পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (চতুর্থ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । கச_ஆம்_து _ச 4ημήμω"jmaώ. প্রাণদণ্ডের প্রার্থনা করে । কাহাকেও বা ! আব কামান্‌স নামক রাজকীয় সভার ১৬৭ এৰূপ দেখিতে পাওয়া যায় যে, ধরা পড়ি | ব্যক্তির প্রাণ-দণ্ডের বিষয় উত্থাপন করিয়া বার কিছুমাত্র আশঙ্কা না করিয়া ও তাহার প্রতিবিধানের কিছুমাত্র উপায় চিন্ত না করিয় , উক্ত পাঠকে প্রবৃত্ত হয় । কোন সুহ্মম দর্শী বিচক্ষণ পণ্ডিত এবিষয়ের প্রচুর প্রমাণ সঙ্কলন করিয়া প্রতিপন্ন করিয়ছেন, মরঘােটদিগের তিন ভাগের মধ্যে অনু্যন দুষ্ট ভাগকে আত্ম-বধে উদ্যত হইতে দেখিণ্ডে পাওয়া যায় অতএব, মনের যে অবস্থ হইলো, আত্মহত্যায় উৎসাহ জন্মে, সে সব স্থায় প্রাণ-দগু ভয়ে নর-হত্যায় মিবুৰ্ত্ত হওয়া কোন ক্রমেই সম্ভব मरेँ ? প্রাণ-দগু অতি কুৎসিত কাৰ্য্য। তাহ দেখিলে, নিকৃষ্ট লোকের নিকৃষ্ট প্রবৃত্তি চরিত্রার্থ ব্যতিরেঞ্চে কদ:চ শাসিত হয় না । প্লাজ-বিচার iনুসারে কাচারও প্রাণ-দণ্ড উপস্থিত হং ণৈ রিপুপ্রধান নিকৃষ্ট লোকেমই তাহ পরম কৌতুকের বিষয় বিবেচনা করিয়া দেখিহে বায়, এবং দেখিতে গিয়া, অঙ্গাদিত হইয়: প্রফুল্ল মনে প্রত্যাগমন করে। ১৮৩১ খিষ্টাব্দের ৫ই ডিসেম্বর ইংলণ্ড দেশে বিশাপ ও উইলিয়ম নামক ছুই ব্যfক্তর প্রাণ দ গু হয় । তাহ দেখিবার নিমিস্ত, সেই দিবস প্রভাত-কালে স্থানাধিক ৩০ ০০ ০ লোক কথায় উপস্থিত হয় । তাহার। ঐ দুই ব্যক্তির বধ-ভূমিতে আনয়ন ও বধমঞ্চ আরোহণ দেখিয় উৎসাহিত চিত্তে বার স্বার চিৎকার করিতে লাগিল, এবং তাহীদের প্রাণ-সংহার সঙ্ঘটন সময়ে, কয়েক বার ভয়ঙ্কর জয়ধুনি ও আনন্দ-ধুনি করিয়া উঠিল । ঐ সকল ব্যক্তি নরঘাতীর প্রাণ দণ্ড দেখিয়া আপনাদিগের জিঘাংসা বৃত্তির শাসন করিবে ইহা মনোমধ্যে ক্ষণমাত্রও স্থান দেওয়া যায় না । প্রত্যুত, দুই ব্যক্তি যে প্রকার নরহত্যা করিয়াছিল, তাহাদের প্রাণদণ্ডের পর কিছুদিন পয্যন্ত সেই প্রকার নর-বধের বৃত্তান্তে ইংলণ্ডীয় সংবাদপত্র সমুদয় পরিপুর্ণ হইয়াছিল । এক ക. দী ইওয়ার্ট নামে এক ব্যক্তি ইংলণ্ডে ৰীেস্ম, கம்ாற்றங்கம்

噶 ஆ Griminal iPRR by М. В. Варрчов А 76 নিঃসংশয়ে প্রমাণ করিয়া দিয়াছিলেন, তাহাঁদের মধ্যে ১৬৪ জন অন্যান্য লোকের প্রাণ-দগু স্থলে উপস্থিত ছিল । সেই সকল লোকের প্রাণ-নাশ দেখিয়া তাঙ্গাদিগের জিঘাংসা-রুত্তি চরিতার্থ ও উত্তেজিত হই, য়াছিল এৰূপ মীমাংসা করা সৰ্ব্বতোভাবেই যুক্তিসিদ্ধ বোধ কয় । নরঘাষ্ঠীর প্রাণ বধ দেখিয়া অন্য লেt. কের নরবধে নিবৃত্ত হইবার প্রমাণ পাওয়া যায়না, কিন্তু প্রবৃত্ত হইবার প্রচুর প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় । আমাদের যেমন জিঘাংস। বৃত্তি আছে, সেই ৰূপ অনুচিকীর্ষ নামে তার একটি প্রবৃত্তি আছে । প্রাণদণ্ড দর্শকদিগের ঐ দুই বৃত্তি মিলিত হইয়া মধ্যে মধ্যে ভয়ঙ্কর ব্যাপার উৎপাদন করে । " কদা ফরাশিশ দেশের এক জন সৈন্য o সৈনিক-গৃহে থাকিয় আত্ম-ঘাতী হয় ; তাহা । দেখিয়া ও শুনিয়া উপূর্য্যুপরি অনেক ব্যক্তি । সেই ব্যক্তির দৃষ্টান্তানুসারে সেই গৃহের মধ্যে আত্ম প্রাণ সংহার করে । এই বিষম বিভীষিকা দৃষ্টি করিয়া, কস্তৃপক্ষের যখন ঐ গৃহ দগ্ধ করিয়া ফেলিলেন, তখন তথায় আত্মহত্য হওয়া নিবৃত্ত হইল । এক ভয়-শরীর সৈনিক ব্যক্তি কোন চিকিৎসালয়ের দ্বারদেশে উদ্বন্ধন দ্বার প্রাণ ত্যাগ করে. তাছা দেখিয়া এক পক্ষের মধ্যে অন্য চতুর্দশ ব্যক্তি সেই স্থানে আত্ম-হত্যায়-প্রবৃত্ত হয় । পরে যখন চিকিৎসালয়ের’অধ্যক্ষের বিবেচনা করিয়া, সেই স্থানে প্রাচীর নিৰ্ম্মাণ করিয়া, সেই দ্বার রুদ্ধ করিয়া দিলেন, তখন তথায় আত্মহত্যা রহিত হইল । , এৰূপ প্রবৃত্তি কেবল ফরাশিশদিগেরই স্বভাব-সিদ্ধ নহে । অন্যান্য দেশেও এইৰূপ ভুরি ভুরি ঘটনা ঘটিবার বৃত্তান্ত শুনিতে পাওয়া যায় । অতএব, প্রাণ-বধ দেখিয়া প্রাণ-ৰধে আশঙ্কা ও নিবৃত্তি হওয়া দুরে থাকুক, প্রবৃত্তি হইবারই বহুতর দৃষ্টান্ত দেখিতে পাওয়া षांन्न गैं । {} • Criminal Jurisprudence by M. B. Bampson p. 105 t Criminal Jurisprudence by M. B. Sampson p. 104 & 105