পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৫০

১৪৩ SAMSMDAMASAS SS SAAAAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA S দ্বারা সত্যে উপনীত হওয়া যায় না । মিথ্যা ভিত্তির উপরে সত্য-গৃহ নিৰ্ম্মাণ কে কখন করিয়াছে ? সরল ও ব্যাকুল ভাবে যদি ভ্রমবশতঃ মিথ্যাকেই ধরি, ভাবদশী ভগবান অবশ্যই পরিশেষে কৃপাপুৰ্ব্বক সত্যালোক প্রকাশ করিবেন সন্দেহ নাই । তখন পুনরায় সত্যের ধ্যান ও ভজনা করিতে হইবে—মূলদেশে নামিয়া আসিতে হইবে । ইহাতে বিলম্ব হইবে। নচেৎ সত্য ও মিথ্যা উভয় দ্বারাই একই কালে একই প্রকারে সত্যে উপনীত হইলে, এতদুভয়ের পার্থক্য কোথায়, জ্ঞান ও অজ্ঞান ত একই হইল। জ্ঞানের পুরস্কার ও অজ্ঞানের শাস্তি তবে কি হইল ? অতএব সত্যের ভজনা না করিলে সত্য, সত্য স্বরূপের দর্শনলাভ করা অসম্ভব । সত্যের ধ্যান ও পূজা করিতে হইলে সত্যভাষী, সত্যকারী, সত্যাচারী,এবং সত্যপ্রিয় হওয়া অবশ্যই কর্তব্য, নচেৎ সত্যের প্রকৃত ভজনা হওয়া আকাশ কুস্থমবৎ অলীক पांढ । এক একটি স্বরূপ এক এক প্রকৃতির আত্মার প্রিয়, অতএব উপযোগী । যে স্বরূপটা সাধন করিবে, আত্মাও সেই ভাবরঞ্জিত হইবে । যথা, তৈলপায়িক কুম্ভির পোকার ধ্যান করিতে করিতে, তাহার প্রকৃতি অনেক পরিমাণে লাভ করে। একটা স্বরূপ সাধন করিতে করিতে, অন্যগুলি একে একে, নভোমণ্ডলে তারক উদয়ের ন্যায়, যেন, নৈশ অন্ধকারের ভিতর হইতে ফুটিয়া উঠিতে থাকে। ধ্যানে প্রেমাদি বর্ণের মাখামার্থী না হইলে অtক্সায় তাহার স্বরূপের রং খুলে না । স্বরূপ ফুটিতে থাকিলে অজ্ঞান ও অপবিত্রত অপস্থত হইবেই হইবে, কারণ সমল সলিলে কোন বস্তুর স্পষ্ট প্রতিবিম্ব পড়ে তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা =یکیمينeaكيــمـه ASA SSASAS SST TASATT AAAAA না, ও জ্যোতির সম্মুখে তিমিররাশি অবস্থান অসম্ভব। আত্মা যতই স্থির ও নিৰ্ম্মল হইবে স্বরূপের প্রতিবিম্ব তত্তই স্পষ্টতর হইয়া পড়িবে। উহা বিধৰ্ম্মী পদার্থকে নাশ করিবে যেমন জ্যোতির প্রকাশে তম তিরোহিত হয় । অতএব ধ্যেয় বস্তুর সম্বন্ধে বিশেষ সাবধানতায় সহিত সাধকের নির্বাচন-শক্তি প্রয়োগ করা কর্তব্য । একেশ্বরবাদী সাধকগণ যে সমুদায় স্বরূপাত্মক মন্ত্রাদি সাধন করেন, তাহার কয়েকটা নিম্নে উল্লিখিত হইল । ১ । ওঁ তৎসৎ । ২ । ওঁ সচ্চিদেকমৃ ব্ৰহ্ম । ৩ । ওঁ সত্যং শিবং সুন্দরং ব্রহ্ম । ৪ । ওঁ সচ্চিদানন্দং । ৫ । ওঁ সত্যং জ্ঞানং অনন্তং ব্রহ্ম । ৬ । ওঁ শান্তং শিবং অদ্বৈতং । ৭ । ওঁ শুদ্ধং অপাপবিদ্ধং । (প্রভৃতি) অদ্বৈতবাদী “তত্ত্বমসি” “সোহহং” প্রভূতি মস্ত্রের ধ্যান করেন । ৭ । নাম ও সঙ্গীত সাধন । স্বরূপ ও স্বরূপাত্মক নাম ধ্যান একই বস্তু । কিন্তু সাধারণতঃ নাম সাধনে ধ্যানের ন্যায় গভীরতা থাকে না । হৃদয়তন্ত্রীর সহিত সুর মিলাইয়া বিভুগুণগান করা আত্মার পক্ষে বিশ্রাম, আমোদ ও বিশেষ মঙ্গলজনক । সৰ্ব্বদাই নিরুদ্ধ-চিত্তবৃত্তি হইয়া ধ্যাননিরত থাকা সম্ভবপর নহে । মস্তিষ্কের অবকাশ প্রয়োজন, নচেৎ অত্যধিক-তপ্ত মৃন্ময় তণ্ডুলাধারের তণ্ডুল সিদ্ধ হওয়ার পূর্বেই উহার শত খণ্ড হওনের ন্যায়, উহার উদ্দেশ্য সিদ্ধি বিষয়ে ব্যাঘাৎ জন্মিবে । নাম, স্বরূপ ও ভাবোদ্দীপক সঙ্গীতের শাবিদক বা মানসিক স্বভাব অtবৃত্তি নানা প্রকারে উপকার-জনক । এই সমুদায় অভ্যাসের সহিত “তস্মিন প্রীতিঃ” •• कन, ० ०ीन حياته ►ജപ്