পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

به د " و ":ntftه গুরু ও শিষ্য সম্বন্ধে শাস্ত্রমত c{ ങ്ങ=ജ ുജ്ജ-ജ്ജ वा शूडि बांद्रा थबांनिउ श्ध्न मा । यनेि কোন মনুষ্য ব্যাকরণ পাঠ করিয়া অপরাপর শাস্ত্র পাঠ করিবার অধিকারী হন তবে কি তিনি সেই সমস্ত শাস্ত্র পাঠ না করিয়াই তদ্বিষয়ে পারদর্শী হইতে পারেন ? কখনই নহে। এই জন্য ব্রহ্মজ্ঞানের কঠিন ও গুহ্য মৰ্ম্মার্থ ধারণ করিবার জন্য শিষ্যের সাধন চতুষ্টয় সম্পন্ন হওয়া আব भं; क ! বেদান্তশাস্ত্রে লিখিত আছে— “অধিকারিণমাশাস্তে ফলসিদ্ধিবির্বশেষতঃ । উপায়া দেশ কালাদ্যtঃ সস্ত্যস্মিন সহকালিণঃ ॥ অতোবিচারঃ কৰ্ত্তব্যে জি জ্ঞাসোরাত্মবস্তুনঃ । সমাসাদ্য দয়াসিন্ধুং গুরুত্ৰহ্মবিদ্যুত্তমম্। মেধাবী পুরুষোবিদ্বানুহপোচবিচক্ষণঃ। অধিকাৰ্য্যাত্মবিদ্যায়৷ মুক্তলক্ষণলক্ষিতঃ ॥ বিবেকিনো বিরক্তস্য শমাদি গুণশালিনঃ । মুমুক্ষোরেব হি ব্রহ্মজিজ্ঞাসাযোগ্যতা মত ॥ সাধনান্যত্র চত্বারি কগিতানি মনীষিভিঃ । ষেষু সংশ্বেব সন্নিষ্ঠ যদভাবে ন সিধ্যতি ॥ আদৌ নিত্যানিত্যবস্তুবিবেকঃ পরিগণ্যতে। ইহামুত্রফলভোগবিরাগস্তদনন্তরম্ ॥ শমাদিযটুকসম্পত্তি মুকুত্ত্বমিতি ফ টম । বিবেক চূড়ামণি শ্লোক ১৪-২• । অর্থাৎ ফলসিদ্ধি বিশেষরূপে অধিকারীকে আকাঙ্ক্ষা করে, কারণ সহকারী যে দেশ কালাদি উপায় সমূহ তাহ সমস্তই অধিকারীকেই আশ্রয় করিয়া থাকে অর্থাৎ প্রকৃত অধিকারীর অভাব হইলে দেশ কালাদি সহকারী উপায় দ্বারা কোন ফল লাভ করা যায় না । এই জন্যই জিজ্ঞাস্থ ব্যক্তির দয়াসিন্ধু ব্রহ্মবিদ গুরুকে প্রাপ্ত হইয়। আত্মতত্ত্ব বিচার করা কর্তব্য । মেধাবী বা স্মৃতিশক্তিসম্পন্ন, বিদ্বান, সন্দেহ-নিরাসে দক্ষ এবং কথিত আত্মজ্ঞান লক্ষণে লক্ষিত পুরুষই ব্রহ্মবিদ্যার অধিকারী হয়েন । বিবেক ও বৈরাগ্য সম্পন্ন তথা মন ও ইন্দ্রিয়গণের নিগ্রহকারী মুমুক্ষু ব্যক্তিই ব্ৰহ্ম জিজ্ঞাসার উপযুক্ত পাত্র,অপরে নহে । এই ব্রহ্মজিজ্ঞাসা বিষয়ে পণ্ডিতগণ চারি প্রকার সাধনের উল্লেখ করিয়াছেন। সাধকের এই সমস্ত সাধন সম্পন্ন হইলে t ব্রহ্মনিষ্ঠা লাভ হয় এবং ইহাদিগের অভাবে সিদ্ধিরও অভাব ঘটিয়া থাকে। এই চতু বিবধ সাধনের মধ্যে সর্বপ্রথমে নিত্যা নিত্য-বস্তু-বিষয়ক বিচার । তদনন্তর ইহ লোক ও পরলোকে ফলভোগেচছ" ; বি রাগ । তৎপরে শম দম উপরতি তিতিক্ষ শ্রদ্ধা ও সমাধান এই ষটক সম্পত্তি কথিত হইয়া পরে মুমুক্ষুত্ব হইয়াছে। এখন শিষ্যের প্রকৃত অধিকারী হওয়া তাfবশ্যক তাহা সামান্যরূপে কথিত হইল। সম্প্রতি হয় অনধিকারী ও মন্দ-লক্ষণ-যুক্ত শিষ্যের বিষয়ও কিছু বলা আবশ্যক। যাহাতে উত্তম শিষ্যের বিরুদ্ধ লক্ষণ দৃষ্ট সেই ব্যক্তিই নিষিদ্ধ-লক্ষণ-যুক্ত শিষ্য ; যথা ক্রর শঠ, খল স্বার্থী ইত্যাদি মন্দ লক্ষণযুক্ত শিষ্যকে গুরু কদাপি উপদেশ দিবেন না । শাস্ত্রে লিখিত আছে— “পাপিনে ক্র রচেষ্টায় শঠায় কৃপণায়চ । দীনায়াচারশূন্যায় মন্ত্রদ্বেষ পয়ায় চ। নিনাকায় চ মুখায় তীর্থদ্বেষপরায়চ। গুরুভক্তিবিহীনায় ন দেয়া মলিনায় চ ॥" অর্থাৎ পাপী, ক্রর চেষ্টা যুক্ত,শঠ,কৃপণ, ভীরু, আচারশূন্য, বেদদ্বেষী, নিন্দক, মৃৰ্থ, সাধুবিদ্বেষী, গুরুভক্তিহীন ও মলিনচিত্ত শিষ্যকে গুরুর কদাপি উপদেশ দেওয়া কর্তব্য নহে । যদি সদগুরু প্রাপ্ত হওয়া না যায়, অসদগুরু কদাচ গ্রহণ করা কর্তব্য নহে । আমাদিগের দেশে অসৎ গুরু গ্রহণ করিয়াই লোকে এত কষ্ট ভোগ করিতেছেন । মহাত্মা কবির দাস বলিয়াছেন . যে যদি গুরু ও শিষ্য উভয়েই লোভ