পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रॉबिन >*** বেদ ও ব্রাহ্মধৰ্ম্ম |* | | | সংগচ্ছধবং সংবদধবং সংবো মনাংসি u b - I - জানতাম। দেবাভাগং যথা পূর্বে সংজানানা | « - ... து) фавна coউপাসতে | হুে তত্ত্বজিজ্ঞাস্থ, প্রেমপিপাসু, মোক্ষাভিলাষি, তোমরা সকলে সত্বর আগমন কর এবং একপ্রাণ, একহৃদয় হইয়া প্রীতিপূর্বক পূর্বকালের ঋষিগণের ন্যায় এই সুপ্রাচীন ব্রাহ্মধৰ্ম্মের জয়ঘোষণায় প্রবৃত্ত হও । বিবাদ বিসম্বাদ সৰ্ব্বথা পরিহার পুরঃসর উপনিষদ-প্রতিপাদ্য ব্রহ্মজ্ঞানে বিশ্বাস স্থাপন কর । হে প্রবৃদ্ধ তাত, প্রেমাম্পদ বন্ধে, এবং কল্যাণীয় ৎসগণ, অতি পুরাকালে রত্নপ্ৰসবিনী ভারতভূমি জগন্মান্য ছিলেন। প্রাচীন ভারত বিশ্বোজ্জল রত্ন সমূহ প্রসব করিয়া স্বীয় রত্নগর্ভা নামের স্বার্থকতা বিধান করিয়াছেন । ভারতীয় আর্য্য বংশধরগণ অপূৰ্ব্ব তর্কশক্তি, অগাধ শাস্ত্রজ্ঞান এবং আলোকসামান্য বুদ্ধি-মহিমা বিকাশ করিয়া, ভূমণ্ডলস্থ তাবৎ জাতিকে একদ। অতিক্রম করিয়াছিলেন। পূর্বকালে যখন প্রায় সমুদায় অবনীমণ্ডল অজ্ঞতার ঘোরা অমানিশীথে আচ্ছন্ন ছিল তখনও ভারত বিদ্যা ও সভ্যতার বিমল রশ্মিজাল বিকীর্ণ করিয়া চতুর্দিক প্রভাময় করিয়া তুলিয়াছিল। প্রতিচী সভ্যতার উপদেষ্ট রোম ও গ্রীস সাম্রাজ্য যখন অনাগত কালগৰ্ত্তে নিহিত ছিল, সে সময়েও ভারত জগৎকে বিবিধ জ্ঞান বিজ্ঞানে দীক্ষিত করিয়াছিলেন । তীক্ষ্ণমনীষা-সম্পন্ন আর্য্যগণ আদিম

  • কোন এক উপাসনা সভায় পঠিত।

८नि ७ डॉंकाशं ృం 9 কালে যে সমস্ত মত উদ্ভাবিত করিয়া গিয়াছেন, ইউরোপীয় পণ্ডিতমণ্ডলী সেই সকল তত্ত্বের আশ্রয়-বলেই বিজ্ঞানের এতদূর অসাধারণ উন্নতি-সাধনে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন। পঞ্চনদের পুতসলিলস্বস্নিগ্ধ প্রদেশে মহর্ষিগণ যে বেদগানে আর্য্যাবৰ্ত্তকে একদা সঙ্গীতময়, সৌন্দর্য্যময় এবং স্বৰ্গময় কলিয়। তুলিয়া ছিলেন,সেই বেদের তুল্য প্রাচীন গ্রন্থ ভূমণ্ডলে অlর দ্বিতীয় নাই। গ্রীস ও পারস্য দেশবাসী হোমার ও জৌরাস্তার প্রণীত গ্রন্থাবলীও বেদের তুলনায় অল্প দিবসই । রচিত হইয়াছে । বেদ আৰ্য্যধৰ্ম্মের শিরোভাগ ; আর্য্য হৃদয়ের দপণস্বরূপ । ইহাতে ত্রিদিবের সৌন্দৰ্য্য, মাধুর্য্য এবং গাম্ভীৰ্য্য একত্র অপূৰ্ব্বভাবে প্রতিভাত রহিয়াছে। র্যাহারা ব্ৰহ্মাণ্ডব্যাপিনী বিবিধবিষয়িনী বিদ্যার প্রিয়তম পুত্র বলিয়া এক সময়ে ভূমণ্ডলে পরিচিত ছিলেন, র্যাহার। পরম জ্ঞানী বলিয়া আর্য্যদিগের শিরোভূষণ হইয়াছিলেন অদ্য র্তাহারা হতমান হৃতসৰ্ব্বস্ব ও অনহ্মর হইয়া আসার ভারভূত যন্ত্রণাময় জীবন বহন করিতেছেন। সেই আর্য্যজাতি কি এই আর্য্যজাতি । দীর্ঘকায় ও বামনে, বলী ও ক্ষীণে, সিংহ ও শৃগালে, অর্ণব ও কূপে, প্রভাকর ও খদ্যোতে যত বৈলক্ষণ্য, আদিম ও আধুনিক আর্য্যে তদপেক্ষাও অধিক। ভারতশরীরে জাতীয় জীবনস্রোত এক্ষণে রুদ্ধগতি ; তাহার আকাঙক্ষ নাই, আশা নাই, উদ্যম নাই উৎসাহ নাই। সেই শুভ সময় ভারতভাগ্যে আবার কবে উপস্থিত হইবে, যখন হিমাচল হইতে মৃদূর কন্যা কুমারিকা পৰ্য্যন্ত নানা দর্শন বিজ্ঞান সহকৃত, ঋষিমণ্ডলীসেবিত, সদর্থপূর্ণ ব্রহ্ম বাক্য নভোমণ্ডলে সমুথিত হইয়। দিজু গুল