পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (চতুর্থ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ֆՀ সম্ভোগ করিবার নিমিত্ত সযত্ন ও সচেষ্টিত হয় । তাছারা এৰূপ দুষিত প্রকৃতি অধিকার করিয়া জন্ম গ্রহণ করিয়াছে, যে পাপকার্ষে লিপ্ত ন হইয়া ক্ষান্ত থাকিতে পারে না ; ●唱准 এৰূপ লোকদিগের প্রতি কিৰূপ ব্যৰ- ; স্থার করা উচিত, তাহা এক্ষণে বিবেচনা কর; কৰ্ত্তব্য । প্রচলিত রাজনিয়মানুসারে, তাহরী কিছু কাল কারারুদ্ধ থাকে ও ঐ গু ভোগ করে, অনস্তর নিস্কৃতি পাইলে, পুবিবৎ পাপকৰ্ম্মে প্রবৃত্ত্ব হইয়া জনসমাঞ্জের vমনিষ্ট সাধনের চেষ্টা পায় । রাজা ও রাজপুরুষের আবহমান কাল অধাৰ্ম্মিকদিগকে অশেষমতে শাস্তি প্রদান করিয়} অTfসতেছেন, কিন্তু পাপের প্রবাহ কোন প্রকারে নিবারণ করিতে পারলেন না । অতএব বলিতে হয়, পরীক্ষা দ্বারা নিশ্চয় হইয়াছে, উক্তৰূপ শাস্তি বিধান দ্বারা জ্ঞনসমাজে অধম্ম নিবারণের সম্ভাবন; নাই ; § § < | ಇ | < তাহাদিগের প্রতি সমjস্বীপ আচরণ করে- ; লে, এবিষয়ে সম্পর্ণ অথবা আংশিক উপ কণর দর্শ:ন সম্ভব কি না ইহা বিবেচনা | করা কৰ্ত্তব্য । কুকৰ্ম্মীরা এক্ষণে রাজদ্বরে যেৰূপ শান্তি প্রাপ্ত হইয়া থাকে, তাহ আমাদের । ক্রোধের কৰ্ম্ম তা স্থার সন্দেহ নাই । সেৰাপ শাস্তি একপ্রকার বৈ রনির্যাতন বলিয়া উfল্লখিত হইতে পারে । এক্ষণকার রাজনিয়নের বিষধ বিবেচনা করিয়া দেখিলে বোধ কয়, কেহ দ্বেল করিলে তাঙ্কণর প্রতিদ্বেষ করা, কেহ হিংসা করিলে তাঙ্কারপ্রতিহিংস কর, কেহ অপকার করিলে তাহার প্রত্যপকার করা ইদানীন্তন রাজপুরুষদিগের রাজমিয়মের প্রধান অভিসন্ধি বলিয়। প্রতীয়মান হয় । উক্ত প্রকার দ গুৰিধান আমাদের জিঘাংসা ও প্রতিৰিধিৎসপ্রবৃত্তির অভিমত হইতে পারে, কিন্তু দয়া ও ন্যায়পরতা- মামী মহীয়সী প্রবৃত্তিদিগের অনুমোদিত নহে । কুকৰ্ম্মীদিগের প্রতি যেৰূপ ব্যবহার করিলে, তাহাঁদের চরিত্র সংশোধন ও সুখ সংসাধন এবং লোকসমাজে অনিষ্ট নিবারণ হয়, সেইৰূপৰ্যৰ हाब्र.कङ्गाई कर्डवr1 झकै नयन ७ शिकै ப_ *S Ps _ _ পালন পূৰ্ব্বাবধি বিধেয় বলিয়া চলিয়া ভূসিত্তেছে, কিন্তু নব্য-সম্প্রদায়ী সদয়-স্বভাব সাধু পণ্ডিতদিগের অভিপ্রায় এই যে, ছুস্টদিগেরও পালন ও সুখ সাধনের উপায় করা কৰ্ত্তব্য । যেমন, আঙ্গবিশেষের স্বাভাবিক দোষ; দুষিত-বায়ু:সংযুক্ত কুস্থানে অবস্থান, যথা বিধানে শরীর সঞ্চালন বিষয়ে অবকেলম ইত্যাকার বিবিধ প্রকার স্বাভাবিক কারণে শারীরিক রোগের উৎপত্তি কয়, সেইৰূপ মনোবৃত্তি বিশেষের স্বাভাবিক দোষ, কুলোকদিগের সহিত কুস্থানে সহবাস, যখ বিধানে মনোবৃক্তি সঞ্চালনে অবচেল প্র: কাশ ইত্যাকার ‘বিবিধ প্রকার স্বাভাবিক কারণে পাপ ৰূপ মানসিক রোগের ও উৎপত্তি হইয়া থাকে ৷ কেহ পীড়িত কইলে আমরা তাকাকে ভ্ৰমেও কখন শাস্তি দিবার বাসনা করিনা, প্রত্যুত, তাছাকে বিচক্ষণ চিকিৎসকের ক্রস্তে সমপণ করিয়া, উচিত মত ঔষধ পথ্য প্রদান করত রোগের কস্ত হইতে মুক্ত করিধার যত্ন পাই। কিন্তু কোন ব্যক্তি উক্তৰূপ স্বাভাবিক কারণে পাপ ৰ৷ প পীড়ায় পীড়িত হইলে, তাহাকে তৎ ক্ষণাৎ কারারুদ্ধ করিয়া সুকঠিন শাস্তি প্রদান করিবার নিমিত্ত ব্যগ্র কই । এরূপ আচরণ সৰ্ব্বতোভাবে যুক্তিসিদ্ধ বোধহয় না । যদি শারীরিক ও মামসিক রোগ একৰূপ কারণ হইতে উৎপন্ন হইয়া থাকে, তবে এক প্রকার রোগীকে শান্তি দেওয়াবিfহত হইলে, অন্য প্রকার রোগীকেও শাস্তি দেওয়া কি নিমিত্ত বিঙ্কিত না হয় ? বাস্তবিক, কোন ব্যক্তি পাকস্থলীর প্রকৃতি দোষে ও কুস্থানে অবস্থান-দোষে উদরাময়-পীড়ায় পীড়িত হইলে, তাহাকে শাস্তি দেওয়া যেমন যুক্তি-বিরুদ্ধ, কেহ মনোৰ্বত্তি বিশেষের স্ব ভাৰ-দোষে ও কুলোকের সহিত সংসর্গ-দোষে পাপ-কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হলে, তাহাকে শাস্তি দেওয়াও সেইৰূপ মুক্তি-বিরুদ্ধ তাহার সন্দেহ নাই । কেহ কেহ কহিতে পারেন, চেীর অঙ্গবা সু একবার কাহারও আর্থাপহরণক