পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

६छjई »v** নব-বর্ষ ব্রাহ্মসমাজ

o ஆ_ _ så ΕΦ o too তেছে যে তোমাকে চিরদিন হৃদয়ে রাখিব, আর কখন তোমাকে ছাড়িব না, তোমার প্রদর্শিত পুণ্য-পথ আর কখনই পরিত্যাগ করিব না । হে অমৃত-নিকেতন তুমি আমাদিগের মনের এই দৃঢ়তা রক্ষা কর। আমরা তোমার একান্ত শরণাপন্ন হইতেছে তুমি আমাদিগের পরম গতি পরম আনন্দ সম্পা দন কর । குறுவமை দ্বিতীয় উপদেশ । ১ বৈশাখ শুক্রবর ১৮০৫ শক । সেই তাদি দিনের পবিত্ৰ নিৰ্ম্মল উঘাকালে যে শোভ বিদ্যমান ছিল, আজ নববর্যের প্রথম মুহূর্তেও সেই শোভা অামাদের সম্মুখে বিরাজমান। মস্তকের উপর নীল বিমল সমস্ত আকাশ সেই অনন্ত ঈশ্বরের ভাবকে হৃদয়ে প্রস্ফুটিত করিতেছে। বাহিরে বসন্তের সমীরণ যেমন শরীরকে শীতল করিতেছে, অস্তরে সেই প্রাণসখার প্রেম-নীর স্বাক্স কে তেমনি অভিষিক্ত করিতেছে । বাহিরে কুসুমরাশি প্রস্ফুটিত হইয়া পৃথিবীকে শোভার ভাণ্ডার করিতেছে, অস্তরে ভক্তিপুপ বিকসিত হইয়। বিভু পদে বিকীর্ণ হুইতেছে । বিহুঙ্গমকুলের সুমধুর সংগীতে দিগ বিদিক পরিপূরিত, এমন স্থারম্য ও পবিত্র কালে-নববর্ষের এই প্রথম মুহূর্কে আমর। | হৃদয়েরি ফুলগুলি, যতনে ফুটায়ে তুলি, দিবে কি বিমল করি, প্রসাদ-সলিল দিয়া” । এখন হৃদয় অতি গভীর প্রেমে নিমগ্ন হইয়৷ উদাসভাব ধারণ করিয়াছে । যার এই হৃদয়-সিংহাসন, তিনি কৃপা করিয়| আজ ইহাকে অধিকার করিয়াছেন । দেখ ব্রহ্ম - ! “নয়ন খুলিয়ে দেখ, করুণা-নিধান, পাপতাপ-হারী । হৃদয়-কবাট খুলি দেখরে যতনে প্রেমময় মুরতি জন-চিত্তহারী ॥ হ! ! আমরা তাহাকে হৃদয়ের ভিতর পাইয়1, এক আশ্চৰ্য্য অবস্থাস্তর প্রাপ্ত হই য়াছি --এক মনোহর দৃশ্য অবলোকন করিতেছি । দেখিতেছি যে আমাদের বিষাদময় অন্ধকারমস হৃদয় তার কিরণম্পর্শে এক অপূৰ্ব্ব জ্যোতি ধারণ করিল – দেখিতেছি আমাদের নীরস দগ্ধ আত্মিা যেন সরস ও শান্তিপূর্ণ হইল-দেখিতেছি যেন মাতৃক্রোড়ে আসিয়া এক আশ্চর্য্য স্পর্শ স্থখ ও অভয় প্রাপ্ত হুইতেছি । স্থায় ! এ সৌভাগ্য কীহার করুণা-বলে উদয় হইল ? যাহার কৃ পায় কোটি কোটি দেবলোক অমৃত লাভ করে, একি তাহারি করুণা বলে নহে ? তিনি আমাদিগকে ক্ষুদ্র কীট বলিয়া পরিত্যাগ করেন নাই । তার অমৃতময় ক্রোড় দেবগণের জন্য যেমন প্রসারিত, এই মলিন মনুষ্য হইয়। কি নিস্তব্ধ থাকিতে পারি? যানবগণের জন্যও তেমনি প্রসারিত। এখন রসনা আপন হইতেই প্রচার করি তেছে, “তুমি কিগে। পিতা আমাদের, ঐ যে নেহারি মুখ অতুল মেহের । ঐ যে নয়নে তব অরুণ-কিরণ নব, বিমল চরণ-তলে ফুল ফুটে প্রভাতের। ঐ কি স্নেহের রবে, ডাকিছ মোদের সবে, কি আমি বলিব তোমারে, ক্ষুদ্র কীট অামি—ভূমি অনাদি পুরাণ – অবিনাশী সারাৎসার আকাশের উচ্চ ভূমি—দেখ তবু কৃপা চক্ষে মলিন মানবে । ” আমরা যে তার কৃপায় সময়ে সময়ে বিদ্যুতের ন্যায় তাহাকে লাভ করি, ইহা তোমার আসন ঘেরি দাড়াব কি কাছে গিয়া। | অপেক্ষ আমাদের আর কি সুখ-সৌভাগ্য