পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रांचिन »v** গুরু ও শিষ্য সম্বন্ধে শাস্ত্রমত ჯov9 বিভ্রান্ত হইয়া ঘুরিয়া বেড়ান। অতএব যে ব্যক্তি সাধন দ্বারা তত্ত্বজ্ঞান প্রাপ্ত হন মাই তাহার নিকট হইতে উপদেশ গ্রহণ করা এক অন্ধ ব্যক্তি কর্তৃক অন্য অন্ধ ব্যক্তি নীত হওয়ার ন্যায় কেবল দুর্দশার কারণ হইয়া থাকে । এখন গুরুর লক্ষণ সামান্য রূপ কথিত হইল। সম্প্রতি শিষ্যের লক্ষণ বিষয়ে কিছু বলা আব শ্যক । পূর্বে কথিত হইয়াছে যে যিনি শ্রদ্ধাবান অর্থাৎ ন্যায় সত্য এবং মঙ্গলের প্রতি র্যাহার অটল বিশ্বাস তিনিই শাস্ত্রানুমোদিত শিষ্য । শাস্ত্রে লিখিত আছে

  • শাস্তোবিনীতঃ শুদ্ধাত্ম শ্রদ্ধাবান ধারণক্ষমঃ । সমর্থশ্চ কুলীনশ্চ প্রাজ্ঞঃ সচ্চরিতে ব্ৰতী ॥ বাত্মনঃ কায়বমুভি গুরু শুশ্রীষণে রতঃ । এতাদৃশগুণোপেতঃ শিষ্যো}ভবতি,নারদ ॥ দেবতাচাৰ্য্যগুশ্রুষাং মনোবাক কায় কৰ্ম্মভিঃ । শুদ্ধভাবে মহোৎসাহো বোদ্ধা শিষ্য ইতি স্মৃতঃ ॥ যত্ত্বাচার্য্যপরাধীনস্তস্বাক্যং শাস্যতে হৃদি। শাসনে স্থিরবৃত্তিশ্চ শিয্যঃ সক্তি রুদাহৃত: ॥

অর্থাৎ যে ব্যক্তি শান্ত,বিনীত,শুদ্ধচিত্ত, শ্রদ্ধাবান, সত্যোপদেশ ধারণে সক্ষম ও সমর্থ, তথা যিনি কুলীন, প্রাজ্ঞ, সচ্চরিত্র ও জিতেন্দ্রিয় তিনিই যথার্থ শিষ্যের উপযুক্ত। হে নারদ, যে শিষ্য কায় মন বাক্যে দেবতা অর্থাৎ বিদ্বান ও আচাৰ্য্যাদির সেবায় রত থাকেন তথা যিনি শুদ্ধ স্বভাবযুক্ত উৎসাহী ও ধারণক্ষম তিনিই শাস্ত্রসম্মত শিষ্য । যে শিষ্য আচার্য্যের প্রতি শ্রদ্ধাবান হইয়া সৰ্ব্বদা তাহার উপদেশ হৃদয়ে ধারণ করেন ও যিনি শাসনের অন্যথাচরণ করেন ন। তিনিই সাধুসন্মত শিষ্য। এখন বেশ বুঝা যাইতেছে যে কেবল গুরুরই বিশিষ্ট গুণ থাকা আবশ্যক তাহা নহে শিষ্যেরও নানা রূপে সুযোগ্য হওয়া বিশেষ কর্তব্য। উর্বর ক্ষেত্রে বীজ বপন । করিলে উত্তম ফল পাওয়া যায়, মরু ভূমিতে বীজ বপন করিলে শস্য উৎপন্ন হওয়া দূরে থাকুক বীজই নষ্ট হইয়া যায়। অসৎ পাত্রে বস্তু প্রদান করিলে দাতাকে নরকগ্রস্ত হইতে হয় ইহা শাস্ত্রের বিধি । মন্দলোকে সদ্বস্তুর অসৎ ব্যবহার করিয়৷ লোকের সর্বনাশ করিয়৷ থাকে । গীতাশাস্ত্রে লিখিত আছে—

  • ইদন্তে নাতপস্কায় নাভ স্ক্রয় কদাচন। 輸

ন চা শুশ্রীষবে পাচাং ন চ মাংযেfইভাস্থ্যতি’’ ॥ গীতা অধ্যায় ১৮ শ্লো ৬৯ ৷ হে অৰ্জ্জুন ! তুমি এই গীতা শাস্ত্র তপস্যাহীন ভক্তিবর্জিত গুরুসেবাহীন এবং আমার বিদ্বেষী ব্যক্তিকে কদাচ উপদেশ করিও না । অধিকারী না হইলে কেহই কোন কৰ্ম্ম করিতে সমর্থ নহেন। বেদান্তাদি ধৰ্ম্ম শাস্ত্রের উপদেশ অধিকারী ব্যতীত অন্য লোককে দিবার বিধি নাই ও দিলেও তাহারা বুঝিতে পারেন না । অনধিকারী ব্যক্তিকে প্রকৃত গুঢ়তত্ত্বের উপদেশ দিলে পাছে বিপদ ঘটে এই আশঙ্কায় গীতা শাস্ত্রে লিখিত আছে— “ন বুদ্ধিভেদং জনয়েদজ্ঞানাং কৰ্ম্মসঙ্গিনাম”। গীত। অধ্যায় 3। অর্থাৎ অজ্ঞান সংসারাসক্ত ব্যক্তিগণের বুদ্ধিভেদ করাইবে না । যেমন জ্ঞান-শিক্ষা চাই তেমনি কর্তর্য কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান চাই ; দুয়ের একতমের অভাবে অন্যটি অঙ্গহীন হয় । শ্ৰীকৃষ্ণ বলেন— “ন কৰ্ম্মণামনারম্ভাং নৈষ্কৰ্ম্ম্যং পুরষোংস্কৃতে । ন চ সন্ন্যসনাদেব সিদ্ধিং সমধিগচ্ছতি” ॥ शैौऊी अथTांब्र ७ ८ल्लांक 8 । অর্থাৎ কর্তব্য কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান না করিলে কদাচ নিক্রিয় ভাবের উৎপত্তি বা