পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (তৃতীয় কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১১৩

তত্ত্ববোধিনী পত্রিক * s তৎপর হইবেন । অদ্য আমরা এই গুরুতর কৰ্ত্তব্য সাধন করিবার জন্যই এখানে সম্মিলি ত হইয়াছি। “ কৰ্ত্তব্য ” এই শব্দ ব্রহ্মের নিকটে কি গম্ভীর ও উৎসাহ-কর শব্দ । বিষয়ী লোকের কর্ণে এ শব্দের কিছু মাত্র গৌরব নাই; কিন্তু কৰ্ত্তব্যের নাম শুনিবা মাত্র ব্রাহ্মের মন গভীরতম প্রদেশ পর্য্যন্ত কম্পিত হয় এবং উৎসাহ অনলে প্রজ্বলিত হয় । অতএব আমরণ ব্রাহ্ম হইয়া অামারদের কৰ্ত্তব্য সাধনের জন্যই এখানে একত্র হইয়াছি । আর এক প্রশ্ন এই যে শিক্ষণ কার্য্যের উন্নতি সাধন করিবার ভার রাজপুরুষদের হস্তেই সমৰ্পিত আছে, তবে ব্রাহ্মদিগের হস্তক্ষেপ করবার প্রয়োজন কি ? রাজপুরুষের যতদূর করি ترجمه = মুঙ্গেণ, তাহার জন্য র্তাহীদের প্রতি আমি{ রদের কৃতজ্ঞ চওয়া উচিত, কিন্তু রাজপুরুষে५ "यू म कलशे कब्लिएदन्, शेरु मज्ठर न६३ ।। ক্টাচাদের হস্তে আর আর নানা কৰ্ম্ম রহিয়াছে, তাহারণ আমাদের জন্য অন্ন পর্য্যন্ত প।ক করিয়া দিবেন, এৰূপ প্রত্যtশা কর। যাইতে পারে না । আমাদের আপনাদের ষত্ব চাই, অর্থ চাই। বিদ্যা, বল, ধন, যিনি যাহা দিতে পারেন, সকলেই যদি কিছু কিছু করিয়া দেন, তবে সকলের দান একত্র হইলে কি না হইতে পারে ? আমাদের যদি যথার্থ চেষ্টা থাকে, কর্তব্য বলিয়া বোধ থাকে, তবে অমর কি না করিতে পারি? আমরা সকলেই ঈশ্বরের কৰ্ম্মচারী ভূত্য, সত্যের প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ করা আমাদের কার্য্য ! আমর। আপনারদিগকে ষত অপদার্থ মনে করি, বাস্তবিক আমরা তাহ নহি । আমাদের অন্তরে ধর্মের শিখ রহিয়াছে, অমাদের আত্মাতে ঈশ্বরের ভাব নিহিত আছে । তৃতীয় প্রশ্ন এই যে এখন আমাদের অভাব ১১৫ লী অত্যন্ত দোষাবহ, শিক্ষা দিবার যে যথার্থ তাৎপৰ্য্য তাহ সিদ্ধ হয় না, বুদ্ধিবৃত্তি-সকল পরিচালিত হইয়া যাহাতে তাহার উন্নত হয়, সে প্রকার নিয়মে শিক্ষ। সে যা হয় না । কেবল কতক গুলি সত্য উদরন্থ করিয়৷ দেওয়া হয় মাত্র। যুবকের। কালে বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন, ও থম র্তাহীদের বিদ্যার ধতি অনুরাগ দেখা যায় বটে, কিন্তু যখন সংসারে প্ররিস্ট হইয়। অর্থ সংগ্ৰহ করিতে হয়, তখন তাহদের গুন 7 আর এক প্রকার হুইয়া যায় । কেরাণী রাজ্যে একবার 8 বেশ করিলে ত{ঙ্কা । সকল উৎসাহ নিৰ্ব্বাণ कुशेशt যাক , লি ন}} লয়ের ছরের এক প্রকার ভাল, সংস) র হইলে তাছার সম্পর্ণ বিপরীত লব। এক সময়ে যিনি দেশের কুীতি সংশোধনের জনা প্রধtল উদ্যোগী ছিলেন, তার এক সময়ে তিনিই ঘোর পৌত্তলিকতীয় আপ নার বিদ}} বুদ্ধি সকলি জলাঞ্জলি দিলেন । অতএব এখন দেখ যাইতেছে, সুশিক্ষিত দিগের মধ্যেও বিদ্য; শিক্ষার কেন :P হইতেছে না । দ্বিতীয়তঃ সামান। লোকদের মধ্যে বিদ্য। প্রচারের কোন সুবিধা নাই । বিদ্যার দ্বার কেবল ধনী ও ঐশ্বর্য্যশালীর নিকটেই মুক্ত নহে । সাধারণ লোকের মন যখন অজ্ঞান ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন রহিয়াছে, তখন কতিপয় লোকের বিদ্যাবলে কি হইতে পারে ? জাতির শৃঙ্খল যাঙ্ক। অামাদের হৃদয়কে অকাট্য বন্ধনে বদ্ধ করিয়া রাখিয়াছে, তাহা কিৰূপে ভগ্ন হইবে ? সাধারণ লোকের মন প্রস্তুত ন হইলে দেশের কুরীতির উচ্ছেদ সাধন কখনই হইতে পারে না । তৃতীয়তঃ স্ত্রীলোকদিগের মধ্যে বিদ্যা প্রচার । এদেশের স্ত্রীলোকদিগের দুরত্নস্থ। দেখিলে হৃদয় বিদীর্ণ হয়। অন্ধকার কারা কি ? প্রথমতঃ এখনকার বিদ্যা শিক্ষা প্রণা- গার সমান অন্তঃপুরে যেমন আলোকের