পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هد ياد » atج، স্ত্রীশূদ্রাদির বেদপাঠ। છે g ভাষ্যে সায়ণাচাৰ্য্য স্বয়ং ‘অহীনা’ ও ‘একাহ’ কি পদার্থ তাহ। বুঝাইয়া দিয়াছেন। র্তাহার উক্তি এই,— (ক) "ত্ৰিবিধ: সোমযাগঃ। একাহাহীনসত্র নামকঃ একস্মিন্নেবtছনি সবনত্রয়েন নিম্পাদ্যঃ "একfহঃ’ । দ্বিরাত্রমারভ্য একাদশ রাত্র পর্য্যস্ত। অহীনা’ । ত্রয়ো- . দশ রাত্রমারভ্য সহস্ৰ সংবৎসর পর্য্যন্তানি সত্ৰাণি ।”

  • সোম যাগ ত্রিবিধ। যথা,—এক হ, অহীনা ও সত্র । এক দিবসে সবনত্রয়ে যে যজ্ঞ সমাপন হয় তাহার নাম একাহ । দ্বিরাত্র হইতে আরম্ভ করিয়া একাদশ রাত্রি পর্য্যন্ত কালব্যাপী যাগের নাম অহীন । ত্রয়োদশ রাত্রি হইতে সহস্র সম্বৎসর কাল ব্যাপী যজ্ঞকে সত্র বলে ।”

এতাবত সায়ণাচাৰ্য্য প্রোক্ত “মনুষ্যাণি যুগানি, অহীনৈকাহাত্মকানি” বাক্যাংশের । অর্থ এই হয় যে, মনুষ্য সম্পৰ্কীয় অহীন ও একাহ সংজ্ঞক যজ্ঞ কাল সমূহ । দত্ত মহাশয় এই সায়ণবাক্যের অর্থ বুঝিতে অসমর্থ হইয়া অনুবাদে তাদৃশ গোলযোগ করিয়াছেন । বোধ হয়, রমেশ বাবু ‘অহীন একাহ’ এইরূপ পদ গ্রহণ করত “পূর্ণ এক দিন’ অৰ্থ বুঝিয়া সোম মনুষ্যগণের “জন্য একদিন” কৰ্ম্ম মধ্যে বাস করেন এইরূপ অনুবাদ করিয়াছেন। বস্তুতঃ এই অনুবাদ অশুদ্ধ ও অর্থহীন । পাঠক ! রমেশ বাবুর অনুবাদ দেখি -ూ తాకా করিয়া, তাহাদের (মনুষ্যগণের) কৰ্ম্ম (যজ্ঞ ক্রিয়া) সমূহের মধ্যে অবস্থান করেন ।” সায়ণাচার্য্যের এই প্রকৃতার্থপূর্ণ ব্যাখ্যা পরিত্যাগ করিয়া, রমেশ বাবুর বিকৃত ও অর্থহীন ব্যাখ্যা গ্রহণ করিতে আমরা অক্ষম । সে যাহা হউক, এই মন্ত্রেও যুগ শব্দে যজ্ঞ নীল বুঝাইতেছে । | এতদ্ব্যতীত নবম মণ্ডলের আর কুত্ৰাপি কfলবাচক যুগ শব্দ ব্যবহৃত হয় নাই । বারান্তরে আমরা দশম মণ্ডলান্তর্গত মন্ত্র সমূহের সমালোচনা করিতে চেষ্টা করিব। স্ত্রীশূদ্রাদির বেদপাঠ । দ্বিতীয় প্রস্তাব । হিন্দুশাস্ত্র বলেন বেদশাস্ত্র সর্বোপরি প্রামাণিক। শ্রুতির প্রমাণের বিরুদ্ধে অসংখ্য শাস্ত্রীয় প্রমাণকে কদাপি প্রমাণ বলিয়া গ্রহণ করা যাইতে পারে না । বেদের পরই বেদের অন্তর্গত ঐতরেয়, শতপথ, সাম, গোপথাদি ব্রাহ্মণ গ্রন্থ ও ঈশ, কেন, কঠআদি দশ উপনিষদ সূত্রগ্রন্থ ও বেদান্ত সকল বেদানুকুল বলিয়া প্রমাণ স্বরূপ গ্রাহ। এই সমস্ত ও এতদতিরিক্ত কোন গ্রন্থে যদি লেন, এখন এই মন্ত্রের সায়ণ ভাষ্যানুগত ৷ অনুবাদ দেখুন। “নিত্যস্তোত্র বিশিষ্ট অর্থাৎ র্যাহার । স্তোত্র নিরন্তর উচ্চারিত হয়, যিনি অমৃত প্রসব করেন, যিনি বনের (বনস্থিত ঔষধি ও তরুলতার) পালনকর্তা, ঈদৃশ সোম (পরমেশ্বর) মনুষ্যগণের ‘অহীনা’ ও ‘একাহ’ সংজ্ঞক যজ্ঞকাল সকলকে আনন্দময় কোন বেদবিরুদ্ধ বাক্য পাওয়া যায় তবে তাহা কখনই গ্রাহ্য হইতে পারে না । অর্থাৎ যাহা কিছু বেদানুকূল তাহাই গ্রাহ্য ও যাহা বেদবিরুদ্ধ তাহ অগ্রাহ্য । মনুসংহিতাও একখানি প্রামাণিক গ্রন্থ । কিন্তু তাহার স্থানে স্থানে প্রক্ষিপ্ত শ্লোক সন্নিবেশিত হইয়াছে। মনুসংহিতায় যে প্রক্ষিপ্ত শ্লোক মিশ্রিত আছে তাহা উক্ত গ্রন্থের সর্বপ্রাচীন টীকাকার মেধাতিথি ও স্বীকার করিয়াছেন, যথা নবম অধ্যায়ের ৯৩ শ্লোকের ব্যাখ্যাতে মেধাতিথি