পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏՀԵ জন্মাইতে না পারে, এজন্য তাহার মূলে পাখার পালক সংযুক্ত করিয়া দিতে হয়। তাহার নিয়ম প্রণালী এই— “কাকহংসশশাদীনাং মৎস্যাদক্ৰৌঞ্চ কেকিনাম্। গৃধাণাং কুররাণাঞ্চ পক্ষা এতে স্বশোভনাঃ ॥ একৈকস্য শরস্যৈব চতুঃপক্ষাণি যোজয়েৎ । ষড়ক্ষুলিপ্রমাণেন পক্ষচ্ছেদঞ্চ কারয়েৎ ॥ দশাঙ্গুলিমিতং পক্ষং শাঙ্গ চাপস্য মার্গণে । যোজ্য দৃঢ়াশ্চতুঃ সংখ্যাঃসন্নদ্ধাঃ স্নায়ুতন্তুভি: ॥” ווז" ,ף পক্ষযোজনা ব্যতীত বাণের ঠিক সরল গতি হয় না। পক্ষ সংযোগ করায় বাতাস কাটিয়া যায়, মৃতরাং বাণও ঠিক সোজা যায়। এদিক্ ও দিক্‌ বাকিয়া যায় না। শর যদি বাকিয়া না যায়, ঠিক সোজা যায়, তাহা হইলে ঠিক লক্ষ্যে গিয়৷ আঘাত করে, নচেৎ লক্ষ্যচু্যত হইয়া যায়। এই বিজ্ঞানটী নিতান্ত সহজে বোধ্য নহে। ফল, বাণের সরল গতির নিমিত্ত যে তাহাতে পক্ষযোজনা করিতে হয় তৎসম্বন্ধে এই রূপ বিধি নির্দিষ্ট আছে । কাক, হংস, শশ, মাছরাঙা, বক, ময়ূর, গৃধ ও কুরর, এই সকল পক্ষীর পক্ষই উত্তম। প্রত্যেক শরে ৪টা করিয়া পাকা (সমান্তর করিয়া) সংযোজিত করিবে । পাখাগুলি ঠিক ৬ অঙ্গুল প্রমাণ কাটিয়া লইবেক । যে সকল বাণ শাঙ্গ ধনুকের নিমিত্ত প্রস্তুত করিবে, কেবল সেই সকল বাণে ১০ অঙ্গুল পরিমাণ পক্ষ যোজনা করা আবশ্যক। বৈণব ধনুর নিমিত্ত ৬ অঙ্গুল প্রমাণ এবং শাঙ্গ ধনুর নিমিত্ত ১০ অঙ্গুল প্রমাণ গৃধ দি পক্ষীর পক্ষ লইয়। তাহার ৪টা করিয়া পক্ষ সমান্তরাল নিয়মে প্রত্যেক শরে স্নায়ু তন্তর দ্বারা দৃঢ় আবদ্ধ করিবেক । ক্রমশঃ । তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ছাড়িয় দিলে বায়ু তাহার গতির दद्धकङ | সত্যযুগে মানবায়ু। () se कछ, ७“उ**

সত্যযুগের মানবগণের অবস্থা সম্বন্ধে সাধারণের মনে এইরূপ একটা সংস্কার আছে যে, তৎকালে সকলেই পূর্ণ ধাৰ্ম্মিক ও অত্যন্ত সুখী ছিল; অধৰ্ম্মের নামগন্ধ মাত্র ছিল না। মানবগণ নীরোগ ও বহুসহস্ৰ বৎসর পরমায়ু সম্পন্ন ছিলেন। এক কথায় যাহা কিছু ভাল ও সুখকর তৎসমস্তই তৎকালে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান ছিল । অধৰ্ম্ম বা অপ্রীতিকর পদার্থের লেশমাত্র ছিল না। এই সংস্কার যে ভ্রান্তিপূর্ণ তাহা প্রদর্শন করাই বর্তমান প্রবন্ধের উদ্দেশ্য । প্রচলিত পঞ্জিকা সমূহ এই ভ্রান্ত সংস্কারের পুষ্টিসাধন করিতেছে। কোনও কোনও আধুনিক পুরাণেও এই মত সমর্থিত হইয়াছে। পঞ্জিকার সত্যযুগের বর্ণনা এইরূপ দৃষ্ট হয়। সত্য যুগে— “লক্ষবৰ্ষং মানবায়ুঃ। পুণ্যং পূর্ণং পাপে নাস্তি । ইচ্ছামৃত্যুঃ । (২) সুবর্ণনিৰ্ম্মিতং ভোজনপত্রিং ” ইত্যাদি। প্রাচীন পুরাণকারগণ সত্যযুগের বর্ণনায় এতদূর অগ্রসর হইতে সাহসী হয়েন নাই। যাহা হউক, এ সকল উক্তি যে সত্য নহে, তাহী ক্রমশঃ প্রদর্শন করিতে চেষ্টা করিতেছি । প্রথমতঃ সত্য যুগের নরগণের পরমায়ু সম্বন্ধে মহর্ষি মনুর মত আলোচনা করা (১) বিগত ১২৯৯ সালের বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে হিতবাদী নামক সাপ্তাহিক পত্রে এই শীর্ষক যে প্রবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছিল, তাহাই সম্প্রতি বিশেষ রূপে সংশোধিত, পরিবর্তিত ও পরিবৰ্দ্ধিত করিয়া পুনঃপ্রকাশ করা গেল। হিতবাদীতে উহা এত অশুদ্ধরূপে মুদ্রিত হইয়াছিল যে, অনেক স্থলে উহার ভাবগ্রহ করা দুষ্কর হইয়া পড়িয়াছিল । ইহাও এই প্রবন্ধের পুনঃ প্রকাশের এক প্রধান কারণ " (२) हेक्लो श्रृङ्काहे पनि श्हेण, उ८ब चावाब्र "गक्र বর্ষ পরমায়ুং” এ সীমা নির্দেশ কেন ?