পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২৩ আনন্দ সাগরে ভাসিতে লাগিল। যে নারী ভীষণ নরকের মধ্যে পতিত থাকিয়া লোকের অতিশয় স্থণার পাত্রী ছিল, যাহার সহিত বা ক্যালাপ করাও লোকে মহা অধৰ্ম্মাচরণ জ্ঞান করিত ভগবানের কৃপায় সাধুসঙ্গগুণে সে এখন ভক্তিমতী বলিয়া সাধক সমাজের বরণীয়া হইয়া

  • |

সংবাদ । আন্দুল আত্মোন্নতি সভা—গত ১৩ই আষাঢ় আন্দুল আত্মোন্নতি সভার ষান্মাসিক ব্রহ্মোৎসব ঈশ্বরের প্রসাদে নির্বিঘ্নে সুসম্পন্ন হইয়া গিয়াছে । শ্ৰীযুক্ত বাবু শ্ৰীশচন্দ্র মল্লিক ও শ্ৰীযুক্ত অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্তী অাচার্য্যের কৰ্ম্ম করিয়াছিলেন । তথাকার অনেক ভদ্রলোক উপাসনাতে যোগদান করিয়া পরিতৃপ্ত হইয়াছিলেন । বিস্তত বিবরণ স্থানাভাবে প্রকাশিত छ्ड्रेल न । বান্সি প্রার্থনা সমাজের কার্য্য বিবরণ— ১লা শ্রাবণ । অদ্য অামাদের আচার্য্য শ্ৰীযুক্ত বাবু কালীপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় মহাশয় স্থানান্তরে থাকায়, শ্ৰীযুক্ত বাবু গিরিশচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্তীর বাটীতে সমাজের উপাসনাদি হয় । প্রাতে প্রথমে আমি ‘ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মত ও বিশ্বাস” হইতে “মুক্তি” বিষয়ক উপদেশটী পাঠ করি এবং প্রার্থনা করি । শ্ৰীযুক্ত বাবু অম্বিকাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় সংগীত করেন এবং ভক্তি বিষয়ক কিছু উপদেশ দেন। প্রার্থনা ও উপদেশ প্রাণম্পর্শী হইয়াছিল। পরে স্থানীয় “অনাথালয়ে” অনাথ ও রুগ্ন বন্ধুদিগকে ধৰ্ম্মোপদেশ দিবার জন্য গমন করি । স্থানীয় স্কুলের সেক্রেটরি এবং স্থানীয় মেজিষ্ট্রেট এই দুই মহোদয়ের বিশেষ যত্নে এই “অনাথালয়ট” স্থাপিত হইয়াছে। এখানে প্রায় ২২ । ২৩টা অনাথ, রুগ্ন ও অসহায় ব্যক্তি স্থান পাইয়াছেন । এইস্থানে বৃদ্ধ । তত্ত্বৰোধিনী পত্রিকা १e रूछ, ७ छtनं ר অকৰ্ম্মণ্য পশুদিগকেও স্থান দেওয়া হয়। রুগ্নদিগের চিকিৎসার জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত আছে । অনাথগণ আমাকে অত্যন্ত প্রীতি করেন । আমি তাহাদিগকে মধ্যে মধ্যে ধৰ্ম্ম বিষয়ক উপদেশ প্রদান করি এবং ই-হাদিগকে লইয়া একত্রে প্রার্থনা করি । আদ্যকার প্রার্থনায় এবং উপদেশে সকলেই যোগ দিয়াছিলেন । মঙ্গলময়ের এমনি কৃপা, যে, যে সকল রুগ্ন যন্ত্রণায় ছট ফট্‌ করিতেছিলেন র্তাহারাও প্রার্থনায় যোগ দিয়াছিলেন এবং ক্ষণকালের জন্য সমস্ত যন্ত্রণা ভুলিয়া গিয়া উচ্চৈঃস্বরে পরমব্রহ্মের নাম গান করিয়াছিলেন । ১৫ই শ্রাবণ । আদা প্রাতে স্থানীয় আর্য্য সমাজের স্বামী ঈশ্বরানন্দ নামক জনৈক আর্য্যধৰ্ম্ম প্রচারকের সহিত “ব্রাহ্মধৰ্ম্ম ও আর্য্যধৰ্ম্ম” সম্বন্ধে কথাবার্তা হয় । ইনি এক জন সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত, সম্প্রতি কলিকাতায় গিয়াছিলেন । ই হার আদি ব্রাহ্মসমাজের উপর প্রগাঢ় ভক্তি আছে । ব্রাহ্মসমাজ ও আর্য্য সমাজ একত্রে মিলিত হইয়া কাৰ্য্য করা সম্ভব কি না এবিষয়েও কিঞ্চিৎ আলোচনা হয়। পরে স্থির হয় যে “যদি উভয় সমাজ কোন রূপে মিলিত হইতে পারে তাহা হইলে জগতে এক মহৎ কার্য্য সাধিত হইতে পারে অতএব এ বিষয়ে চেষ্টা করা কর্তব্য ।” তিনিও এ বিষয়ে চেষ্টা করিতে প্রতিশ্রুত হন। আমাদের সমাজের সহিত আর্য্যসমাজের অনেকটা ঐক্য আছে। কেবল ইহার পুনর্জন্ম মানেন এবং বেদকে অভ্রান্ত ঈশ্বরপ্রেরিত পুস্তক জ্ঞান করেন ইত্যাকার দুই একটী বিষয়ে আমাদের সহিত ইহঁাদের পার্থক্য । সায়ংকালে আচার্য্য মহাশয়ের বাটীতে সামাজিক উপাসনা হয় এবং আমি ধৰ্ম্ম বিষয়ক প্রবন্ধ পাঠ করি । ১৬ই শ্রাবণ । ধৰ্ম্মপ্রবর্তক ঈশ্বর সমীপে প্রচারের জন্য শক্তি ভিক্ষা করা হয় ; এবং আমি ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারের জন্য জীবন উৎসর্গ করি ।