পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88' ' তত্ত্ববােধিনী পত্রিক be, on e who একবার নহে, দুইবার নহে, ইহা তিনবার কথিত হইল। সুতরাং এখন কঠোর তপস্যাদি, ব্যায়ামাদি, বা কষায় যোগাদি অভ্যাস করিবার উপযুক্ত কাল নহে । সে কাল ফুরাইয়াছে। তাছার বুজরুকিহীন শিক্ষকও এখন নিতান্ত দুল্লভ। এখন স্থির সহজ ও অক্লেশ উপবেশন করিলেই যথেষ্ট झहेल । ৩ । সংযম । ইন্দ্রিয়গণের চাঞ্চল্য থাকিলে মনঃস্থির হয় না। অনেক বৈজ্ঞানিক কঠোর সংযমী, কারণ সংযমী না হইলে অতি সূক্ষ যন্ত্রাদি বহুক্ষণ স্থির ভাবে হস্তে ধারণ করা যায় না। প্রসিদ্ধ কুস্তিগীরের ংযমী, নচেৎ স্নায়বিক দুর্বলত। নিবন্ধন বহুবিধ ‘কসরৎ’ নিম্পন্ন করা অসাধ্য হইবে—অসম্ভব হইবে । এই কারণেই অলিম্পিক মেলায় মল্লযুদ্ধে যাহারা প্রতিযোগিতা করিতেন, তাহারা সংযমী হইতে বিশেষ প্রয়াস পাইতেন। উপযুক্ত ব্যায়াম ইন্দ্রিয় সংযমের সহায়তা করে । শারীরিক স্থিরতার জন্য উহা যে পরিমাণে প্রয়োজন, মানসিক স্থিরতার জন্যও উহ। সেই পরিমাণে প্রয়োজন । মস্তিষ্ক স্নিগ্ধ থাকিলে বিশেষ উপকার হয় । বহির্বিষয়ে শক্তিক্ষয় করা অন্যায় । বহুভাষী হওয়া দুর্বলতা-জনক । বহু ভাব, বহু বাক্য, বহু বন্ধু, বহু পুস্তকাদি ল ইয়া থাকিলে চিত্ত বিক্ষিপ্ত হয় । কু বিষয়াদির ত কথাই নাই । মন অপবিত্র ও বহু বিষয়ে বিক্ষিপ্ত থাকিলে চিত্তবিকার হেতু বিষয় বিশেষে মনোনিবেশ অসম্ভব । বিশেষতঃ ইন্দ্রিয়ভোগ ইন্দ্রিয়-সুখ-লালসা বৰ্দ্ধিত করে । উহার বৃদ্ধি হইলে, অধ্যাত্ম-বিষয়-লালসা হ্রাস পায়। যদি তাহাই হইল, তবে কেই বা ও কিসেরই বা জন্য ইন্দ্রিয় বা মনঃসংযম করিবে । বাক্যাদি সংযমও নি -o-o:

তান্ত প্রয়োজন। অল্প ভাষণ, অল্প পর্য্যটনাদি বড়ই আবশ্যক। চিত্ত নিরুদ্বেগ না হইলে উহা স্থির হয় না । ফলত বহির্বিষয়ে যতই শক্তি প্রয়োগ হ্রাস পায় ততই 6Üüश8 । ৪ । চিত্তবৃত্তি নিরোধ। বহির্ব্যাপার সমূহ সৰ্ব্বদাই চিত্তাকর্ষণ করিতেছে। মানসিক বৃত্তি সমূহকে অভ্যাস দ্বারা তাহা হইতে নিবর্তিত করিয়া বস্তুবিশেষ বা বিষয় বিশেষের ধ্যানে নিযুক্ত করা সাধকের পক্ষে নিতান্ত প্রয়োজন । রূপ রসাদিতে বিচরণশীল মনকে ক্রমশঃ ধ্যেয় বস্তু বা বিষয়ে নিৰ্ব্বাত নিষ্কম্প দীপশিখার ন্যায় স্থির ভাবে রাখিতে হইবে । শাস্ত্রকারগণ বলেন যে নাভি, হৃদয়, জিহাগ্ৰ, নাসাগ্র, ভ্রমধ্য, ললাটমধ্য, বা ব্ৰহ্মরন্ধে চক্ষুদ্বয়কে স্থির ভাবে সংলগ্ন করিলে দৃষ্টি স্থির হইয়া মনঃস্থির ও চিত্তবৃত্তি নিরুদ্ধ হয়। তাহা হইতেই ‘চক্ষুস্থির’ প্রবাদ প্রচলিত হইয়াছে । মহর্ষি পতঞ্জলি বলেন যে ঈশ্বর-চিন্তা বা ধ্যান সংযম এবং চিত্তবৃত্তি নিরোধের শ্রেষ্ঠ উপায় । তিনি বলেন যে উপযুক্ত নিশ্বাস রোধাদি দ্বারাও এই সমুদয় ফল লাভ করা যায়। কিন্তু শাস্ত্রকারের। ইহাও বলেন যে প্রকৃত উপায়ে, উপযুক্ত মাত্রায়, সতত গুরুসাহায্য লইয়া প্রাণায়াম না করিলে কুষ্ঠব্যাধি উন্মত্তত। যক্ষা প্রভৃতি অতীব ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর ব্যাধির উৎপত্তি হইয়া । থাকে। কখন কখনও বা হঠাৎ মৃত্যুও ঘটে। এতৎ কারণে অনুজ্ঞা করিয়াছেন যে সতত গুরুসাহায্য ব্যতীত উহা করণীয় নহে । এই প্রকার সাধনেই গুরু" অবশ্য বৰ্ত্তব্য, অন্যত্র আমরা তৎপ্রয়োজনীয়তার উপলদ্ধি করি না । অল্প দিন হইল এক প্রকার বিষম যোগ-রোগ ব্রাহ্মসমাজের