পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

08 তত্ত্ববোধিনী পত্রিক

  • ७, कछ * ॐण

জ্ঞান লাভ হয় না। চিত্তশুদ্ধি ব্যতীত কেবলমাত্র नब्रांन দ্বারা সিদ্ধিপ্রাপ্তি বা জ্ঞানোদয় হয় না। অতএব যে ব্যক্তির কর্তব্য কৰ্ম্ম সাধন দ্বারা চিত্তশুদ্ধি হয় নাই ব্ৰহ্মজ্ঞান তাহার করায়ত্ত হইতে পারে না । যিনি প্রকৃত অধিকারী না হইয়া সেই পরমসূক্ষ অধ্যাত্ম বিদ্যার সমস্ত বুঝিতে পারিয়াছি মনে করিয়া তদনুযায়ী বাক্যমাত্র মুখে প্রয়োগ করেন অথচ কার্য্যে কিছুই সম্পন্ন করিতে সমর্থ নহেন এইরূপ জ্ঞানাভিমানী ব্যক্তি জ্ঞান হইতে বহুদূরে অবস্থিতি করেন । এই জন্য সাধক ও ধাৰ্ম্মিক মনুষ্যদিগের সম্বন্ধে শুষ্ক জ্ঞানালোচনায় কুলিক্ষেপ না করিয়া ব্রহ্মোপাসনা শমদমাদি এবং যথাক্রমে মৈত্রী করুণ। মুদিত উপেক্ষ এই চারিট সাধন তথ। অভ্যাস বৈরাগ্যের দ্বারা চিত্তবৃত্তি নিরোধ করিবার উপদেশ সৎশাস্ত্রে দেখিতে পাওয়া যায়। ব্ৰহ্মজ্ঞানের অধিকারী হইতে হইলে অধৰ্ম্ম, অবিদ্যা, কুসঙ্গ, কুসংস্কার ও দুষ্ট ব্যসন পরিত্যাগ করিয়া সত্যভাষণ পরোপকার, বিদ্যা প্রভৃতি গুণ অবলম্বন করিতে হয় । অপক্ষপাত তথা বিবেক দ্বারা সত্যাসত্য ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্য নিশ্চয় পূর্বক শরীর ও পঞ্চকোষস্থিত আত্ম। বিচার করিতে হয়। পরে পৃথিবী হইতে পরব্রহ্ম পৰ্য্যন্ত সমস্ত পদার্থের গুণ কৰ্ম্ম ও স্বভাব বিচার পূর্বক ঐছিক ইন্দ্রিয়জনিত মুখ অনিত্য জানিয়া, অসত্যাচরণ পরিত্যাগ করত, দশ ইন্দ্রিয় তথা মনকে নিগ্রহ করণানন্তর দুষ্টকৰ্ম্ম ও দুষ্টব্যক্তির সঙ্গাদি হইতে দূরে থাকিয়া, নিন্দাস্তুতি হানি ও লাভ আদিতে হর্ষযুক্ত বা শোকান্বিত না হইয়া চিত্তের একাগ্রতা সম্পাদন করা কৰ্ত্তব্য । এইরূপ সাধনযুক্ত মমুষ্যের মুক্তির জন্য লীলায়িত হইয়া থা কেন। যেরূপ ক্ষুধাতুর বা তৃষ্ণাৰ্ত্ত ব্যক্তির অন্ন ও জল ব্যতীত স্ববর্ণাদি কিছু ভাল লাগে না তদ্রুপ মুমুক্ষু ব্যক্তির ঈশ্বরাশ্রয়ে মুক্তির আনন্দ ভোগ ব্যতীত আর কোন পার্থিব সুখের অভিলাষ থাকে না। এইরূপ সাধনযুক্ত মনুষ্যেরাই গুরু সন্নিধানে ব্রহ্মোপদেশ গ্রহণ করিবার উপযুক্ত পুত্র। ভগবান অষ্টাবক্র মুনি যখন মহারাজ জনককে উপদেশ দেন তখন প্রথমেই বলিয়াছিলেন “মুক্তিমিচ্ছলি চেৎতাত বিষয়ান বিষবংত্যজ” “ক্ষমাজব দয়াতোষ সত্যং পিযুষবদভজ” ॥ অর্থাৎ হে বৎস ! যদি তুমি মুক্তি ইচ্ছ কর তবে বিষয় বা বাসনাকে বিষবৎ ত্যাগ কর ও ক্ষমা ঋজুতা দয়া, সন্তোষ ও সত্যকে অমৃতের ন্যায় গ্রহণ কর । উপরোক্ত শ্লোক দ্বারা বেশ বুঝা যাইতেছে যে মুক্তির অধিকারী হইবার পূর্বে মনুষ্যের তদুপযোগী মনের পবিত্র এবং উন্নত অবস্থা আবশ্যক। সাধনবিহীন অনধিকারাকে ব্রহ্মবিদ্যার উপদেশ দিলে প্রায়ই অনেক সময় হিতে বিপরীত হয় । কারণ অনুপযুক্ত সাধনহীন ব্যক্তির সূক্ষোপদেশ ধারণ করিবার ক্ষমতা নাই। কাজেই র্তাহার। বুঝিতে না পারিয়া অনেক সময়ে প্রমাদ ঘটান। পাঞ্জাব দেশে বেদান্তের দোহাই দিয়া সেখানকার সাধুনামধারী কপটাচারী ব্যক্তিরা বিবিধ প্রকার ব্যভিচার দোষে দূষিত হইয়া থাকেন। অনেকের ধারণা যে যদি শিষ্য সাধনচতুষ্টয়-সম্পন্ন হইলেন তবে আর র্তাহার পক্ষে অধ্যাত্ম জ্ঞানের উপদেশের প্রয়োজন কি ? অজ্ঞ লোকে না বুঝিয়া এরূপ প্রশ্ন করে । অধিকারী হইলেই যে লোকে তৎক্ষণাৎ কোন বিশেষ বিষয়ে বিনা চেষ্টায় পারদর্শী হন ইহা কোন শাস্ত্র