পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8יש3 f{xוש _ _ _ লোকের সহিত অনুসৃত হইয়া রহিয়াছে। এহেতু যাহারা আত্মাকে বিকৃত করিয়া ফেলিয়াছে, তাহীদের কি যন্ত্রণা—কি দুৰ্গতি । তাহীদের এখানেও যন্ত্রণা—পরলোকেও যন্ত্ৰণ । যন্ত্রণ । এ যন্ত্রণ প্রতীকারের কি কোন উপায় নাই ? অবশ্যই আছে। যে পাপাত্মা আপনাকে অনন্যগতি জানিয়া, পরাজিত ধৰ্ম্মকে পুনর্বার প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য ঈশ্বরের চক্ষের সমক্ষে প্রাণগত চেষ্টা করিবে, রত্নাকর বাল্মীকির ন্যায় অনুতপ্ত হইয়৷ পূৰ্ব্বপাপজীবন পরিহার করিয়া ইহলোকেই ঈশ্বরের শরণাপন্ন হইবে, তাহাকে কখনই তমসাচ্ছন্ন লোকে যাইতে হইবে না । নবজীবন লাভ করিয়া ইহলোকেই সে দুঃখ হইতে মুক্ত হইবে । অশ্রুধৌত আত্মীকে করুণাময় পরমেশ্বর কৃপা করিয়া তাহার অমৃত নিকেতনে লইয়া যাইবেন, ইহাতে আর সংশয় কি ! অার সহজেই র্যাহীদের ইহলোকে ধৰ্ম্মের দিকে টান—ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসা, একটুখানি পাপ জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে আত্মায় প্রবিষ্ট হইলে যাহারা মুতপ্রায় হইয়া যান, র্তাহীদের কি আশা ! উৎকৃষ্ট হইতে উৎকৃষ্টতর অবস্থা শ্রেষ্ঠ হইতে শ্রেষ্ঠতর আনন্দ তাহীদের জন্য প্রস্তুত রহিয়াছে । কিন্তু তাহাদিগকেও এখানে সাবধানে থাকিতে হয় । কারণ ধৰ্ম্মের পথ অতি দুর্গম । “ক্ষুরস্য ধারা নিশিত দুর ত্যয় দুর্গং পথ স্তত ক'ব cम्नीबल्लक्षुि ।” কেহই আর শুদ্ধমপাপবিদ্ধং নহে । সকলেরই চরণ “পৃথিবীতে সংলগ্ন” রহিয়াছে। অতএব ধৰ্ম্মার্থী হইয়া যৎকিঞ্চিৎ ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করিয়া তজ্জন্য অভিমানবশতঃ নিশ্চিন্ত হইবে না। কারণ জীবাত্মা চির আদি ব্রাহ্মসমাজ পাপের অব্যর্থ ফলই । ১২১ কালই অপূর্ণ। চিরকালই তাহাকে পূর্ণ পবিত্রতার অনন্ত পথে চলিতে হইবে । তাহার জন্য অনন্ত লোক ও অনন্ত গতি নির্দিষ্ট রহিয়াছে। তথাপি যিনি এখানে আপন ইচ্ছায় ঈশ্বরকে আত্মসমপণ করিয়াছেন, সাধ্যানুসারে পাপ পরিহার করিতেছেন, যতটুকু পারেন ঈশ্বরকে বক্ষে ধারণ করিয়া আনন্দে গদ গদ হইতেছেন, তিনিই প্রকৃত ধাৰ্ম্মিক, তাহার আত্মা পদ্মের ন্যায় ইহলোকেই শোভা পাইতেছে। পদ্ম যেমন কণ্টকসংযুক্ত হইয়াও জ্যোতি সৌন্দয্য ও স্বগন্ধে পরিপূর্ণ, তিনিও তেমনি ইহলোকের অপরিহার্য্য জ্বালা যন্ত্রণ। বিঘ্ন বিপত্তি ও অাপদ বিপদ রূপ কণ্টকে পরিরত হইয়াও পুণ্য পবিত্রতা ও ব্রহ্মানন্দের জ্যোতিতে প্রফুল্ল থাকেন । ঈশ্বরের কৃপায় তাহার দিব ; চক্ষু লাভ হয়। সেই চক্ষেই তিনি এখান হইতেই ব্রহ্মধামের অপূর্ব শোভা দর্শন করিয়া গাহিতে থাকেন, “ঐ যে দেখা যায় আনন্দধাম, অপূর্ব শোভন ভবজলধির পারে জ্যোতিৰ্ম্ময়? তাহার উদ্ধারের জন্যই এই ভবসিন্ধু মধ্যে পরমেশ্বরের চরণ-তরী ভাসমান রহিয়াছে। স্বগের পারিজাতে স্বগের কুমুমমালায় তাহ কেমন শোভিত । জীবনান্তে সেই তরী অবলম্বন করিয়া তিনি আনন্দধামে গমন করিবেন । এমন সুন্দর চরণতরী দেখলে না। অভাগা মন—দেখলে না । দেখরে নয়ন—দেখরে চাহিয়ে । কি বলিব, নাহি বলিবার ! রসন নিস্তব্ধ হইল । কোথা নাথ ! চরণে স্থান দাও । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং ।