষমা কর,লহ কোলে। শুধু আপনারে ল’য়ে সময় গিয়েছে ব’য়ে, চাহিনি তোমার পানে, ডাকি নাই পিতা বোলে ! অসীম তোমার দয়া, তুমি সদা আছ কাছে অনিমেষ আঁখি তব মুখপানে চেয়ে আছে ; মরিয়ে তোমার স্নেহ, পুলকে পূরিছে দেহ, প্রভুগো তোমারে কভু আর না রহিব ভুলে । v) s প্রথম উপদেশ । ১ বৈশাখ ১৮৪৫ শক শুক্রবার। অদ্য নব বর্ষের আরম্ভ। অদ্য সেই প্রাণদাতা করুণাময় পিতা যাহার প্রসাদে আমর বিগত বর্ষে কত সুখে নিৰ্ব্বিত্বে জীবন যাপন করিয়াছি আজ সকলে মিলিয় তাহাকে কৃতজ্ঞতা অর্পণ করিবার জন্য আমরা এখানে উপস্থিত হইয়াছি । ব্রাহ্মগণ একবার আলোচনা করিয়া দেখ ৰ্তাহার করুণর মনোহর আলোকে আমাদিগের জীবনের প্রত্যেক ংশ কেমন অনুরঞ্জিত হইয়াছে। গত বর্ষের একটা মুহুৰ্তও কি এমন হইয়াছিল যাহাতে র্তাহার করুণার জ্যোতি আমাদিগের প্রতি সম্পূর্ণরূপে নিপতিত হয় নাই ? অা মাদিগের শরীরকে তিনি কেমন যত্নে অসংখ্য প্রকার বিপদ হইতে রক্ষা করিয়াছেন । তিনি আমাদিগের অন্নপান বিধান করিয়া অামাদিগকে সুস্থ ও সবল রাখিয়াছেন । তিনি যে আমাদিগের শরীরকে কেবল রক্ষা করিতেছেন এমত নহে তিনি আমীদিগের ত, তাঁকে কত প্রকার বিল্প হইতে মুক্ত করিয়া তাহার অমৃত পথে কেমন অল্পে অল্পে লইয়। যাইতেছেন । যখন আমরা মোহবশতঃ তাহাকে ভুলিয়া বিষয়ের পশ্চাৎ ধবিমান হইয়াছি তখন তিনি আমাদিগের মনে এই সত্য প্রদীপ্ত ঝরিয়াছেন, যে র্তাহাকে ছাড়িয়া সুখ নাই, শান্তি নাই, কেবলই বিষাদের ঘন অন্ধকার । তিনি কত সময়ে আমাদিগের হৃদয়ের মোহ-কবাট ভেদ করিয়া অামীদিগের আত্মাতে প্রকাশিত o হইয়াছেন ও আমাদিগের নিজাব মনকে সজীব করিয়া তাহার প্রেম-রসে রঞ্জিত করিয়াছেন—তিনি নিয়তই আমাদিগের মনে এরূপ উন্নত ভাব প্রেরণ করিতেছেন,যাহাতে আমরা সমুদয় কামনা আশা ভরসা বিষয় হইতে প্রত্যাবৃত্ত করিয়া কেবল র্তাহাঁতেই