পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छादिब **** মাপ্ত বলিয়া দেখিতে পাইবে । দেখিবে যেন এ জগতে কেবল তুমি অtছ আর তিনি আছেন । র্তাহার ক্রোড়ে শয়ান থাকিয়া অপূর্ব স্পর্শ মুখ অনুভব করিতে পরিবে। তখন যাহা কিছু তোমার পবিত্র প্রার্থনা থাকে,—যাহা কিছু নিবেদন থাকে, র্তাহtকে জানাইও, তিনি তাহা শ্রবণ করিবেন । তিনি বাঞ্ছা-কল্প-তরু, তিনি তোমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিবেন। তিনি আপনাকে দিয়া তোমার সকল কামনার পৰ্য্যাপ্তি করিবেন। কখনই শূন্য হস্তে ফিরিয়া আসিতে হইবে না । মনুষ্যের গণনায় যাহা ঘটিবার নহে, তাহ। তাহার সাধনার দ্বারা ঘটিয়া থাকে, যাহা দেখিবার নহে তাহা দেখা যায়—যাহা শুনিবার নহে তাহা শুনা যায় । সাধকেরা সাধনা দ্বারা এই সকল সত্য আপন আপন জীবনে মিলাইয়া লইয়াছেন ; এই নিমিত্তেই ভক্তেরা বলেন, র্তাহার কৃপা হইলে অন্ধ চক্ষু পায়, খঞ্জ গিরি লঙ্ঘন করে। অতএব তাহার প্রদত্ত সহজ জ্ঞানকে অtশ্রয় করিয়া, তাহার কৃপার উপর নির্ভর করিয়া আমরা যদি ভক্তিযোগে ঈশ্বরকে লাভ করিতে চেষ্টা করি, তাহা হইলে নিঃসংশয়ে এলোকেই তাহাকে প্রাপ্ত হইয়া জীবনের ফল লাভ করিতে পারি। ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । গুরু ও শিষ্য সম্বন্ধে শাস্ত্রমত । পুৰ্ব্ব প্রকাশিতের পর। পূর্বোক্ত লক্ষণে বুঝাগেল যদ্বারা অন্ধকার বা অজ্ঞান নষ্ট হয় তাহাকেই গুরু বলা যায় । ফলত গুরু বলিলেই সৰ্ব্ব প্রথমে সেই অদ্বিতীয় পরমেশ্বরকেই বুঝায় ও তৎপরে যিনি উপ গুরু ও শিষ্য সম্বন্ধে শাস্ত্রমত ృ0్ఫ দেশ দ্বারা শিষ্যকে সেই পরব্রহ্ম বিষয়ক জ্ঞান প্রদান করেন তিনিও গোণার্থে গুরুপদ বাচ্য । আমরা এই প্রবন্ধে গুরুশব্দের গোণার্থ লইয়াই বিচার করিব । এখন গুরু কাহাকে বলে তাহ! সামান্যরূপে কথিত হইল। সম্প্রতি সেই গুরুর লক্ষণ কি তাহা বলা আবশ্যক । যিনি সদগুরু ডাহাতে অবশ্যই সমস্ত উত্তম লক্ষণ দৃষ্ট হয়, কারণ যে জন সে বিষয়ে পারদর্শী নহেন তিনি কদাচ সে বিযয় উত্তম রূপে শিক্ষা দিতে সমর্থ হইতে পারেন না । অথর্ক দে লিখিত আছে “আচার্য্যো ব্রহ্মচর্য্যেণ ব্রহ্মচারিণমিচতে ” ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে আচাৰ্য্য অর্থাৎ যিনি অসত্যাচরণ পরিত্যাগ পূর্বক সত্যাচার গ্রহণ তথা অনর্থ ত্যাগ পূর্বক অর্থ গ্রহণ করেন এরূপ সাধু ব্যক্তি ব্ৰহ্মচর্য্য অর্থাৎ ইন্দ্রিয়দমন ও সত্যবিদ্যার অনুশীলন করিয়া বিদ্যার্থী ব্রহ্মচারীদিগকে জ্ঞান প্রদানে সক্ষম হয়েন । গুরুকে গুরুপদে বরণ করিবার পূর্বে শিষ্যের জানা কর্তব্য যে র্তাহার ভাবি গুরু বাস্তবিক গুরুপদের যোগ্য কি না এই জন্য শাস্ত্রোক্ত সদগরুর লক্ষণ শিষ্যের জানা আবশ্যক। গুরুর লক্ষণ বিষয়ে অামাদিগের শাস্ত্রে এত বিস্তারিত লেখা আছে যে তাহা উল্লেখ করিতে হইলে এক প্রকাগু ব্যাপার হইয়া পড়ে। অতএব আমি t ংক্ষেপেই তাহার দুই চারিটা উদ্ধৃত করিব । যথা— “শাস্তোদাস্তঃ কুলীনশ্চ বিনীতঃ শুদ্ধবেশবান । শুদ্ধাচারঃ সু প্রতিষ্ঠঃ শুচিৰ্দক্ষ: সুবুদ্ধিমান ॥ সদাচার: কুশলধী: সৰ্ব্বশাস্ত্রার্থপারগঃ । নিত্যনৈমিত্তিকানtঞ্চ কার্য্যানাং কারকঃ গুচিঃ ॥ দয়াবান শীলসম্পন্নঃ সৎকুলীনো মহামতিঃ । श्रब्रनां८ब्रबू विभूषा नृङ्गनझझटक विजः ॥” ऐउTांनि যিনি শমগুণাবলম্বী যিনি ইন্দ্রিয়