পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ზაახ• পুনরায় প্রতিধ্বনিত করিয়া তুলিবে, এবং বেদবেদান্তপ্রতিপাদ্য ব্রাহ্মধৰ্ম্ম ভারত সিংহাসনে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হইয়া ভারত i সমাজের অসাধারণ কল্যাণ সাধন করিবে । ফলতঃ সংসারের সকলই পরিবর্তনশীল। চক্রনেমির আবর্তনের ন্যায় বিশ্বের তাবৎ পদার্থ কালবশে নিয়ত ঘূর্ণিত হইতেছে। যখন সেশ্বর বেদ-বিহিত ধৰ্ম্ম বিলুপ্ত হইতে আরম্ভ হইল যখন কাল্পনিক ধৰ্ম্ম বহুল পরিমাণে এদেশে প্রচারিত হইতে লাগিল তখন সেই ঘোর আমারজনীগ্রস্ত ভারত সমাজকে ধৰ্ম্মবিপ্লব হইতে উদ্ধার । করিবার সৰ্ব্বশাস্ত্রপারদর্শী ব্রহ্মবাদী মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় মধ্যাহ্ন প্রভাকরের ন্যায় ভারতগগনে সমুদিত হইয়। প্রোজ্জ্বল প্রভাজাল বিস্তার পূর্বক ভ্রম ও কুসংস্কারের ঘোরান্ধকার বিদূরিত করিয়া বেদ পুরাণ ও তন্ত্রের সারভূত ব্ৰহ্মজ্ঞান ভারতের সীমা হইতে সীমান্তর পর্য্যন্ত প্রচার করিয়াছিলেন। তৎপরে যিনি অল্পবয়সে পার্থিব ধন মান তুচ্ছ করিয়া কঠোর বৈরাগ্যের সহিত । প্রকৃত তত্ত্বানুসন্ধানে বহুদিন অতিবাহিত করিয়া ছিলেন, রাজার রাজ্য পৃথিবীর ভোগ ঐশ্বৰ্য্য র্যাহাকে এই অধ্যবসায় হইতে বিরত করিতে পারে নাই, বঙ্গদেশের—সমস্ত ভারতের মুখ শ্ৰীউজ্জ্বল করিবার জন্য—ইহার ব্যাপক কালের অজ্ঞান অন্ধকার নিরাস করিবার জন্য, ইহাকে পূৰ্ব্বগৌরবে গৌরবান্বিত করিবার জন্য স্বয়ং ঈশ্বর র্যাহার হৃদয়ে স্বহস্তে ধৰ্ম্মবীজ বপন করিয়া ছিলেন সেই পূজ্যপাদ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রহ্মজ্ঞান পুনরায় বিলুপ্ত হইবার উপক্রম দেখিয়া ব্রাহ্মসমাজকে আসন্ন মৃত্যু হইতে রক্ষা করিবার জন্য বদ্ধপরিকর হইয়া ছিলেন এবং বেদ হইতে তত্ত্ববােধিনী পত্রিক معمجمه میی | | i l i ইহঁারি কীর্তি বেদের পর নিমিত্ত ভারতমাতার স্বপুত্র ।

  • ७, कट, ७ ●t*

ব্রহ্মবিদ্যা উদ্ধৃত করিয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়া ব্রাহ্মসমাজের অনেক কল্যাণ সাধন করিয়াছেন। ই হারই যত্নে ও অর্থে ও শ্রমে ভারতের নান৷ স্থানে ব্রাহ্মসমাজ স্থাপিত হইয়াছে । ব্রহ্মবিদ্যা ইহঁারই কীৰ্ত্তি ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ব্যাখ্যান । ইহা সৰ্ব্বতোভাবে পাঠ করা কর্তব্য । এই সকল গ্রন্থের পুনরালোচনার সঙ্গে সঙ্গে ভারতসমাজের সৌভাগ্য-রবি পুনরুদিত হইবে, ভারতসমাজের বিষগ্ন বদন পুনরায় প্রসন্ন হইবে । দিশাহারা নিশা গ্রস্ত ব্যক্তিকে সুপথ দেখাইয়া দিলে তাহার মনে যত আনন্দ ব্রাহ্মধৰ্ম্ম-গ্রন্থ । হয়, অন্ধকারাবদ্ধ বন্দীকে মুক্তি প্রদান করিলে তাহার যত আনন্দ হয়, অকূল পাথারে পতিত ব্যক্তিকে কোন উপায়ে কূলে আনয়ন করিতে পারিলে তাহার যেমন সন্তোষ হয়, মাতৃহারা শিশুকে মাতৃক্রোড়ে স্থাপন করিলে সে যেমন আহলাদে নৃত্য করিতে থাকে, সেইরূপ মহর্ষিপ্রবর্তিত ব্রাহ্মধৰ্ম্ম ও ব্রাহ্মসমাজকে পাইয়। অামাদের ততোধিক আনন্দের বিষয় হ ইয়াছে। ব্রাহ্মসমাজ পরমেশ্বরের উপাসনা এবং ঈশ্বরার্থে সংসার ধৰ্ম্ম সাধন করিতে অাদেশ দিয়া থাকেন । ব্রাহ্মসমাজ ও ব্রাহ্মধৰ্ম্ম উদার ভাবে যে সকল মত বিশ্বাস সমর্থন করেন, বিশেষ করিয়া প্রণিধান করিলে তাঁহাই প্রকৃত পক্ষে আবহমান কাল প্রচলিত বেদবিহিত সেই সনাতন সত্যধৰ্ম্ম বলিয়া প্রতীতি হইবেক । ঈশ্বর সচ্চিদানন্দ-স্বরূপ, নিরাকার, সৰ্ব্বশক্তিমান, ন্যায়কারি, দয়ালু, অজ, অনন্ত নিৰ্ব্বিকার, অনাদি, অনুপম, সর্বাধার, সৰ্বেশ্বর, সৰ্ব্বব্যাপক, অজর, অমর, অভয়, নিত্য, পবিত্র এবং স্বষ্টিকর্তা ; তাহারি উপাসনা