পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ४°, क प्र,७छोक, மக கய B_i un ধনুৰ্বেদ। ধনুর্বিদ্যাবোধক শাস্ত্রের নাম ধনুৰ্ব্বেদ, তাহা এক্ষণে সৰ্ব্বভক্ষক কালের করাল জঠরে ভস্মীভূত হইয়াছে। আমরা মনে করি ভাল কোল সাওতালেরা যেমন তীর ধনু লইয়া এলোথেলো যুদ্ধ করে আমাদের পূর্বপুরুষেরাও তেমনি পূর্বে তীর ধনু লইয়া এলোথেলো যুদ্ধ করিতেন, তাহাতে কোন বিদ্যাসংযোগ ছিল না। কিন্তু বিশেষ নিপুণতার সহিত পর্য্যালোচনা করিয়া দেখিলে সপ্রমাণ হয় যে, উহাতে বিলক্ষণ বিদ্যা-সংযোগ ছিল । এই বিদ্যা অতি আদিমকালে “রথনাগাশ্বপত্তীনাং যোধাংশ্চাশ্রিত্য কীর্তিতম ” রথারোহী, হস্ত্যারোহী, অশ্বারোহী, ও পদাতি যোদ্ধাদিগকে অবলম্বন করিয়া রচিত হইয়াছিল। তৎকালের রাজা, রাজপুত্র, এবং অন্যান্য বীরপুরুষের বহুকালসাধ্য ব্রহ্মচৰ্য্যব্রতে অবস্থান করত গুরুর নিকট গিয়া এই বিদ্যার উপদেশ গ্রহণ করিতেন। স্থানে স্থানে এই বিদ্যার রীতিমত মঠ ছিল । নানা স্থানসমাগত ছাত্রেরা তথায় থাকিয়া রীতিমত অধ্যয়নও করিত । মাঝে মাঝে পরীক্ষাও গৃহীত হইত। শিক্ষা সমাপ্ত হইলে গুরু রাজাদিগের ব্যয়ে রঙ্গবাট নিৰ্ম্মাণ করাইয়। শুভদিনে রাজা, রাজপুত্র ও মান্যগণ্য পণ্ডিতদিগকে আহবান করিতেন। সভা দর্শকবৃন্দে পরিপূর্ণ হইলে কুমারগণ র্তাহাদের সমক্ষে যথাসাধ্য শিক্ষিত বিদ্যার অভিনয় প্রদর্শন করিতেন। মহাভারতস্থ কুরুগুরু দ্রোণাচার্ষ্য ও কুরুবালকগণের ইতিবৃত্ত পাঠ করিলেই ইহা সপ্রমাণ হইবে। ক্ষত্রিয়গণ যে বিদ্যার বলে পূর্বে 寶r جه سمه ۔ م-صص-سم حسحبحصے مہ বীর মানবের সহিত যুদ্ধ করিতে সমর্থ হইতেন—সে বিদ্যা কি তুচ্ছ ? না মিথ্যা ? সে ধনু কি ‘সাওতালদিগের ধনু ? ন৷ তাহাতে অন্যকিছু রহস্য আছে ? ভাবিতে গেলে মস্তিষ্ক বিকল হয়, বুদ্ধি-মোহ উপস্থিত হয়। আর সে ব্যাস নাই, সে বৈশম্পায়ন নাই, সে রাম নাই, সে প্লরশুরাম নাই, সে বিশ্বামিত্র নাই, দ্রোণ নাই, সে অশ্বথামা নাই, সে কৃপ নাই, অর্জন ও নাই, কেহই নাই—তবে আর উল্লাহ। কে আমাদিগকে বুঝাইয়া দিবে ? ব্রহ্মার ধনুৰ্ব্বেদ নাই, শিবের ধনুৰ্ব্বেদ নাই, বিশ্বামিত্রের ধনুৰ্ব্বেদও নাই। তবে আর কোন পুস্তকের দ্বারা আমরা উহার মৰ্ম্মগ্রহণ করিব ? কাজে কাজেই সে সকল এখন আমাদের নিকট উপকথা বলিয়। নির্ণীত হইয়াছে। আমি বহুকালাবধি ধনুৰ্ব্বেদের অনুসন্ধান ও তৎপুস্তক লাভার্থে বহুব্যয় করিয়া অবশেষে যে কিছু অত্যন্স গ্রন্থ ও যুদ্ধবিদ্যা ংক্রান্ত জ্ঞাতব্য সংগ্ৰহ করিয়াছি—অদ্য সহৃদয় পাঠকগণকে সেগুলি উপহার দিব। ধনুৰ্ব্বেদ নামক স্বতন্ত্র গ্রন্থ এক্ষণে পাওয়া যায় কি না সন্দেহ। পরন্তু ধনুৰ্ব্বেদের সংগ্রহকারক আচার্য্যেরা বলেন যে, প্রথমে ব্ৰহ্মা ও মহাদেব এই বেদ প্রচার করেন। সুতরাং ব্রহ্মাকৃত ধনুৰ্ব্বেদ ও শঙ্করকৃত ধনুৰ্ব্বেদ পূর্বে ছিল। তৎপরে বিশ্বামিত্র মুনি ও ব্যাস তাহার সংক্ষিপ্তসার সংগ্ৰহ করিয়া দুইখানি ধনুৰ্ব্বেদ রচনা করেন । তৎপরে আর কেহই নিরবচ্ছিন্ন ধনুৰ্ব্বেদ বলেন নাই । যাহারা बैंशद्र বলিয়াছেন, তাহারা প্রসঙ্গক্রমেই বলিয়াছেন। সেই প্রাসঙ্গিক সংগ্ৰহ গুলিই এক্ষণে পাওয়া যায় ৷ ‘ আমি ধমুর্মাত্রের সাহায্যে শত শত সহস্ৰ সহস্ৰ যাহা সংগ্ৰহ করিয়াছি তাহার নাম এই—