48 ব্রহ্মের স্বৰূপকে আমরা আমাদের পরিমিত ক্ষুদ্র বুদ্ধির দ্বারা বিশেষ-করিয়া যে বুঝিতে পারি না, ইহা বুঝিলেই তাহার | 导 भक्रल अउिथांज्ञ श्रद्कोउ इशै८उल्लिं, ,७ s অনাদনন্ত পূর্ণ-স্বৰূপ জনা হইল। o *○8 ইহ লোকে পরমেশ্বরকে জানিতে পারিলে জন্ম সার্থক হয়, না জানিতে পারিলে মহান তানথের কারণ হয় ; অতএব ধীরের স্থাবর জঙ্গম সমুদায় বস্তুতে এক মাত্র পরমেশ্বরকে উপলব্ধি করিয়। এ লোক হইতে অবসৃত হইয়। অমর হয়েন । | s যদিও আমরদিগের ক্ষুদ্র বুদ্ধি ব্রহ্মের স্বৰূপকে পরিমিত পদার্থের ন্যায় বিশেষ করিয়া অ tয়ত্ত করিতে সক্ষম হয় না,তথাপি আমরা বুদ্ধির ভূমি সহজ জ্ঞান দ্বারা সকল কারণের কারণ ও সকল আধারের মুলাধার এবং সকল মঙ্গলের নিদান-ভূত বলিয়া উপহার পূর্ণ মঙ্গল-ভবকে নিঃসংশয় ৰূপে প্রতীতি করিয়া থাকি । জীবাত্মা ক্ষীণ-পাপ হইয়। সেই অনন্ত জ্ঞান-স্বৰূপ | মঙ্গল-স্বৰূপকে আপনার অন্তরে আশ্রয়-ৰূপে | উদ্দীপন সাক্ষাৎ উপলব্ধি করিতে পারে । এই প্রকারে এই পৃথিবীতেই থাকিয়। তাছাকে ক্তানিতে পারিলে জন্ম সার্থক হয় । তাহাকে জ্ঞান অপেক্ষা অামারদিগের জন্মের সার্থক্য আর কিসে হইতে পরে ? তিনি যে আমারদিগকে তঁহাকে জানিবার অধিকার প্রদান করিয়াছেন, ইহা তাহার সকল কুপার প্রধান কৃপা । আমরা এই ক্ষুদ্র তিমিরাবৃত পৃথিবীর জন্তু হইয়া সকলের অতীত, সত্য, থিয়তম পুরুষকে জানিতেছি, ইহা অপেক্ষ। আমারদিগের সৌভাগ্যের বিষয় আর কি
- F * r * i
- * , * , }
g թ
r * f আছে ? জগৎ কৌশল দেখিয়া কৌশল কৰ্ত্তার অনন্ত জ্ঞানের পরিচয় পাইতেছি, শুভেদ্দেশ্য নিয়ম-সকল দেখিয়া নিয়ন্তীর র্তাহার প্রতিষ্ঠিত ধৰ্ম্মাচরণ করিয়া আত্মাকে উন্নত করিতেছি এবং আমারদের সকলের প্রতি র্তাহার প্রেম দেখিয়া কৃতজ্ঞ হইয় তাহার প্রেমে মগ্ন হইতেছি । র্তাহাকে যদি এখানে থাকিয় না জানিলাম ও তাহার প্রেমে মগ্ন না রছিলাম এবং র্তাহার প্রতিষ্ঠিত ধৰ্ম্মাচরণ না করিলাম ; তবে আমারদের কি হইল ? কতক গুলিন সুবৰ্ণ মুদ্র। সংগ্ৰহ করিয়া, কি বিপুল যশোমান লাভ করিয়া, অথবা নিকৃষ্ট ইন্দ্রিয়মুখ ভোগ করিয়া কি মনুষ্যের আত্মা তৃপ্ত হইতে পারে? ভঙ্গর মৃন্ময় পদার্থে বা দোষ-গুণ-বিশষ্ট অপুর্ণ স্বভাবে প্রেম স্থাপন করিয়া কি প্রেমের সার্থক্য হইতে পারে ? যে ব্যক্তি সেই ব্রহ্মকে না জানিয়া—তাহার সহবাস-জনিত নিত্য ভূমানন্দ হইতে বঞ্চিত হইয়া পৃথিবীর কোন মলিন মুখে লিপ্ত থাকে, তাহার মহান অনর্থ উপস্থিত হয় । সে পুণ্য-লোক হইতে বহু দূরে ভ্রমণ করে। স্থাবর জঙ্গম সমুদায় বস্তুর কৌশল ও তৎপরতা আলোচনা দ্বারা ব্রহ্ম-জ্ঞানকে করিবেক আত্ম-প্রত্যয়কে পোষণ করিবেক । স্থাবর জঙ্গম সমুদয় বস্তু তঁহারই স্বাক্ট, তাহারই কৌশল ; তাহারা তাহারই মঙ্গল-ভাব প্রকাশ করিতেছে, তাহারই মহিমা প্রচার করিতেছে, র্তাহারই নাম ঘোষণা করিতেছে । কি জ্যোতি-র্বিদ্যা,কি ভুতত্ত্ববিদ্যা,কি চিকিৎসা বিদ্যা, কি মনোবিজ্ঞান, কি আত্মতত্ত্ব, . কি ধৰ্ম্মনীতি, সকল বিদ্যাই তাহার অনন্ত জ্ঞান ও মঙ্গল ভাবের উপদেশ দিতেছে । স্থাবর জঙ্গম বিবিধ বস্তুর গুণ ও সম্বন্ধ । \o
