পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ তত্ত্ববােধিনী পত্রিক ואש יש איף, א% করিয়া রাখ, কাল প্রাতে লইয়া আসিও । শ্বেতকেতু তাহাই করিলেন। উদালক কহিলেন, বৎস, উদক হইতে লবণখণ্ড আহরণ কর। শ্বেতকেতু পাত্রে লবণখণ্ড না দেখিয়া কহিলেন, লবণখণ্ড নাই । উদালক কহিলেন, আছে, তুমি দেখিতে পাইতেছ না। শ্বেতকেতু কহিলেন, যদি থাকিত,তবে দেখিতে পাইতাম । উদালক কহিলেন এই জগতের অনেক বস্তুই চক্ষু দ্বারা দেখা যায় না, কিন্তু তাহ ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে জানা যায় । তুমি ঐ জলে আচমন কর,লবণ আছে কি না জিহা দ্বারা বুঝিতে পারিবে । শ্বেতকেতু তখন বুঝিতে পারিলেন যে লবণ আছে। এই সমস্ত ঋষিবাক্যে ইহাই প্রতিপন্ন হয় যে সূক্ষাৎ সূক্ষতর জ্ঞানস্বরূপ ব্রহ্মের জ্ঞানলাভ করাই মনুষ্যজীবনের একমাত্র লক্ষ্য । অস্তিত্বে অবিশ্বাস করা ঘোর নির্বেবাধের কার্য্য । কিন্তু র্তাহাকে জানা সহজে হয় হইয়া, শুদ্ধসত্ত্ব হইয়া আত্মার মধ্যে র্তাহাকে অনুসন্ধান কর । আত্মাই তাহার হিরন্ময় শ্রেষ্ঠ কোষ। এই আত্মাকে অগ্ৰে জানিতে পারিলে তবে তাহার জ্ঞান লাভে সমর্থ হইবে । এই আত্মার লক্ষণ ধৰ্ম্মের ব্যাখ্যানে এই আত্মার লক্ষণ সম্বন্ধে এক স্থানে কহিয়াছেন যে, যে জানে আমি এই ঘ্ৰাণ লইতেছি, সেই আত্মা, গন্ধের আস্ত্ৰাণ লইবার জন্য ঘ্রাণেন্দ্রিয় উপায় মাত্র। যে জানিতেছে যে আমি কথা কহিতেছি সেই আত্মা, বলিবার জন্য বাগিন্দ্রিয় উপায় মাত্র। যে জানিতেছে যে আমি এই শুনিতেছি, সেই আত্মা, শুনিবার জন্য শ্রোত্র উপায় মাত্র। যে জানিতেছে যে আমি মনন করিতেছি, সেই আত্মা ; মন যে সে ইহার দৈব চক্ষু, ইহার অন্তশ্চক্ষু । আত্মাই মন দ্বারা অন্তরে দেখে । আত্মা হস্ত নয়, পদ নয়, চক্ষু নয়, শ্রোত্র নয়, স্ত্ৰাণেন্দ্রিয় নয়, বাগিদিয় নয়, আত্মা যে সে হস্ত দ্বারা • গ্রহণ করে, পদ দ্বারা গমন করে, চক্ষু দ্বারা দর্শন করে, শ্রোত্র দ্বারা শ্রবণ করে। এই আত্মাই দ্রষ্ট। শ্রষ্টা শ্রোতা মন্তা বোদ্ধা কর্তা । 觀 এক সময়ে এক অtভূ-জিজ্ঞাস্থ রাজা এক ঋষির নিকট উপস্থিত হইয়াছিলেন । ঋষি নানা কৌশলে নানা প্রকার উপদেশ দিয়া পরিশেষে রাজাকে এই কথা বলি লেন, এই মস্তক কি তুমি ? না তোমার মস্তক ? এই উদর কি তুমি ? না তোমার তিনি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নহেন বলিয়। র্তাহার । উদর ? এই হস্ত, পদ প্রভৃতি প্রত্যেক অবয়বগুলি কি তুমি ? না এ সকল তো মার ? না । তজ্জন্য বিশেষ রূপ সাধন আবশ্যক । , তুমি শান্ত দান্ত উপরত তিতিক্ষু সমাহিত কেন উহাতে আত্মসম্বন্ধ বন্ধন করিয়া ঋষি এইরূপ জিজ্ঞাসার পর বলিলেন দৃশ্যমান অবয়বগুলি তুমি নহ–তুমি ক্লেশ পাও, উহার কিছুই তুমি নহ। তুমি ও সকল হইতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র । তুমি কে ? নিপুণ হইয়া চিন্তা কর, যোগ আশ্রয় কর, ইন্দ্রিয়ের চাপল্য দূর করে, বুদ্ধিকে অভ্য। खट्व নিবিষ্ট কর,দেখিতে পাইবে তুমি কে। কি ? পূজ্যপাদ মহর্ষি তাহার ব্রাহ্ম ফলতঃ গৃহের মধ্যে না গিয়া যেমন গৃহস্বামীকে দেখা যায় না, সেইরূপ আত্মাতে না গিয়া আত্মার স্বামী পরমাত্মাকে দেখা যায় না। এই পরমাত্মাকে জানিবার নিমিত্তে ঋষির ধ্যান ধারণা সমাধি প্রভূতি উপায় অবলম্বন করিয়া পরিশেষে নিত্য শুদ্ধ বুদ্ধ চিৎস্বরূপ চিদেকরস বলিয়া নির্ণয় করিয়া গিয়াছেন। পরমাত্মার সত্ত্বাতে জীবাত্মার সত্ত্ব। পরমাত্মা সৎচিৎ আনন্দ স্বরূপ, জীবাত্মা