পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जॐ शंब्रन »v** যোগ ও ব্রাহ্মসমাজ S8ማ ও ‘তস্য প্রিয় কার্য্যসাধনং* থাকিলে সোনায় সোহাগ হইল, না থাকিলে চলি বেই না । প্রকৃত রূপে নাম করিতে পারা ও ব্রহ্মদর্শন সম্ভোগ করা একই কথা । এবং ব্রহ্মদর্শন ও প্রকৃত জীবনও একই বস্তু । সেই জন্যই গুরু নানক বলিয়াছেন, “আঁখা জীবা ; বিসরে মরজান ; অা ওখান আঁথা সঁচা নাম ; সাচ নামূকি লাগে ভুখ, যো খাওয়ে সো তরিয়াওয়ে দুঃখ ।” অর্থাৎ তাহাকে স্মরণই জীবন, বিস্মরণই মৃত্যু । খাটি নামই প্রকৃত জীবন। সেই নামেই ক্ষুধা জন্মিলে, উহা যিনি ভোজন করেন, তিনি দুঃখ সাগর উত্তীর্ণ হইয়া অক্ষয় আনন্দধাম লাভ করেন । এই কারণেই মহামতি ব্যাসদেবের সর্ব বিধির এক বিধি এই যে “স্মৰ্ত্তব্যঃ সততং বিষ্ণুঃ”, এবং নিষেধ এই যে “ন বিস্মৰ্ত্তব্যঃ কদাচন” । এই কারণেই রোমীয় সাধক বলিয়াছেন কেবল প্রতি নিশ্বাসে নহে, যতবার নিশ্বাস প্রশ্বাস লইবে তদপেক্ষা | অধিকবার তাহার প্রেমমুখ স্মরণ করিবে । যাহার “অজপা” ও সাধিত হইয়াছে, তিনিই ধন্য । তাছার ভাব ঈশ্বরের সঙ্গে চখোচখি, মাখামাখি । এই যে “দমে দমে’ নাম লওয়া ইহা কল্পনা না প্রকৃত প্রস্তাবেই সম্ভব, তাহ যিনি ভাবপ্রেমসিক্ত আত্মার সৌম্য মূৰ্ত্তি ও নির্বাত নিস্কম্প দীপশিখাভাব পর্য্যালোচনা করিয়াছেন তিনিই জানেন । এইরূপ সাধুগণ চাহনিতে, এবং সৰ্ব্ববিধ কার্য্যের দ্বারা ব্রহ্মনাম প্রচার ও গুণকীর্তন করেন । তাহীদের যোগের আঁথমে নিশান, অন্তর আখমে পছন।” তাহীদের হৃদয় মধু-চক্র-সদৃশ, মধুর সৌরভময় ও চিত্তভূঙ্গাকর্ষক। র্তাহাদের আত্মা, যেন, আনন্দ ও মাধুর্য্যরসে বিভোর হইয়া গাহে “কেবা শুনায়েছিল তব নাম, জপিতে জপিতে নাম অবশ করিল গো, আকুল করিল মোর প্রাণ” এবং “পরাণ বহে উজান তোমারি বাসরি শুনে।’ নাম বৃথা উচ্চারণ করিলে বিপরীত ফল হয়; অর্থাৎ নামাপরা হয়। বৃথা নাম লওয়ার অর্থ এই যে, যে সময়ে মন বিষয়ান্তরে নিযুক্ত তৎকালে শূন্যভাবে নাম উচ্চারণ করা শুষ্কতাজনক। শূন্য ভাবে, অর্থাৎ প্রেম, ভক্তি প্রভৃতি ভাবশূন্য হইয়া নাম বস্তুকে কেবল শাব্দিক স্বত্তায় পরিণত করিতে করিতে একটী বৃথা নাম করিবার প্রবৃত্তি ও কুঅভ্যাস জন্মে । এবং তজ্জনিত আধ্যাত্মিক অবনতি ও অনিবাৰ্য্য। মহাজনেরা নাম মাহাত্ম্য একস্বরে কীৰ্ত্তন করিয়াছেন—এমন কি নামকে নামিত বস্তু অপেক্ষা গুরুতর বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন, কারণ কেবল তদ্বারাই তিনি লভ্য । বস্তুতঃ ধারণার অবস্থাতে নাম ও নামিত বস্তুর প্রভেদ দূর হয়। এবং সমাধির অবস্থায় নাম করে কে ? আত্মা তখন আত্মবিস্মৃত হয়, ব্ৰহ্ম-রসাস্বাদনই তখন তাহার জীবন । তখন জীব আপনা হারায়ে তাহারে পায় ।” ৯ । অন্যান্য সহকারী উপায়। চিত্তকে সাধনের উপযোগী ও অনুকূল করিতে হইলে প্রথমতই সত্যাসত্য, সারাসারবিচার-জনিত বিবেক ও বৈরাগ্য প্রয়োজন। অসার ত্যাগ করিয়া সার জ্ঞান ও লাভের অকিঞ্চন হইলেই ‘বাসনায়াম’ বাসনার ংযম স্বভাবতই হইবে। কোন ব্রাহ্ম কবি গাহিয়াছেন,