পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০২ १०, कन्न ७ छांत्र নিগ্রহসাধনে যুক্ত, যিনি আচার, বিনয়, বিদ্যাদি সম্পন্ন যিনি সরল স্বভাব, যিনি শুদ্ধচিত্ত ও শুদ্ধাচার ও যিনি স্থপ্রতিষ্ঠ, শুচি, দক্ষ ও সুবুদ্ধিমান তিনিই গুরুপদ বাচ্য। যে মহাত্মা সদাচার সম্পন্ন, কুশল বুদ্ধিযুক্ত ও সর্বশাস্তে পারদর্শী তথা নিত্য নৈমিত্তিক কাৰ্য্য করণে পটু এবং যিনি অন্তর্বাহ্যে শুচি তিনিই গুরুরূপে বরণ করিবার উপযুক্ত পাত্র। যে মহামতি দয়ালু ও শীলসম্পন্ন ও সদ্বংশজাত তথা য়ংও সৰ্ব্বগুণে ভূষিত ও যিনি পরস্ত্রীতে সৰ্ব্বদা কায়মনোবাক্যে বিরত এবং দৃঢ়সংস্কল্পযুক্ত তিনিই যথার্থ গুরুপদবাচ্য। সদগরু যেরূপ পূজ্য অসদারু তদ্রুপ বর্জনীয়। যাহাতে সদগরুর লক্ষণ নাই তিনিই অসৎ গুরু । রোগ সম্পন্ন,স্ত্ৰীবশীকৃত,মুর্থ দুষ্ট ও সংক্রামক রোগসম্পন্ন মনুষ্যকে কদাপি গুরুরূপে বরণ করিবে না । বর্জনীয় গুরুর লক্ষণ বিষয়ে দুই একটা বাক্য এস্থলে উদ্ধত হইতেছে। যথা— “হীনাঙ্গঃ কপটী রোগী বহুবাশী বহুজল্পকঃ । এতৈদোষৈ ৰ্বিমুক্তে যঃ সগুরুঃ শিষ্যসম্মতঃ ॥ জলরক্তবিকারঞ্চ বর্জযেন্সতিমান সদা সদা মহাসরসংযুক্তং গুরুং তন্ত্রেণ বর্জয়েৎ ” শাস্ত্রা- ৷ মুযায়ী শ্বিত্রী, গলৎকুষ্ঠ রোগী, নেত্র- ; বহুভোজী ও যিনি অনর্থক অনেক কথা । বলেন, এই সমস্ত দোষ হইতে যিনি মুক্ত তিনিই যথার্থ সদগরু। জলরক্তবিকার দোষ সম্পন্ন তথা মৎসর গুরুকে মতিমান পুরুষ এককালে ত্যাগ করিবেন। গুরুর নিকট শিষ্যকে সৰ্ব্বদা থাকিতে হয়, । তিনি রক্ত বিকারাদি রোগ সম্পন্ন হইলে পাছে শিষ্যকে সেই সমস্ত রোগ আক্রমণ করে এই জন্য রোগী গুরুকে ত্যাগ করার বিধি শাস্ত্রে লিখিত আছে । গুরু সৰ্ব্বদাই শিষ্যের কল্যাণ প্রার্থনা করেন ও তৎসঙ্গে গুরুর শারীরিক উষ্মামণ্ডল কতক পরিমাণে শিষ্যের শরীরে প্রবেশ করে, এই জন্য গুরুর কোন রূপ সংক্রামক রোগ থাকিলে তাহাকে গুরুপদে বরণ করা কুর্তব্য নহে । আমাদিগের ধৰ্ম্মশাস্ত্রের মতে এই জন্য রোগীকে প্রণাম করিতে নিষেধ দেখিতে পাওয়া যায়। গুরুর বাস্থ শরীরের লক্ষণ অপেক্ষা অন্তলক্ষণের দিকে দৃষ্টি রাখা শিষ্যের অবশ্য কর্তব্য কিন্তু তা বলিয়া বহিলক্ষণ সকল একবারেই ত্যাগ করিবার নহে । “অবিদ্যায়ামন্তরে বর্তমানাঃ স্বয়ং ধীরাঃ পণ্ডিতষ্মন্ত্যমানাঃ । জভঘন্তমানাঃ পরিযন্তি মূঢ়৷ অন্ধেনৈব নীয়মানা যথাদ্ধাঃ ॥ মুণ্ডক । উপরোক্ত মন্ত্রের তাৎপর্য্য এই যে, অবিদ্যা অর্থাৎ অনিত্য অশুচি দুঃখ ও শরীরাদি অনাত্ম পদার্থকে যথা ক্রমে নিত্য শুচি, সুখ এবং আমি ও আমার ইত্যাকার জ্ঞানকে অবিদ্যা বা বিপরীত বুদ্ধি বলে। এই অবিদ্যার অন্তরে বর্তমান থাকিয়। অর্থাৎ পূর্ণরূপে অবিদ্যাযুক্ত হইয়। অর্থাৎ যে ব্যক্তি হীনাঙ্গ, কপট, রোগী, । যে সকল মূঢ় অবিবেকী ব্যক্তি মনে মনে আপনাকে মহান পণ্ডিত ও সুধীর বলিয়া জ্ঞান করেন র্তাহারা আপন অt পন প্রতিকূল উপদ্রবে পীড্যমান হইয়। বারংবার সংসারে কষ্টভোগ করিয়া থাকেন । যেরূপ এক অন্ধ ব্যক্তি অন্য অন্ধ কর্তৃক নীত হইলে গৰ্ত্ত কৃপাদিতে পতিত হয় তদ্রুপ মোহান্ধ ব্যক্তি শাস্ত্রসম্মততত্ত্বজ্ঞান-রহিত সৎ-অসৎ-বিবেক-বুদ্ধি-বর্জিত হইয়া, কল্যাণ মার্গ হইতে বিক্ষিপ্ত হইয়া,