পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ80 KT TASLCCMSMMSMMSMMMMMSMTMSMLSS S S S তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা Poo-oo: ====नाः_===_a == -محعه موسیعی »• ww, • •* নিশার ঘোর অন্ধকারে,বিকট মেঘ গৰ্জনে | কোন আশা থাকে না। ফলত যিনি ধৰ্ম্ম র্তাহার রুদ্রভাব বুঝিতে হইবে। প্রভা- ৷ তের অরুণ কিরণে, বৃষ্টির বারিধারায়, নানা জাতীয় পুষ্পের বিকাশে তাহার স্নেহ-প্রেমের পূর্ণবিকাশ বুঝিতে হইবে। জ্যোৎস্না-ধবলিত অনন্ত আকাশে অগণ্য তারকা অগণ্য লোক সন্দর্শন করিয়া আপনার ক্ষুদ্রত্ব বুঝিতে হইবে, যিনি সেতুরূপ হইয়। বিশ্বভুবন ধারণ করিয়া রহিয়াছেন, তাহার মাতৃদৃষ্টিতে র্তাহারই ক্রোড়ে আপনাকে শায়িত দেখিয়া, ভক্তি শ্রদ্ধার বিমল উচ্ছাস র্তাহার চরণে উৎসর্গ করিতে হইবে । ইহাই জ্ঞানযোগ । ঈশ্বর আমাদিগকে ইন্দ্রিয়-সৌষ্ঠবে সজ্জিত করিয়া স্থষ্টি করিয়াছেন। আমরা কৰ্ম্মঠ জীব । সম্মুখে প্রশস্ত কৰ্ম্মক্ষেত্র প্রসারিত। ইহার মধ্যে কেহ ক্ষুধার্ত হইয়া একমুষ্টি অমের নিমিত্ত হাহাকার করিতেছে। কেহ রোগার্ত হইয়া প্রতীকারের অভাবে নিতান্ত অসহায় অবস্থায় যন্ত্রণায় বিচেষ্টমান হইতেছে, কেহ সংসারের একমাত্র যষ্টিস্বরূপ পুত্রের অকাল মৃত্যুতে আকুল, কেহ ভর্তৃবিয়োগে সমস্ত অন্ধকার দেখিয়া অনবরত হৃদয়ে করাঘাত করিতেছে, কেহ পিতৃহীন,কেহ মাতৃহীন, কেহ বা অজ্ঞানান্ধকারে মনুষ্যত্বহীন হইয়৷ বিপদ হইতে বিপদে দুর্ভিক্ষ হইতে দুর্ভিক্ষে পড়িতেছে, ইহাদের স্থশাষা কর ফলপ্রত্যাশ শূন্য হইয়া এই সমস্ত কাৰ্য্য ঈশ্বরের চরণে সমৰ্পণ কর, ইহাই কৰ্ম্মযোগ। এই জ্ঞান ও কৰ্ম্মসাধনই প্রকৃত ধৰ্ম্মসাধন । পবিত্রতা ও স্বার্থবিসর্জন এই ধৰ্ম্মসাধনের ভিত্তিভূমি। প্রকৃত পক্ষে আপনাকে পবিত্র করিতে না পারিলে সেই পবিত্র স্বরূপ পরমেশ্বরকে লাভ করিবার প্রতিপালনের ইচ্ছা করেন, আপনাকে সমস্ত পাপ কালিমা হইতে দূরে রাখা র্তাহার সর্বতোভাবে উচিত। বলিতে কি, ইহার অভাবে ধৰ্ম্মের স্বৰ্গীয় জ্যোতি পূর্ণপ্রভায় বিকশিত হইতে পারে না । ইহার পবিত্র ভাব উষর-ক্ষেত্র-নিহিত বীজের ন্যায় অঙ্কুরিত হইতে পারে না। দ্বিতীয় কথা পরার্থকে আপনার স্বার্থ করিতে হইবে । পরের সুখকে আপনার সুখ করিতে হইবে । এই দুরূহ কার্য্যে আত্মসংযম অভ্যাস করা বিশেষ আবশ্যক। যিনি প্রবৃত্তির দাস, মানৈষণা বিত্তৈষণ প্রভৃতি যাহার মনকে সততই আকুল করিয়া রাখিয়াছে, নিজের স্ত্রীপুত্রাদিতে র্যার সমস্ত সুখ, র্যার অনুদার হৃদয় মৈত্রীভাবে জাতি ধৰ্ম্ম নির্বিশেষে সকলকে আলিঙ্গন করিতে পারে না এরূপ ব্যক্তির ধৰ্ম্মসাধন এক প্রকার দূরপরাহত। প্রাচীন ঋষিদিগের ভাব একবার আলোচনা কর, প্রেমাবতার চৈতন্যদেবকে একবার স্মরণ কর, বুদ্ধ ও নানকের চরিত্র নিরীক্ষণ কর, ইহারা স্বাৰ্থত্যাগের জ্বলন্ত নিদর্শন। ফলত এইরূপ ত্যাগী হইতে না পারিলে জীবনে ব্ৰহ্মানন্দ ভোগ হওয়া সুকঠিন । ভারতের পূর্বকালে কি ব্যাপার ঘটিয়াছিল তাহাও দেখ । আত্মসংযম ও পরার্থকে আপনার স্বার্থ করিবার জন্য একটা অষ্টমবর্ষীয় বালক নানা প্রকার কঠোর ব্রতচর্য্যা করিত । সে বিষয়স্থখ—বিষয়ভোগের দৃশ্য হইতে বহুদূরে, পার্থিব সকল সুখ হইতে বঞ্চিত, ভিক্ষালব্ধ অন্নে তাহার ক্ষুধা নিবৃত্তি, শয্যা শিলাপট, বসন বৃক্ষের বল্কল, এইরূপ কঠোরতায় বাল্যজীবন অতিবাহিত হইত। পরে গৃহপ্ৰবেশ। এস্থলেও কঠোরতা। গৃহের