পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృN93 তত্ত্ববোধিনী পত্রিক এই অনুবাদ অনুসারে সত্যযুগের নরগণের পরমায়ুর শতবর্ষজ প্রমাণিত হইতেছে। এইরূপ অনুবাদ না করিলে, মনুসংহিতা ব্যাঘাতদোষে দুষ্ট হইয়। পড়ে, অর্থাৎ এই (১৮৩) শ্লোকের সহিত ৩৪০ ও ৪।১৫৮ শ্লোকের বিরোধ ঘটে। এতদ্ব্যতীত শ্রুতির সহিতও বিরোধ উপস্থিত হয়। কারণ বৈদিক মতে সৰ্ব্বকালেই মানবের পরমায়ু শতবর্ষ। যাহা হউক, মৎকৃত অনুবাদের যাথার্থ্য সম্বন্ধে এইটুকু বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, উহ প্রাচীন ব্যাখ্যাতা (৪) মেধাতিথির ভাষ্য সম্মত । কলুকসম্মত ব্যাখ্যা স্বীকার করিলে পূৰ্ব্বাপর বিরোধ ও শ্রুতির সহিত অনৈক্য ঘটে বলিয়া মহামতি মেধাতিথি উক্ত মনু বচনের এই রূপ ব্যাখ্যা করিয়াছেন,— ** * চতুৰ্ব্বৰ্ধশতাযুষঃ ইতি। নমু সহষোড়শং বর্ধশতং অজীবৎ ইতি পরমায়ুৰ্ব্বেদে শ্রুয়তে, অতএব আহুঃ বর্ষশতশব্দোংক বয়োভেদ প্রতিপাদকঃ। চত্বারি । বয়াংসি জীবস্তীতি। ন পুনরায়ু প্রমীয়তে নাপ্রাপ্য চতুর্থেবিয়ে ম্ৰিয়তে । অতএব দ্বিতীয়ে শ্লোকাৰ্দ্ধে বয়ো ! ... হ্রসতীত্যাহ। পূৰ্ব্বত্র বয়সে। বৃদ্ধাবস্থায়৷ উত্তরত্র তস্যেৰং হ্রাসাভিধানোপপত্তিঃ । পাদশ ইতি নচত্রে । মধিকৃত্য শ্রীতেঃ প্রবৃত্তিঃ, তস্যাঃ সাধারণ্যাৎ ।” চতুর্থে ভাগঃ পাদঃ, কিং তৰ্হি ভাগমাত্রং অংশত । আয়ু ক্ষীয়ত ইত্যর্থঃ । তথাচ কেচিদ্বালা ম্রিয়ন্তে, কেচিৎ তরুণাঃ, কেচিৎ প্রাপ্তজরসঃ পরিপূর্ণমায়ু । ফুল্লভং ” ভাবার্থ—বেদে এক শত ষোড়শ বর্ষ আয়ু নির্দিষ্ট হইয়াছে। এস্থলে বর্ষশত’ শব্দ বয়োভেদসূচক । “চতুর্ববর্ষশতাযুষঃ” অর্থে বাল্য যৌবন প্রৌঢ় বার্থক্য

  • -m

(৪) মেধাতিথি খৃষ্টীয় নবম শতাব্দীতে বর্তমান ছিলেন, বোধ হয়। র্তাহার পিতার নাম বীরভট্ট वाभैौ । cयथाडिथि क्लङ भन्नुनशीश्डोब्र छौका (छाया) অতি প্রাচীন। কল্পকভট্ট প্রভৃতি টীকাকারগণ র্তাহার ৰহু পর ভাবিক । পরিমাপক কাল । সত্যযুগে সকলে বৃদ্ধ বয়স পর্য্যন্ত জীবিত থাকিত। দ্বিতীয় শ্লোকাৰ্দ্ধে আয়ুঃ হ্রাসের কথা বলা হইয়াছে। “অন্যান্য যুগে পাদশঃ আয়ুঃক্ষয় হয়।” এখানে চতুর্থ ভাগকে পাদ বলা হয় নাই । ‘পাদশঃ’ কি ? না— অংশতঃ অর্থাৎ অল্প অল্প করিয়া ত্মায়ুঃক্ষয় হয়। অন্যান্য যুগে কেহ বাল্যকালে, কেহ বা যৌবনে, কেহ কেহ বৃদ্ধ বয়সেও মরে । ফল কথা, অন্যান্য যুগে পূর্ণায়ুঃ দুল্লভ।” সৰ্ব্বজ্ঞ নারায়ণ স্বকৃত মস্বর্থ নিবন্ধ নামক টীকায় বলেন,— যদ্যপি শতায়ূৰ্ব্বৈ পুরুষ ইতি বেদে পঠ্যতে তদেব চতুৰ্ব্বৰ্ষশতমেব শতবর্ষত্বেনোক্তং ।” (প্রথমাধ্যায় ৮৪ শ্লোকের টীকা দ্রষ্টব্য ) টীকাকার রাঘবনন্দ বলেন,— · “শতায়ূৰ্ব্বৈ পুরুষ ইতি শ্রীতে বিরোধেভু ‘মনপেক্ষং স্যাৎ অসতি হামুমানং’ ইতি ন্যায়েন শতপরিমিতং পুরুষায়ুরেব, অধিকন্তু তপোবিদ্যাবশাৎ । . যদ্ব। বর্ষশতশব্দে বাল্যাদিবয়শ্চতুষ্কপরঃ তেন শতান্ত এব মিয়তে ইত্যর্থঃ । নতু কলিযুগ এই টীকার তাৎপৰ্য্য এই যে, “চতুবর্বর্ষশত’ শব্দ বাল্যাদি অবস্থা চতুষ্টয় পরিজ্ঞাপক, সুতরাং শতবৰ্ষবোধক । মানবের শত বর্ষ পরমায়ু স্বাভাবিক ও শ্রুতিসম্মত। তপোবিদ্যার প্রভাবে দীর্ঘজীবন লাভ অসম্ভব নহে । ফল কথা, মনুসংহিতার দ্বারা সত্য যুগে মানবগণের অস্বাভাবিক দীর্ঘ পরমায়ু সিদ্ধ হয় না ।