পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब इंहांग्नवंsv*é জন্মে। কি প্রকারে দেহ সুস্থ রাখা যায়, উহ বৈজ্ঞানিক চিকিৎসকেরাই সম্যকৃ জানেন । এতৎসম্বন্ধে কাজ চলা রকমের জ্ঞান অল্পায়াসলভ্য । যুক্তাহার, যুক্ত বিহার, যুক্তনিদ্র, যুক্তচেষ্ট ও সাবধান হইলেই শরীরকে প্রসন্ন স্থস্থির ও অনুকুল রাখা যায়, মোটামুটা ইহাই বলা যাইতে পারে । সাধকের কি কি অবশ্য প্রয়োজন অতিসঙ্ক্ষেপে ক্রমশঃ বলা যাইতেছে। ১ । স্বাস্থ্য —সুস্থ দেহের প্রয়োজন। অtহার বিহারাদিতে ও সৰ্ব্ববিধ শারীর চেষ্টাতে নিয়ম ও সাবধানত থাকিলে উহা সুলভ । কেহ কেহ বলেন প্রাণায়ামাদি দ্বারা উহা লাভ করা যায় । । কুম্ভকাদি এতল্লাভের উপায় হইতে পারে, কিন্তু উহা ভয়াবহ, কারণ অনেক স্থলেই উহা সমূহ অনিষ্টকর। তদ্বারা যদি এক জনের স্বফল হয়, তবে দশ জনের শরীর বা সময় নষ্ট হয়। স্বাস্থ্যলাভার্থ ইহা একটা সহকারী উপায় হইতে পারে, কিন্তু আসন প্রাণায়ামাদি মূঢ়গণ কর্তৃক যোগের লক্ষ্য বলিয়। সচরাচর বিবেচিত হইয়া থাকে । কিন্তু লক্ষ্য ও উপায় স্বতন্ত্র বস্তু। যদি উপায় ও লক্ষ্যকে এক করিবার সঙ্কল্পই সকলের কর্তৃক স্থিরীকৃত হয়, তবে আমি প্রাণায়ামের পরিবর্তে “বাসনায়াম” কথাটী ম্বোগবাচক শব্দ রূপে ব্যবহার করিতে অনুরোধ করিব । ২। স্থান ও অাসন । যে স্থানে বসিলে মনঃসংযোগের কোনরূপ ব্যাঘাৎ হয় না, এবপ্রকার স্থান সাধনের অনুকূল । নাতিগ্রীষ্ম, নাতিশীত, নিৰ্ম্মল, পরিষ্কৃত, নিঃশব্দ, নির্জন স্থানই এতদৰ্থে নির্বাচন করিতে হইবে। দেহ মনের প্রসন্নতা এবং অক্লেশভাব যোগ ও ব্রাহ্মসমাজ $8V) জনক স্থান ও আসনের প্রয়োজন । যে প্রকারে শরীরকে স্থাপিত করিলে নিদ্রাবেশ, আলস্য, জড়তা, চঞ্চলত, এবং অস্থখাদি উৎপন্ন হয় বা হইতে পারে, সে প্রকারে অবস্থান করিলে কদাচই চলিবে না। পাতঞ্জল যোগসূত্রে অাছে যে, “আসন সহজ ও স্থির হওয়া আবশ্যক ; কিন্তু উহার টীকাকার ৮৪ প্রকার আসনের অবতারণা করিয়া ও ক্ষান্ত না হইতে পারিয়া, এইরূপ নির্দেশ করিয়াছেন যে অমুকের মতে আসন চৌরাশি সহস্র প্র কার। ফলত অনেকেই এই প্রকার আসন কুস্তিতে’ কাল নষ্ট করেন। এই সমুদায়ে পারদর্শী হইলেই যদি যোগী হওয়া যায় তবে কুস্তাগিরেরাও সাধক ইহা স্বীকার করিতে হইবে। আমরা তদ্রুপ সাধন কখনও করি নাই, অতএব উহার সফলতা বা বিফলতা সম্বন্ধে একটী স্থির সিদ্ধান্ত বা মন্তব্য প্রকাশ করিতে পারি না । কিন্তু এই পৰ্য্যন্ত বলিতে পারি যে শরীর সুস্থ থাকিলে, শারীরিক প্রক্রিয়া অপেক্ষা মানসিক বা আন্তরিক প্রক্রিয়ার দ্বারাই শীঘ্ৰ ও অধিকতর মানসিক ফললাভ করা যায় । অনেকেই বলেন যে ২৫ । ৩০ বৎসর কোন এক “সক্ষম” ব্যক্তি উপযুক্ত প্রকারে এতৎ প্রকার শারীর যোগ সাধন করিলে কৃতকার্য্য হওনের দিকে অগ্রসর হইতে পারেন। অপিচ অসেনাদি বিষয়ে এম, এ, উপাধি লাভও করিতে সক্ষম হয়েন। আজ কাল আমরা কতদিনই বা বঁচিব যে ২৫ বৎসুর এই কোস্তিক সাধনায় প্রবৃত্ত থাকিব ? বিশেষতঃ এই অল্পমাত্র কাল অধ্যাত্ম সাধন ব্যতীত অন্য প্রকার প্রক্রিয়া সাধনের কাল নহে, কারণ “হরেনাম হরেনাম হয়েনামৈব কেবলম্। কলোঁ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা ।”