পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

داد چ}} ব্ৰহ্মদর্শনের উপায়। নচিকেতা কহিতেছেন, ধৰ্ম্ম হইতে ভিন্ন, অধৰ্ম্ম হইতে ভিন্ন, আর এই কাৰ্য্যকারণ-বিশিষ্ট জগৎ হইতে ভিন্ন ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান কালত্রয় হইতে ভিন্ন যে ব্রহ্ম তাহাকে আপনি কি প্রকারে জানিয়াছেন, আমাকে বলুন। যম কহিলেন, স্থাবর জঙ্গমাত্মক বিশ্ব র্যাহাকে প্রতিপন্ন করিতেছে, সকল তপস্যা র্যাহার প্রাপ্তির কারণ হইয়াছে, আর র্যাহাকে পাইবার ইচ্ছা করিয়া লোক সকল ব্ৰহ্মচর্য্য করিতেছে, র্তাহাকে আমি সংক্ষেপে কহিতেছি তিনি ওঁঙ্কার । ওঁকারের অর্থ স্বষ্টি-স্থিত-প্রলয়-কর্তা পরব্রহ্ম ৷ ব্ৰহ্ম প্রাপ্তির নিমিত্ত যে সকল অালম্বন আছে, তাহার মধ্যে প্রণব শ্রেষ্ঠ । ওঁমিত্যেবং ধ্যায়থ আত্মানং স্বস্তি বঃ পারায় তমস: পরস্তাৎ । ওঁঙ্কারেণৈবায়তনেনাস্বেতি বিদ্বান যত্তছা স্ত, शबब्रभभूठमङब्र९ *ब्र१ ।। ওঁঙ্কার-প্রতিপাদ্য পরব্রহ্মকে ধ্যান কর এবং নির্বিঘ্নে তোমরা অজ্ঞান-তিমির হইতে উত্তীর্ণ হও । জ্ঞানী ব্যক্তি ওঁঙ্কার সাধনার দ্বারা সেই শান্ত, অজর, অমর, অভয়, নিরতিশয় ব্রহ্মকে প্রাপ্ত হয়েন। আত্মা বা অরে দ্রষ্টব্যঃ শ্রোতব্যোমস্তব্যোনিদিধ্যা, সিতব্যঃ । পরমাত্মার দর্শন, শ্রবণ, মনন ও নিদিধ্যাসন করিবেক । পাতঞ্জল যোগশাস্ত্রে আছে—তস্য বাচকঃ প্ৰণবঃ। তজ্জপস্তদৰ্থ ভাবনং। র্তাহার বাচক প্রণব অর্থাৎ `उँझांब्र । उँझां८ब्रव्र अर्थ उांबना कब्रॉई ख° । ব্রহ্মের স্বরূপ কি ? উপনিষদে অাছে সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্রহ্ম ইত্যাদি। এই সমস্ত বাক্যের অর্থ ভাবনার নাম তাছার স্বরূপচিন্তা । এই ওঁঙ্কার-প্রতিপাদ্য ব্রহ্মের ভাব শিষ্যের মনে উদ্বোধিত করিবার জন্য পূৰ্ব্বতন ব্ৰহ্মদর্শনের উপায় 'N9్ఫ ঋষির নানা উপায় অবলম্বন করিতেন এবং যাহার যেরূপ ধারণাশক্তি তদনুসারে তাহাকে ব্রহ্মের উপদেশ দিতেন । ছান্দোগ্য উপনিষদে এইরূপ একটী অাখ্যায়িকা আছে, তাহার মৰ্ম্মাংশ এইরূপ । উদালক নামে এক ঋষি তাহার পুত্র শ্বেতকেতুকে ব্রহ্মোপদেশ করিবার জন্য কহিলেন যিনি সৰ্ব্বশক্তিমান, কারণের কারণ, ইন্দ্রিয় সকল র্যাহাকে গ্রহণ করিrর পারে না, র্যাহা হইতে এই প্রকাণ্ড বিশ্ব সমুদ্ভত হইয়াছে, তিনি ব্রহ্ম। শ্বেতকেতু বালক ও অমার্জিতবুদ্ধি প্রযুক্ত দুই ভাব হৃদয়ে ধারণ করিতে অক্ষম হইলেন । তখন উদালক লৌকিক দৃষ্টান্ত দ্বারা তাহাকে কহিলেন, বৎস! সম্মুখস্থ ঐ বৃহত্তম বট বৃক্ষের একটা ফল আহরণ কর। শ্বেতকেতু তৎক্ষণাৎ তাহা আনিলেন । উদালক কহিলেন “ভিন্দি”উহা ভাঙ্গ । শ্বেতকেতু ভাঙ্গিলেন । উদালক কহিলেন উহাতে কি দেখিতে পাও ? শ্বেতকেতু কহিলেন, অতি সূক্ষ বটবীজ। উদালক কহিলেন উহার একটা ভাঙ্গ। শ্বেতকেতু পুনশ্চ ভাঙ্গিলেন। এবারও জিজ্ঞাসা করিলেন, কি দেখিতে পাও ? শ্বেতকেতু এবার তন্মধ্যে অন্য কিছু না দেখিয়া কহিলেন কিছুই না । উদালক কহিলেন কিছু না নয়, আছে, সম্মুখস্থ ঐ বট বৃক্ষ সদৃশ একটা বৃক্ষ উহার মধ্যে আছে, তুমি দেখিতে পাইতেছ না । বৎস, তুমি যাহাকে বীজ বলিতেছ কালে উহাই বৃহত্তম বৃক্ষরূপ ধারণ করিবে । দেখা যায় ন। বলিয়া অবিশ্বাস করা অনর্থের মুল এবং এক উপায়ে যাহা নির্ণীত না হয়, তাহ ভিন্ন উপায়ে নিণীত হইতে পারে। এই বলিয়া তিনি আর এক দিন এক খণ্ড সৈন্ধব লবণ লইয়া কহিলেন, বৎস! এই লবণ খণ্ড এক উদক পাত্রে নিক্ষেপ